রাসমণির ভূমিকায় দিতিপ্রিয়া রায়।
সপরিবারে একঘরে হতে চলেছেন রানি মা। ব্রাহ্মণদের বিধান, রাসমণির বড় নাতবউমা অপবিত্র।
কী হয়েছে রাসমণির বড় নাতবউমা স্বর্গত নাতি মহেন্দ্রচন্দ্র দাসের স্ত্রী-র সঙ্গে? ‘রাণী রাসমণী’র প্রোমোতে দেখা যাচ্ছে, বাড়ির মেয়েরা ‘নাতবউয়ের’ কাছে জানতে চাইছেন, কতখানি অত্যাচারিত হয়েছেন তিনি? কারণ, তিনি ‘আটক’ হয়েছিলেন!
কে আটক করেছিল তাঁকে?তিনি কি ধর্ষিতা? প্রশ্ন খোদ ‘রানি মা’ দিতিপ্রিয়া রায়কেই। দিতিপ্রিয়া আনন্দবাজার ডিজিটালকে জানালেন, ধর্ষণ নয়, অন্য এক জমিদার অপহরণ করেছিলেন রাসমণির নাতবউকে। অনেক কষ্টে জীবন্ত ফিরিয়ে নিয়ে আসা হয় তাঁকে। কিন্তু তত ক্ষণে সমাজের চোখে তিনি কলঙ্কিনী। তাই এই শাস্তির বিধান। অতঃপর? ব্রাহ্মণদের বিধান অনুযায়ী ধোপা-নাপিত বন্ধ করে সমাজচ্যুত করা হবে রানি মাকে, সপরিবারে। যত দিন তাঁরা একই বাড়িতে থাকবেন, তত দিন কোনও ব্রাহ্মণ আসবেন না। যদি রাসমণি নিজে থেকে ত্যাগ করেন বউমাকে, তাহলে অবশ্য এই শাস্তি মকুব হবে। একটি সকালের মধ্যে এই সিদ্ধান্ত নিতে হবে তাঁকে।
আরও পড়ুন- রিয়াকে ফের ডাকল ইডি, রাতভর জেরা ভাই শৌভিককে
অষ্টাদশ শতকে রানি রাসমণির জন্ম। একুশ শতকে সেই চরিত্রে অভিনয় করতে গিয়ে কী মনে হচ্ছে, মেয়েদের জন্য সমাজ উদার হয়েছে? ‘‘হল কই!’’ একরাশ বিস্ময় আর ক্ষোভ ঝরল দিতিপ্রিয়ার গলায়। বললেন, ‘‘অভিনয় করতে করতে মনে হচ্ছিল, যেখানে ছিলাম যেন সেখানেই দাঁড়িয়ে আছি। আজও মেয়েদের সঙ্গে এমন ঘটনা ঘটলে সব দায় তাদের উপরেই চাপিয়ে দেওয়া হয়।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy