স্কাই ডাইভিং করছেন অঙ্কুশ এবং ঐন্দ্রিলা
দুবাই ঘুরতে গিয়ে ‘ফাগুন বউ’-এর কি দুঃসাহস! মানে ঐন্দ্রিলা সেন দুবাইয়ের জেবল জ্যাস পাহাড়েই চড়ে বসলেন। শুধু কি তাই? ঝুলে পড়লেন বিশ্বের দীর্ঘতম জিপ লাইনে! সঙ্গে অঙ্কুশ। কেমন সেই অভিজ্ঞতা?
উত্তেজিত ঐন্দ্রিলা বললেন, “প্রথমে বেশ ঘাবড়ে গিয়েছিলাম। লোকেশনে দেখাচ্ছে ‘জেবল জ্যাস অ্যাট দ্য টপ’। ওখানে তো আমার নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। একটা মাউন্টেন থেকে তিন-চারটে মাউন্টেন পেরিয়ে পেরিয়ে যাওয়া... পেরিয়ে যাওয়া আর ভিউয়ের এক্সপেরিয়েন্সটা যে করেনি তাকে বলে বোঝাতে পারব না। ভ...য়...ঙ্কর এক্সপিরিয়েন্স!”
সেটা কী রকম? ঐন্দ্রিলা শেয়ার করলেন, “তখন ভাবছিলাম, জিপ লাইন ছিঁড়ে যদি পড়ে যাই তাহলে স্পট ডেড... কিচ্ছু করার নেই। মাউন্টেনের মধ্যে পড়বে, গেঁথে যাবে বা বডিটা হয়তো খুঁজেই পাওয়া যাবে না, ছেতরে যাবে... এরকম আরকি।”
দুবাইয়ে একান্তে
জিপ লাইনের স্পিড কত ছিল? তিনি বললেন, “ওয়ান সিক্সটি টু ওয়ান নাইন্টি কিলোমিটার পার আওয়ার। মনে হচ্ছিল পুরো বডি হালকা হয়ে গিয়েছে। সঙ্গে অঙ্কুশ আর আমাদেরএক বন্ধু ছিল। আমরা তিন জনেই খুব ভয় পেয়েছি। কিন্তু হয়ে যাওয়ার পর খুব উপভোগ করেছি।”
বাড়িতে জানত? ঐন্দ্রিলা: “একদম না। মা ফোন করেছিল, মাকে বলেছি, জেবল জ্যাস পাহাড়ে লং ড্রাইভে এসেছি। হয়ে যাওয়ার পরে মাকে ভিডিও পাঠিয়েছি। মা ভাবতেই পারেনি। তবে হ্যাঁ, একাধিক বার সেফটি চেক করে তবেই জিপ লাইন চড়তে দেওয়া হয়েছে। আমার একটা ভয় ছিল, সেটাকে জয় করেই জিপ লাইন করেছি।”
আরও পড়ুন-ছেলেকে জড়িয়ে মালাইকাকে কুৎসিত ইঙ্গিত! কঙ্গনার দিদির নিন্দায় সরব নেটিজেনরা
দেখে নিন অঙ্কুশ এবং ঐন্দ্রিলার দীর্ঘতম জিপ লাইনে চড়ার অভিজ্ঞতার ভিডিয়ো
এটা কী ধরনের জিপ লাইন ছিল? বুঝিয়ে দিলেন ঐন্দ্রিলা, “জিপ লাইন দু’ধরনের হয়, একটা বসে বসে যাওয়া যায় আর একটা ফ্লাইট মোড। ফ্লাইট মোডে পুরো বডিটা ঝুলতে ঝুলতে যায়। পাহাড়গুলোয় গাছপালা নেই। শুধুই পাথর। নীচে গাড়ি যাওয়ার রাস্তা। মানে অত উঁচু থেকে গাড়িগুলোকে ছোট্ট দেখাচ্ছে। এসবের ওপর দিয়ে ফ্লাইট মোডে সাঁই সাঁই করে ছুটে চলেছি। উফ! একটা বিশাল ভয় জয় করে ফিরেছি!”
কতক্ষণের জার্নি? ঐন্দ্রিলা বলেন, “এই ধরনের থ্রিলিং এক্সপেরিয়েন্সগুলো ৪৫ সেকেন্ড, ৩০ সেকেন্ড, ৫০ সেকেন্ডের হয়। কারণ, এর বেশি অনেকেই নিতে পারে না। আমাদেরটা ছিল দু’মিনিট। জাস্ট ভাবুন!”
আরও পড়ুন-গোলাপি ওয়ান পিসে কেমন নাচলেন শুভশ্রী? দেখে নিন সেই ভিডিয়ো
অঙ্কুশ কী করলেন? ঐন্দ্রিলা: “আমি আর আমার বন্ধু জিপ লাইনে আগে চেপেছিলাম। অঙ্কুশকে বলেছিলাম, ‘‘যদি খবর পাও আমরা বেঁচে আছি তবেই ট্রাই কোর। বাবা-মায়ের একটাই ছেলে।’’ পরে চেপেছিল। ও আমাদের ভিডিয়ো শুট করছিল আর বিভিন্ন রকম টিপ্পনি কাটছিল। ঝুলে পড়ার পর ভিডিয়োতে একটা সময় আমাদের পিঁপড়ের মতো ছোট লাগছিল। তার পরেও আমরা অনেকক্ষণ গিয়েছি। বিশাল জিপ লাইন। গিনেশ বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ড-এ নাম আছে। লাইফ টাইম এক্সপিরিয়েন্স!”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy