বলিপাড়ায় এখন চর্চার কেন্দ্রে অজয় দেবগন এবং কাজলের মেয়ে । —ফাইল চিত্র
বলিপাড়ায় এখন অন্যতম চর্চার নাম অজয় দেবগন এবং কাজলের মেয়ে নায়সা। যদিও সেই নাম তাঁরই সংশোধন করিয়ে দেওয়া উচ্চারণে এখন থেকে ‘নিসা’। সদ্য ২০ বছর পূর্ণ হয়েছে তাঁর। বিশাল এক কেক কেটে পরিবার পরিজন ও বন্ধুবান্ধব নিয়ে জন্মদিন পালন করেছেন কাজল-কন্যা। তার পর সপ্তাহ ঘুরতে না ঘুরতে আবার তিনি শিরোনামে। বলিউডে এখনও অভিষেক হয়নি তাঁর। তবু সারা ক্ষণ রয়েছেন প্রচারের আলোয়। কী করলেন এ বার?
বরাবরই খোলামেলা স্বভাবের মেয়ে নিসা। বন্ধুবান্ধব নিয়ে হইহুল্লোড়ে ভরা স্বাধীন জীবন পছন্দ করেন। ভালবাসেন পার্টি করতেও। প্রাণের বন্ধু ওরহান অবত্রমানি তাঁর সব কিছুর সঙ্গী। অনেকের অনুমান প্রেম করেন দু’টিতে, তবে নিজমুখে দু’জনেই জানিয়েছেন, তাঁরা ভাল বন্ধু, আর কিছু নন। সম্প্রতি ওরহানোর (ওরি) সঙ্গেই মুম্বইয়ের এক বার রেস্তরাঁর গেটে গাড়ি থেকে নামতে দেখা গেল নিসাকে। উত্তেজনায় টগবগ করে ফুটছিলেন তিনি। গন্তব্যে পৌঁছনো মাত্র গাড়ি থেকে লাফিয়ে নামলেন প্রায়। আর অল্প জায়গার মধ্যে ধাক্কা লেগে গেল রেস্তরাঁর নিরাপত্তারক্ষীর সঙ্গে। গাড়ির দরজা খুলে ধরতে এগিয়ে এসেছিলেন সেই যুবক। তবে তার আগেই গাড়ি থেকে নেমে প্রায় তাঁর ঘাড়ে পড়লেন নিসা। অপ্রস্তুত হাসি বিনিময় করে দ্রুত এগিয়ে গেলেন রেস্তরাঁর ভিতরে। সেই মুহূর্ত ধরা পড়ল আলোকচিত্রীদের ক্যামেরায়। নেটদুনিয়ায় মন্তব্যের বন্যা, “আরে দেখে দেখে! সাবধানে নিসাজি!” কেউ আবার রসিকতা করে বললেন, “আহা, লাগেনি তো!” কারও আবার তির্যক মন্তব্যে ইঙ্গিত ছিল, সব সময়েই নেশা করে থাকেন নিসা। ভাইরাল ভিডিয়োর নীচে তাই সহাস্যে লিখলেন, “সব সময়েই টলে পড়ে যাচ্ছেন উনি!” কেউ আবার বললেন, “কী যেন গোলমাল আছে এই মেয়েটির।” তির্যক মন্তব্য এল ওরহানকে নিয়েও। কেউ এক জন বললেন, “এই ছেলেটি কে? সব সময় মেয়েদের ভিড়েই একে দেখা যায়।”
চলতি মাসেই জন্মদিনের আগে রাজস্থান সফরে গিয়েছিলেন নিসা। তখনও সঙ্গে ছিলেন ওরি। উটের পিঠে চড়ে পরম তৃপ্তিতে চোখ বুজে ওরির পিঠে মুখ রেখে পড়ে থাকতে দেখা গিয়েছিল নিসাকে। তার পর আবারও দেখা মেলে মুম্বইয়ে। নৈশভোজে রেস্তরাঁ থেকে বেরোচ্ছিলেন সে দিনও ওরহানকে নিয়ে। তখনই আলোকচিত্রীরা ‘নায়সা, নায়সা’ বলে চিৎকার করতে থাকেন। গাড়িতে ওঠার সময় কাজল-কন্যা বলেন ‘‘আমার নাম নায়সা নয়, নিসা।’’ যদিও এত দিন সকলে নায়সা বলেই চিনতেন তাঁকে। শেষমেশ নিজের নামের ভ্রম সংশোধন করিয়ে দেন তিনি। তাঁর নিত্যনতুন কীর্তি ফ্রেমবন্দি করতে আশেপাশেই ওত পেতে থাকেন চিত্রসাংবাদিকরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy