‘শবর’ ফিরছে
চার বছর পরে ২৭ মে ‘শবর’ ফিরছে। রবিবার ঘোষণা করেছেন পরিচালক অরিন্দম শীল।
‘তিরন্দাজ শবর’-এর পটভূমিকায় শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়ের অপ্রকাশিত উপন্যাস ‘তিরন্দাজ’। মুখ্য ভূমিকায় শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়। শবরের সহকারী শুভ্রজিৎ দত্ত। ছবিতে বিভিন্ন চরিত্রে চন্দন সেন, দেবলীনা কুমার, পৌলমী দাস ছাড়াও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় রয়েছেন নাইজেল আকারা।
অরিন্দমের সঙ্গে প্রথম কাজ ‘গোত্র’ ছবির ‘তারেক আলি’র। কী ভাবে যোগাযোগ? নাইজেল জানিয়েছেন, পরিচালক নিজেই যোগাযোগ করেন তাঁর সঙ্গে। দেখা করতে বলেন অফিসে। জানান, শবরের নতুন ফ্র্যাঞ্চাইজিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র রয়েছে। নাম সুমিত। তিনি নাইজেলকে ওই চরিত্রে দেখতে ইচ্ছুক। শুনেই দ্বিতীয় বার ভাবেননি অভিনেতা।
ছবিতে সুমিত শিক্ষিত ট্যাক্সিচালক। অর্থনীতিতে স্নাতকোত্তর। মাথার উপরে অপরাধের অভিযোগ ঝুলছে। ছবির অনেকটা জুড়ে বস্তি এলাকা। সেখানেই রাজত্ব তার। অভিনয় করতে গিয়ে এক বারও মনে হয়েছে, চরিত্রে যেন নিজের অতীত বাস্তবের ছোঁয়া? ‘‘কোনও চরিত্রে অভিনয় করার সময়েই এ কথা মনে হয় না’’— সংক্ষিপ্ত জবাব নাইজেলের। বরং অরিন্দমের সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতার কথা বলতে গিয়ে উচ্ছ্বসিত তিনি, ‘‘শ্যুটের আগে পরিচালক প্রশিক্ষণ দিয়ে নেন। শ্যুটের সময় তাঁর উপস্থিতিই টের পাওয়া যায় না! অরিন্দমদা কখনও চেঁচান না। বকেন না। সবটা চুপচাপ দেখেন। কিন্তু শট নিখুঁত না হলে কাউকে ছাড়েন না। কাজের ক্ষেত্রে ভয়ানক খুঁতখুঁতে। কাজ করে খুব মজা পেয়েছি।’’
নাইজেল এই ছবিতে সিংহ ভাগ অভিনয় করেছেন ‘শবর’ শাশ্বতর সঙ্গে। এই মুহূর্তে যে অভিনেতা বলিউড, টলিউড, দক্ষিণী বিনোদন দুনিয়া দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন। শট দিয়ে গিয়ে টেনশনে ভিতরে ভিতরে কেঁপেছিলেন? জবাবে হেসে ফেলেছেন নাইজেল। তাঁর দাবি, ‘’১০-১২ বছর ধরে ইন্ডাস্ট্রিতে। ভয় পাওয়ার বয়সটা চলে গিয়েছে। মন দিয়ে নিজের কাজটা করি। পরিচালক যা চান, সেটা পূরণ করার চেষ্টা করি। বরং বিপরীতে প্রথম সারির অভিনেতা থাকলে মনোযোগ আরও বেড়ে যায়। কারণ, তাঁর অভিনয়কে সম্মান জানাতে আমাকেও তো ভাল অভিনয় করতে হবে!’’
নাইজেলের অভিনয় জীবন শুরু নন্দিতা রায়-শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের ‘মুক্তধারা’ দিয়ে। একে একে সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের ‘রাজকাহিনী’ হয়ে অরিন্দম শীলের ‘শবর’-এ কাজ করলেন। কাকে কত নম্বর দেবেন? প্রশ্ন শুনেই আগে আত্মপক্ষ সমর্থন, ‘‘এ ভাবে বলা খুব কঠিন। কী উত্তর দেব?’’ একটু সময় নিয়ে নাইজেল অকপটে বললেন, ‘‘বাংলায় হাতেগোনা ১০-১২ জন ভাল পরিচালক। প্রত্যেকে প্রত্যেকের মতো করে সেরা। কখনও নিজেদের গল্প ক্যামেরাবন্দি করেন। কখনও নামী সাহিত্যিকের গল্প নিয়ে ছবি বানান। কেউ ঘরোয়া গল্প বলায় পারদর্শী। কেউ রহস্য-রোমাঞ্চে মাস্টারপিস। হাতেগোনা কয়েক জন থাকলে তাঁদের কখনও নম্বর দেওয়া যায়?’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy