মিশা শাফি ও আলি জফর
৩ বছরের জন্য কারাবাসের শাস্তি পেলেন পাকিস্তানের গায়িকা মিশা শাফি। তাঁর বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেছিলেন পাক তারকা আলি জফর। ২০১৮ সাল থেকে আলি জফর ও মিশা শাফির এই আইনি লড়াইয়ে বিরতি টানল পাক আদালত।
২০১৮ সালে মিশা শাফি ও আলি জফরের এই দ্বন্দ্ব শুরু হয় মিটু আন্দোলনের সূত্রে। মিশা একটি বিশেষ ঘটনা তুলে ধরেন নেটমাধ্যমে। মঞ্চে গান গাইতে গিয়েছিলেন দু’জনে মিলেই। সাজঘরে আলি তাঁকে যৌন হেনস্থা করেছিলেন বলে অভিযোগ করেছিলেন মিশা। তিনি লিখেছিলেন, ‘‘ইন্ডাস্ট্রির এক সহকর্মী আমায় শারীরিক হেনস্থা করেছেন। এক বার নয়, একাধিক বার। ছোটবেলায় বা গানের জগতে পা রাখার সময়ে এগুলো ঘটেনি। ঘটেছে তখন, যখন আমি যথেষ্ট প্রভাবশালী ও দক্ষ হিসেবে পরিচিত হয়েছি। এক জন স্পষ্টবাদী নারী হিসেবে পরিচিতি পেয়েছি তত দিনে। তাও এই ঘটনাটি আমার সঙ্গে ঘটেছিল! দুই সন্তানের মা আমি।’’
তা ছাড়া মিশা আক্ষেপ করে জানিয়েছিলেন, আলি জফরকে বহু দিন ধরে চিনতেন তিনি। পরিচিত কেউ এ রকম করবেন বলে ভাবতে পারেননি তিনি। তার পরেই ‘মেরে ব্রাদার কি দুলহন’-এর অভিনেতা আলি জেলা আদালতে ১০০কোটি টাকার মানহানির মামলা করেন মিশার বিরুদ্ধে। তাঁর দাবি ছিল, তাঁর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলি সম্পূর্ণ মিথ্যে। এর ফলে তাঁর ভাবমূর্তি ও কর্মক্ষেত্র ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। তিনি এমনকি টুইট করে লিখেছিলেন, ‘মালালা (মালালা ইউসুফজাই) এক জন প্রকৃত যোদ্ধা। মিশা কখনওই তাঁর মতো হতে পারবেন না। কারণ তিনি সত্যকে লুকিয়ে রাখার চেষ্টা করছেন’। শেষে হ্যাশট্যাগে লিখেছিলেন, ‘আদালতের সামনে এসে দাঁড়ান মিশা শাফি’।
অভিনেতার সুনামকে ক্ষতিগ্রস্ত করার জন্য জন্য মিশার ৩ বছরের জন্য কারাবাস হবে। শুধু তাই নয়, মিশা ছাড়া আরও ৮ জন ব্যক্তির নামেও অভিযোগ দায়ের হয়েছে। যাঁরা অনলাইনে আলিকে অভিযুক্ত করেছিলেন। মিশা আইনি ব্যবস্থার প্রসঙ্গে বলেছেন, ‘‘কোন মহিলা এই ধরনের বিচারে ন্যায় পান? পেলেও তাঁকে বিনিময়ে কী কী দিতে হয়!’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy