বনি যেন সুখস্মৃতিতেই ধরে রাখতে চান শ্রীদেবীকে। — ফাইল চিত্র।
চেয়ারে বসে আছেন প্রযোজক বনি কপূর। তাঁর চিরযৌবনা স্ত্রী অভিনেত্রী শ্রীদেবী ঝুঁকে পড়ে চুমু খাচ্ছেন তাঁর ঠোঁটে। একরাশ উষ্ণতায় মাখামাখি সেই ছবি বনি ভাগ করে নিয়েছেন তাঁর ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে। গর্বের সঙ্গে লিখেছেন, প্রেমে থাকাকালীন শ্রীদেবীর উন্মাদনার কথা। শুধু কি বনির একার গর্ব ছিলেন? ‘লমহে’, ‘চাঁদনি’, ‘মিস্টার ইন্ডিয়া’, ‘জুদাই’, ‘সদমা’-র মতো ছবিতে শ্রীদেবীর অভিনয় দর্শক ভোলেননি। সবার জন্যই আরও কিছু ছবি পোস্ট করলেন বনি। একেবারে শুরুর দিক, সম্পর্কেরও।
প্রয়াত স্ত্রীর সঙ্গে মাঝেমধ্যেই ছবি দেন বনি। তবে এ বারের ছবিটি বিশেষ। এটি শ্রীদেবী এবং বনির একসঙ্গে তোলা প্রথম ছবি। ছবিটি সাদা-কালো। দু’জনেই হাসছেন ক্যামেরার দিকে তাকিয়ে। প্রায় চার দশক আগে তোলা হয়েছিল ছবিটি, ১৯৮৪ সালে। বনি ছবির ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘‘আমার প্রথম ছবি... ১৯৮৪।” অনুরাগীরা এই ছবি দেখে আপ্লুত। হৃদয়চিহ্ন এঁকে, অজস্র মন্তব্যে বুঝিয়ে দিলেন তাঁরা।
নেটফ্লিক্স ডকু-সিরিজ ‘দ্য রোম্যান্টিক্স’-এর সৌজন্যেও দেখা গিয়েছে এই ছবিটি। বর্ষীয়ান পরিচালক যশ চোপড়ার দীর্ঘ পাঁচ দশকের কাজ ও হিন্দি ছবিতে তার প্রভাব নিয়েই এই সিরিজ।
২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারি মাস। দুবাইতে মাত্র চুয়ান্ন বছর বয়সে আকস্মিক মৃত্যু হয় অভিনেত্রী শ্রীদেবীর। আত্মীয়ের বিয়ের অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন তিনি। সেখান থেকেই আসে দুঃসংবাদ। হাহাকার পড়ে গিয়েছিল ইন্ডাস্ট্রিতে। তবে বনি যেন সুখস্মৃতিতেই ধরে রাখতে চান স্ত্রীকে। শ্রীদেবীর পঞ্চম মৃত্যুবার্ষিকীতে তাঁর একটি ঝলমলে ছবি সকলের সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছিলেন স্বামী বনি কপূর।
তিনি লিখেছিলেন, “পাঁচ বছর হল তুমি আমাদের ছেড়ে চলে গিয়েছ। তোমার ভালবাসা, তোমার স্মৃতি আমাদের এগিয়ে নিয়ে যাবে এবং তুমি আমাদের সঙ্গে চিরকাল থেকে যাবে।” এই পোস্টের নীচে প্রথম মন্তব্য করেন সঞ্জয় কপূর । হৃদয়চিহ্ন দিয়ে ব্যক্ত করেন তাঁর অনুভব।
শ্রীদেবীর ‘শেষ ছবি’ বলে যেটি পোস্ট করেছেন বনি, সেখানে অভিনেত্রী রয়েছেন কন্যা খুশি কপূরের সঙ্গে। বনির বোন রিনা এবং অন্য অতিথিরাও রয়েছেন সেই ছবিতে। এই মাসের শুরুতেই শ্রীদেবীর জীবনী ‘শ্রীদেবী: দ্য লাইফ অফ অ্যা লেজেন্ড’-এর কথা ঘোষণা করেছিলেন বনি। বইটি লিখবেন ধীরজ কুমার। বনির কথায়, “শ্রীদেবী ধীরজকে পরিবারের সদস্য বলেই মনে করতেন। তিনি এক জন গবেষক, লেখক, কলমচি। আমরা খুশি যে, এই বইতে শ্রীদেবীর অসাধারণ জীবনের কথা উঠে আসবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy