Nisha Noor was dragged into prostitution and died of AIDS dgtl
Nisha Noor
প্রযোজকের চাপে যৌন পেশায়, শেষে অর্থকষ্ট, এডসে মৃত্যু হয় আশির দশকের এই সুন্দরীর
দক্ষিণী ফিল্মে আশির দশকের জনপ্রিয় অভিনেত্রী ছিলেন নিসা নুর।
নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ০৬ অক্টোবর ২০১৯ ১২:২৬
Share:Save:
এই খবরটি সেভ করে রাখার জন্য পাশের আইকনটি ক্লিক করুন।
০১১৩
দীপিকা পাডুকোন বা প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার মতো হয়তো সবাই এক নামে তাঁকে চেনেন না, তবে দক্ষিণী ফিল্মে আশির দশকের জনপ্রিয় অভিনেত্রী ছিলেন নিসা নুর।
০২১৩
‘কল্যানা আগাথিগাল’, ‘লায়ার দ্য গ্রেট’, ‘টিক! টিক! টিক!’-এর মতো প্রচুর হিট ফিল্মে অভিনয় করেছেন তিনি। মূলত তামিল এবং মালায়লম ফিল্মই তিনি করতেন।
০৩১৩
এমন হিট নায়িকার জীবন কিন্তু ছিল হতাশায় ভরা, শেষ জীবনে অর্থকষ্টে রাস্তায় কাটাতে হয়েছে তাঁকে। গায়ে পোকা, মাছি বসে থাকত। শেষে এডস-এ আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় তাঁর।
০৪১৩
নিসা নুরের অভিনয়ের প্রশংসা ছড়িয়ে পড়েছিল ইন্ডাস্ট্রিতে। বালাচন্দন, বিষু, চন্দ্রশেখরের মতো এককালের নাম করা সব পরিচালকের সঙ্গে তিনি কাজ করেছেন।
০৫১৩
শোনা যায়, রজনীকান্ত এবং কামাল হাসন তাঁর রূপে-গুণে এতটাই মুগ্ধ হয়েছিলেন যে, তাঁর সঙ্গে অভিনয় করার ইচ্ছাপ্রকাশ করেছিলেন তাঁরা।
০৬১৩
দক্ষিণী এই দুই সুপারস্টারের সঙ্গেও টেলিভিশন স্ক্রিনে রোম্যান্স করতে দেখা গিয়েছে নিসা নুরকে। এ হেন জনপ্রিয়তাই তাঁর ক্ষেত্রে কাল হয়ে গিয়েছিল।
০৭১৩
খুব তাড়াতাড়ি তাঁর কেরিয়ারের ‘দি এন্ড’ হয়ে যায়। ভীষণ অপ্রত্যাশিত ভাবেই আচমকা ইন্ডাস্ট্রি থেকে হারিয়ে যান তিনি।
০৮১৩
শোনা যায়, সে সময় নাকি এক নাম করা প্রডিউসারের খপ্পরে পড়ে গিয়েছিলেন নিসা নুর। ওই প্রডিউসার তাঁর সঙ্গে প্রতারণা করেছিলেন। তাঁকে যৌন পেশায় নামতে বাধ্য করেছিলেন। (এই স্লাইডে ভুলবশত অন্য অভিনেত্রীর ছবি দেওয়া হয়েছিল। পাঠকদের ধন্যবাদ এই ভুল ধরিয়ে দেওয়ার জন্য। অনিচ্ছাকৃত এই ত্রুটির জন্য আমরা দুঃখিত।)
০৯১৩
এই খবর ছড়িয়ে পড়ার পর ইন্ডাস্ট্রি তাঁর থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিল। কেউই তাঁর সঙ্গে কাজ করতে চাইছিলেন না। বাধ্য হয়েই ইন্ডাস্ট্রি থেকে নিজেকে গুটিয়ে নেন নিসা নুর।
১০১৩
কাজ হারিয়ে ক্রমে আর্থিক দুরবস্থার মধ্যে পড়েন তিনি। দিনের পর দিন খেতে পেতেন না। এই সময়ে তাঁর পাশে দাঁড়ানোরও কেউ ছিল না।
১১১৩
অনেক বছর পর ২০০৭ সালে চেন্নাইয়ের একটি দরগার বাইরে রাস্তায় তাঁকে পড়ে থাকতে দেখা যায়।
১২১৩
কঙ্কালসার চেহারা, মলিন পোশাক, গায়ে পোকা, মাছি ঘুরে বেড়াচ্ছিল। তিনি এতটাই শীর্ণ ছিলেন যে মাছি তাড়ানোরও শক্তি ছিল না দেহে। দেখে বোঝার কোনও উপায়ই ছিল না যে তিনিই সেই নিসা নুর।
১৩১৩
তাঁকে চিনতে পেরে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করে দেয়। সেখানে চিকিৎসায় ধরা পড়ে তিনি এইচআইভি আক্রান্ত। ২০০৭ সালের ২৩ এপ্রিল মাত্র ৪৪ বছর বয়সে এডসে তাঁর মৃত্যু হয়।