প্রয়াত অভিনেত্রী পল্লবীর সঙ্গে সায়কের পুরনো ছবি
রবিবার সকাল থেকেই কত কী প্রশ্ন মাথায় ঘুরছে! ২০১৯ সালে মুম্বইয়ে ‘আমি সিরাজের বেগম’ ধারাবাহিকের শ্যুটিং। সেই থেকে আলাপ পল্লবীর সঙ্গে। মাত্র এক মাস আগে ওর সঙ্গে দেখা হয়েছিল শপিং মলে। গত শুক্রবারও ফোনে কথা হল। তার পর রবিবার জানলাম, ও নেই। ওই হাসিখুশি মেয়েটা নাকি নেই!
শপিং মলে সে দিন পল্লবীকে খুব মনমরা লেগেছিল। কারণ জানতে চাইলাম। এমনিতে পল্লবী খুব বেশি ব্যক্তিগত কথা বলতে চায় না কাউকেই। কিন্তু সে দিন বলল। জানলাম, সাগ্নিকের (পল্লবীর লিভ-ইন সঙ্গী) সঙ্গে সম্পর্কে টানাপড়েন চলছে। ওকে ভাল থাকার পরামর্শ দিই। এমনকি ইনস্টাগ্রামে সাগ্নিককে মেসেজও করেছিলাম বাড়ি ফিরে। সরাসরি ওদের সম্পর্কের সমস্যা নিয়ে কিছু বলিনি। তাতে সাগ্নিকের মনে হতে পারত, তৃতীয় ব্যক্তির কাছে গিয়ে পল্লবী প্রেমিকের নামে নালিশ করছে। তাই লিখেছিলাম, ‘অনেক দিন দেখা হয়নি, দেখা হলে ভাল হত।’ সাগ্নিক জানায়, নানা ব্যস্ততার কারণে আসতে পারেনি৷ কিন্তু আর একটা কথাও বলে— ‘অনেক কিছু সমস্যা হচ্ছে। সব ঠিক নেই।’ তার পরেই দু’দিন বাদে দেখি, কলকাতার এক হোটেলে থাকতে গিয়েছে দু’জনে মিলে। ছবি দিয়েছিল। আমি আবার তাতে খুশি হয়ে লিখলাম, ‘বাহ, ভাল লাগছে দু’জনকে একসঙ্গে দেখে।’ তার পরে যে কী হয়ে গেল!
ঘটনার দু’দিন আগে পল্লবী আমাকে ফোন করে। কোনও জনসংযোগ কর্মীর সঙ্গে যোগাযোগ করিয়ে দিতে বলে। পল্লবী চাইছিল, ওর ইনস্টাগ্রাম প্রোফাইল ম্যানেজ করার দায়িত্ব কাউকে দিতে। অনেকেই বলছে, পল্লবী নাকি অর্থচিন্তায় এমনটা করে থাকতে পারে। কিন্তু আমার কোনও দিনও ওর টাকার অভাব আছে বলে মনে হয়নি। কিন্তু হ্যাঁ, এখানেই প্রশ্ন, টাকাগুলো কার? সাগ্নিক না পল্লবীর?
পল্লবীর জন্মদিনে বড় করে পার্টির আয়োজন করা থেকে শুরু করে দামি দামি উপহার দেওয়া, এ সবই সাগ্নিক করত। কিন্তু আমরা কেউ কোনও দিন জানতে পারিনি সাগ্নিকের পেশা সম্পর্কে। এত টাকা ও কোথায় পেত? গত বার জন্মদিনে পল্লবীকে হিরের আংটি উপহার দিয়েছিল। এ বারের জন্মদিনে ‘আইফোন ১৩ প্রো’-এর মতো দামি ফোন দিয়েছিল। দু’জনে মাঝে মধ্যেই কলকাতার দামি দামি হোটেলে গিয়ে থাকত, ঘুরত। পুরনো দিনের বাড়িকে হোটেল বানানো হয় আজকাল। পল্লবী সেগুলো ভীষণ ভালবাসত। নিউ টাউনে ফ্ল্যাট কেনার জন্যও টাকা জমাচ্ছিল ওরা।
অবাক লাগছে, সাগ্নিকের বাবা-মাকে দেখলাম এই ঘটনার পরে। সাদাসিধে মানুষ বলেই তো মনে হল। তা হলে সাগ্নিক এত টাকা কোথা থেকে পেল? নাকি সবই পল্লবীর থেকে নিত সাগ্নিক? মনে হয় সবটা তদন্ত হওয়া দরকার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy