ওরির সঙ্গে কাজল-কন্যার ঘোরাঘুরি ইদানীং বেশ ‘চোখে লাগছে’ বলে মত একাংশের। ফাইল চিত্র
বড়দিনে ওরহান অবত্রমানীর সঙ্গে পার্টিতে গেলেন অজয় দেবগন আর কাজলের কন্যা, নায়সা দেবগন। রাস্তায় মানুষের ঢল। তার মধ্যে দিয়ে নায়সার হাত ধরে হেঁটে চললেন ওরি। তাঁর পরনে অদ্ভুতদর্শন টি-শার্ট। জামার উপরেই আলোছায়ায় আঁকা পেশি এবং বুকের খাঁজ। অন্য দিকে, গোলাপি রঙের গাউনে নায়সারও দেহের প্রতিটি রেখা স্পষ্ট। কালো অন্তর্বাসে ধরতে চাওয়া উচ্ছ্বল যৌবনটুকুও যেন আড়াল করতেই চাইলেন না। যে ভাবে ওরির গা ঘেঁষে মুখ নামিয়ে ছিলেন, তাঁকে সলজ্জ প্রেমিকা ভাবলে ভুল হবে না। এ দিকে ওরি (ওরহান) আবার তাঁর ঘোষিত বন্ধু! তবু কি জল্পনা থামানো যায়? সেই সঙ্গে এল কটাক্ষও! যুগলের ছবি দেখে এক জন লিখলেন, “এই ছেলেটা তো কাল অবধি জাহ্নবীর প্রেমিক ছিল! এখন আবার নায়সার সঙ্গে এমন ভাব করছে।”
আবার কেউ নায়সাকে দেখে আক্ষেপ করে বললেন, “বাবা-মা ১৫ বছর ধরে কষ্ট করে যে সুনাম তৈরি করেন, ১৫ সেকেন্ডের ভিডিয়োতে ছেলেমেয়েরা সেটা নষ্ট করে দেয়।”
সমাজকর্মী তথা অ্যানিমেশন শিল্পী ওরির সঙ্গে কাজল-কন্যার ঘোরাঘুরি ইদানীং বেশ ‘চোখে লাগছে’ বলে মত একাংশের। তারা শুধু বন্ধু হতেই পারেন না, ১৮ বছর বয়স হতে না হতে নায়সা এমন ‘বিপথে’ যাচ্ছেন কী ভাবে— তা নিয়ে রীতিমতো রাগ প্রকাশ করতে দেখা গেল নেটাগরিকদের।
বড়দিনের আমেজে নায়সা আর ওরির ভিডিয়ো দেখে এমন চর্চায় ভরেছে নেটদুনিয়া। ভিডিয়োর শেষে অবশ্য নায়সাকে একাই গাড়িতে উঠে যেতে দেখা যায়। তবে কি লুকিয়ে প্রেম করতে চাইছেন? তারকাসন্তানের গতিবিধি নিয়ে সন্দিগ্ধ অনেকেই।
যদিও, নায়সার সঙ্গে ওরহানের বিশেষ বন্ধুত্ব বহু দিনের। দু’জনকে একসঙ্গে প্রায় সব জায়গায় দেখা যায়। তবু বলিপাড়ার একাংশ মুখ বেঁকিয়ে বলেন, পুরুষ বন্ধুদের সঙ্গে বেশি মেশেন তিনি। যদিও, নায়সা আগেও বলেছেন, “ছেলে কিংবা মেয়ে হোক, বন্ধুরাই সব। তারা থাকলে চারপাশের সব কিছু সহজ হয়ে যায়।”
কাজলও বলেন, ‘‘আমি বা অজয় ওকে কোনও কিছুতেই জোর করি না। এখন নিজের জীবন উপভোগ করুক নায়সা।’’
জমিয়ে পার্টি, খানপিনা, এ সবই ভালবাসেন অজয় দেবগন আর কাজলের কন্যা। উৎসবের আমেজে তাঁকে এখন পায় কে!
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy