Advertisement
১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪
Bangladesh Unrest

হাসিনা-ঘনিষ্ঠ সংগঠন ত্যাগ জ়াকিয়ার, ‘স্বাধীন দেশে স্বাগতম’ ধ্বনিতে মুখর তিশা, তাসনিয়া

পদত্যাগ করে দেশ ছেড়েছেন বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অন্তর্বতী সরকার আপাতত দেশ চালাবে। সমাজমাধ্যমে তাই নিয়ে সরব সে দেশের অভিনেত্রীরা।

Image Of Nusrat Imrose Tisha, Zakia Bari Mamo, Tasnia Farin

(বাঁ দিক থেকে) নুসরত ইমরোজ় তিশা, জ়াকিয়া বারী মামো, তাসনিয়া ফারিণ। ছবি: ফেসবুক।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৫ অগস্ট ২০২৪ ১৬:৫১
Share: Save:

দিন কয়েক আগেই বাংলাদেশের ছাত্র আন্দোলনে শহিদ ছাত্রদের স্মরণ করে শোকদিবস পালন করেছিল শেখ হাসিনা সরকার। তখনও দেশের প্রধানমন্ত্রী তিনি। তাঁর ঘনিষ্ঠ বিশিষ্টদের ফেসবুক, হোয়াট্‌সঅ্যাপের ‘বর্ণনা-চিত্র’ কালো রং করা হয়েছিল। বিরোধীরা যথারীতি রং বদলে নিয়েছিলেন। তাঁদের প্রতিবাদের রং গাঢ় লাল। সেই প্রতিবাদ বুঝি এখনও অব্যাহত। সোমবার গণ অভ্যুত্থানের পর পদত্যাগ করেছেন শেখ হাসিনা। বোন শেখ রেহানাকে নিয়ে দেশ ছাড়লেন তিনি। এর পরেই বিরোধিতার সেই সুর ধরে রেখেই নুসরত ইমরোজ় তিশা, জ়াকিয়া বারী মামো, তাসনিয়া ফারিণ, পরীমণি-সহ বাংলাদেশ বিনোদন দুনিয়ার একাধিক বিশিষ্টজন সমাজমাধ্যমে সরব হলেন। সরকারের ঘনিষ্ঠ অভিনেতাদের সংগঠন ‘অ্যাক্টর্স ইক্যুইটি বাংলাদেশ’ ত্যাগ করলেন জ়াকিয়া। তিশা ‘স্বাধীন দেশ’-এ স্বাগত জানালেন সকলকে। তাসনিয়া আরও এক বার ছাত্রশক্তির জয়গান গাইলেন। মোস্তাফা সারয়ার ফারুকীর লেখনি অনুযায়ী, “স্যালুট টু বাংলাদেশী ইয়ুথ অ্যান্ড পিপল ফ্রম অল ওয়াকস। টুগেদার উই স্ট্যান্ড টল।”

কোটা আন্দোলন নিয়ে সরকার এবং ছাত্রদের রক্তক্ষয়ী আন্দোলন নিয়ে বেশ কিছু দিন ধরে পড়শি দেশ অগ্নিগর্ভ। দিন কয়েক আগে সে দেশের পরিস্থিতির বর্ণনা করে আনন্দবাজার অনলাইনের হয়ে কলম ধরেছিলেন বাংলাদেশের এক ওটিটি প্ল্যাটফর্মের কনটেন্ট হেড অনিন্দ্য বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি লিখেছিলেন, বাড়ির ছাদে উঠে দেখেছেন, দূরে রাস্তায় গাড়ি জ্বলছে। আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে বাংলাদেশের সরকারি টিভি চ্যানেলের অফিসে। ভাঙচুর চলেছে মেট্রোয়। বন্ধ হয়ে গিয়েছিল ইন্টারনেট পরিষেবা। কার্ফুর আবহে থমথমে চারপাশ। ক্রমশ সেই অবস্থা থেকে স্বাভাবিক হওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছিল দেশ। খবর, তার মধ্যেই শুরু দ্বিতীয় দফার আন্দোলন। অভিনেত্রী রাফিয়াত রশিদ মিথিলার কন্যা আইরাকে পর্যন্ত ছুঁয়ে গিয়েছে সেই আন্দোলন। কিশোরী রক্তমাথা শহিদ ছাত্রদের ছবি এঁকে স্বাধীন দেশের দাবি তুলেছে। ছাত্র আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়ে জনজোয়ারে যোগ দেন সে দেশের তারকারা।

দেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে কী বলছেন ও পার বাংলার বিনোদন দুনিয়ার অভিনেতা-অভিনেত্রীরা? জানতে আনন্দবাজার অনলাইন যোগাযোগের চেষ্টা করেছিল চঞ্চল চৌধুরী, জিয়াউল ফারুক অপূর্ব, আজ়মেরি হক বাঁধন, পরীমণির সঙ্গে। তাঁদের মুঠোফোন বন্ধ। এ দিকে সমাজমাধ্যমে জ়াকিয়া আরও লিখেছেন, “ইক্যুইটি মানে ন্যায়, ন্যায়বিচার। ন্যায়ের কথা বলে চলমান পরিস্থিতিতে ন্যায়ের সঙ্গে প্রকাশ্যে আপস মেনে নেওয়া ব্যক্তিগত ভাবে আমার পক্ষে সম্ভব হচ্ছে না। কারণ, শিল্পী হিসেবে আমি আমার দায়বদ্ধতার জায়গায় দায়বদ্ধ।” এই জায়গা থেকেই তিনি ও পার বাংলার বিনোদন দুনিয়ার সংগঠন ত্যাগ করেন। তাঁর প্রার্থনা, দেশ নিয়ে যেন বাকিরাও লোকদেখানো অভিনয় না করেন। শীঘ্রই যেন তাঁদের চেতনা, বিবেক জাগ্রত হয়।

তুলনায় পরিচালক ফারুকী যেন সংযত। তাঁর বার্তা, “বিজয়ের আনন্দ অবশ্যই করব! কিন্তু এখন সময় সংযমেরও, চোখ কান খোলা রাখারও। আমরা ২০ বছর প্রতিহিংসার রাজনীতি দেখেছি। প্রতিহিংসার উত্তর দেব আমরা দয়া এবং সহানুভূতি দিয়ে। পাশাপাশি আমরা চোখ খোলা রাখবো আগামী দু-তিন দিন। নিশ্চয়ই আমরা একটা মানবিক গণতান্ত্রিক সমাজ নির্মাণের দিকে এগিয়ে যাব।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE