শুটিং নিয়ে তরজায় রূপাঞ্জনা ও সায়নী। গ্রাফিক:তিয়াসা দাস।
রীতিমতো দড়ি টানাটানি খেলা। ফোরামের নির্দেশ আসতেই দ্বিধা, ভাগাভাগি স্পষ্ট।সোশ্যাল মিডিয়ায় এক হাত নিলেন রূপাঞ্জনা-সায়নী।
মঙ্গলবার রাতে আর্টিস্ট ফোরাম কাজে যোগ দেওয়ায় সায় না দিতেই সায়নী ঘোষ যে পোস্ট করেন তার মোদ্দা কথা, “আর্টিস্টরাই মানুষ! বাকিরা তাহলে কী? কাউকেই কোনও সুরক্ষা বিমা দেওয়া উচিত নয়। সবাই মোটা টাকা ইনকাম করেন। আর কী চাই?”
দ্বন্দ্বের শুরু সেখানেই।আগুনে যেন ঘি ঢাললেন রূপাঞ্জনা মিত্র। সোশ্যাল মিডিয়ায় পাল্টা জবাব দিতে বসেন রূপাঞ্জনা। তাঁর প্রথম কথাই শুরু করেন, “কেন যে সবাই ফোরামকে দোষারোপ করছে বুঝতে পারছি না। ফোরাম তো সবার মুখ চেয়ে যা করার করছে। কোনও ব্যক্তিবিশেষের নয়!”
আরও পড়ুন: অবশেষে জট কাটল টলিপাড়ায়, কাল থেকে শুরু হচ্ছে শুটিং
রূপাঞ্জনা ট্যাগ করতে থাকেন একাধিক ব্যক্তিকে।ফোরামের সপক্ষে বিভিন্ন মানুষের পোস্ট শেয়ার করতে থাকেন। মঙ্গলবার রাতের সোশ্যাল-ঝগড়া অব্যাহত থাকে বুধবার সকালেও।
তীব্র প্রতিবাদ আসে সায়নীর। তাঁর পাল্টা যুক্তি, প্রোডিউসার গিল্ড, ফেডারেশনের পরেই অভিনেতা-অভিনেত্রী। আগে নয়। আর আর্টিস্ট ফোরাম নিঃসন্দেহে জোরালো সংগঠন কিন্তু একমাত্র সংগঠন তো নয়।” সায়নী তাঁর বক্তব্য পরিষ্কার করে বুঝিয়ে বলতে গিয়ে বলেন,“আর্টিস্ট ফোরামের সঠিক সিদ্ধান্তের উপর ইন্ডাস্ট্রির আর্টিস্টরা তাকিয়ে থাকেন।ধরে নেওয়াই হয় এই সংগঠন তথাকথিত ‘দামি অভিনেতাদের’ পাশাপাশি দিন-আনি-দিন-খাই মানুষগুলোর কথাও ভাববে, সেটাই সবার আশা।” কিন্তু আর্টিস্ট ফোরামের এই সিদ্ধান্ত যে দিন-আনি-দিন-খাই মানুষের পক্ষে নয় তা স্পষ্ট হওয়ায় সায়নী ফোরামের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেন।প্রশ্ন তুলেছেন সায়নী, “কাজ বন্ধ থাকলে লোকে খাবে কী?এই মানুষগুলোর দায়তোফোরামকেনিতেইহবে!”
শুটিং শুরুর প্রসঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়ায় রূপাঞ্জনার পোস্ট। গ্রাফিক: তিয়াসা দাস।
দায় নেওয়ার কথা উঠতেই ক্ষুব্ধ রূপাঞ্জনা।দীর্ঘ দিন ধরে টেলিপাড়ায় কাজের অভিজ্ঞতার সূত্রে রূপাঞ্জনা মনে করিয়ে দেন, “আগে দীর্ঘ সময় অক্লান্ত পরিশ্রমের পরেও টাকা পাননি অভিনেতারা। সেই অর্থ আদায় করে দিয়েছে কিন্তু ফোরাম।” তিনি বলেন, সমস্যা অনেক ভাবেই এসেছে। একাধিকবার আলোচনা করে সমাধান সূত্র বের করেছে তারা।সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রশ্ন তোলেন ক্ষুব্ধ রূপাঞ্জনা, “শিল্পী-কলাকুশলীদের পারিশ্রমিক, টিডিএস দেওয়ার সময় দূরবীন দিয়ে দেখলেও অধিকাংশকেই খুঁজে পাওয়া যায় না! তারা দেবে বিমার টাকা? জোক অব দিস মিলেনিয়াম! এ বারেও প্রযোজকেরা যে সেই একই কাজ করবেন না, প্রমাণ কি?”
আরও পড়ুন: গাড়ি চালাবেন আপনি, পথনির্দেশ দেবেন বিগ বি! প্রস্তাব দিল গুগল
রূপাঞ্জনা মনে করছেন, আর্টিস্টদের স্বার্থের কথা ভেবেই কিন্তু ফোরামের এই আগাম সতর্কতা।রূপাঞ্জনা আরও যুক্তি দেন। বলেন, “মিথ্যের একটা লিমিট আছে, কাদেরকে বোকা বানানো হচ্ছে?নিজের শুটিং নিজে করুন,দরকারে ডাল-ভাত-আলুসেদ্ধ খেয়ে থাকতে হবে।”
এ কথার উত্তরে সায়নী থেমে থাকেননি। তাঁর যুক্তি, “ওটা পারবেন তাঁরাই যাঁরা মাসে মোটা টাকা ঘরে এনেছেন। দুই-আড়াই হাজারে যাঁদের সংসার চলে তাঁরা এমনিতেই ডাল, আলুসেদ্ধ ভাত খান। তাঁরা এবার মরে যাবেন।” সায়নী অন্য ভাবে ভাবছেন। তাঁর মতে, দরকারে অভিনেতারা একটা ফান্ড গড়ুন। প্রযোজকের ভরসায় না থেকে তাঁরা তাঁদের রোজগারের কিছুটা দিন তাতে। এতে চিকিৎসার খরচও উঠবে। আবার কাজও চলবে।
তবে কাজিয়া যতই করুন, একটা ব্যাপারে দু’জনের মত কিন্তু এক, নির্দেশিকা না পাঠিয়ে সবাইকে নিয়ে মিটিং ডাকুক ফোরাম। সেখানে ঠিক হোক কে, কী চাইছেন। অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য কাজ বন্ধ! এটা কখনও সমাধান হতে পারে না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy