বরবেশে কিয়ান।
‘আজ এই ফাল্গুনে’ অনেক কিছুই ঘটতে পারে। সামাজিক ভাবে নোয়াকে বিয়ে করতে পারে কিয়ান। ছোট পর্দায় বরবেশে দেখা যেতে পারে তাকে। ব্যক্তিগত জীবনে কী করতে পারেন দিব্যজ্যোতি দত্ত? সন্ধানে আনন্দবাজার ডিজিটাল।
প্রশ্ন: বরবেশে কিয়ান। বিয়ের কনের সাজে নোয়া। বিয়ে ভাঙতে ভাঙতেও জোড়া লাগছে?
দিব্যজ্যোতি: স্টার জলসা প্রোমো ছাড়ার পর থেকেই এই প্রশ্নই আমায় ছেঁকে ধরেছে। সবাই বলছেন, ‘স্টার জলসা’র 'দেশের মাটি' নাকি লাখ টাকার প্রশ্ন তুলে দিয়েছে ধারাবাহিকে। এর পরে গল্প কী করে ফাঁস করি! এটুকু বলতে পারি, হয় লাখ টাকা দিতে হবে নয়তো অপেক্ষা করতে হবে আগামী সম্প্রচারের জন্য (হাসি)।
প্রশ্ন: বাগদত্তা থাকা সত্ত্বেও অন্যকে পছন্দ। তার সম্মানরক্ষায় সিঁদুরদান। বাস্তবে ঘটলে কী ভাবে সামলাবেন?
দিব্যজ্যোতি: বিশ্বাস করুন, অভিনয় করতে করতে এই দৃশ্য, এই পরিস্থিতি আমাকেও ভাবাচ্ছে। যদিও আমি কোনও দিনই এই পরিস্থিতিতে পড়ব না। বিদেশে বড় হওয়া কিয়ান জানে না, মন্দির হোক বা অনুষ্ঠান করে বিয়ে, সিঁদুর পরানোর পরেই বদলে যায় একটি ছেলে এবং মেয়ের জীবন। এই সিঁদুরদানের মানে দিব্যজ্যোতি জানে। তাই যাকে সে মন থেকে ভালবাসবে, এক মাত্র তাকেই সিঁদুর পরাবে। কিয়ানও অবশ্য ভালবেসে নোয়াকে বাঁচাতে গিয়ে সিঁদুর পরিয়েছে। ধীরে ধীরে উপলব্ধিও করতে পেরেছে সেটা। সেই জন্যই সব ভুলে ‘আজ এই ফাল্গুনে’ ঘটতে চলেছে খুব শিগগিরি।
প্রশ্ন: পর্দায় কিয়ান হিট। ব্যক্তিজীবনে সেই জনপ্রিয়তা ছায়া ফেলেছে?
দিব্যজ্যোতি: পড়শি, বন্ধু, আত্মীয়দের থেকে তো বটেই, সেট থেকেও খুব ভাল ভাল কথা শুনছি। সবাই বলছেন, ধারাবাহিক জমে গিয়েছে। আমার উত্তর, এটা সবাই মিলে সম্ভব করেছি। অভিনেতা থেকে কলাকুশলী, প্রত্যেকে ভীষণ পরিশ্রম করছেন। মাথার উপরে রয়েছেন লীনা গঙ্গোপাধ্যায়। তাঁর কাজ সব সময়েই দর্শকেরা পছন্দ করেন। ঋতা দত্ত চক্রবর্তী বললেন, ‘‘অভিনয়ের এই ধার ধরে রেখো।’’ ওঁর মতো অভিনেতার এই কথা আশীর্বাদের সমান।
প্রশ্ন: দর্শকেরা কিয়ানের উপরে রেগেও গিয়েছিল। নিজের মত প্রকাশ করতে না পারার জন্য। সোশ্যাল পেজে মন্তব্য এসেছে, কিয়ান মেরুদণ্ডহীন...
দিব্যজ্যোতি: তাই? তা হলে আমি সামান্য সফল। লীনাদি যেমন দেখাতে চেয়েছিলেন, আমি সেটা ফোটাতে পেরেছি। এবং সৌভাগ্যবানও। চরিত্র হয়ে উঠে দর্শকের ভালবাসা আদায় করতে পেরেছি। আমাদের যাঁরা ভালবাসেন তাঁরাই কিন্তু রাগ, অভিমান দেখানোর অধিকার রাখেন। হ্যাঁ, আপাতদৃষ্টিতে কিয়ানকে তেমন মনে হওয়াই স্বাভাবিক। দিব্যজ্যোতি বলছে, আর কয়েকটা দিন অপেক্ষা করুন। নতুন কিয়ান আপনাদের সামনে আসতে চলেছে। তাকে দেখে তার পর না হয় মতামত জানাবেন!
প্রশ্ন: বাস্তবে দিব্যজ্যোতি কেমন? সে কি কিয়ানকে সমর্থন করে?
দিব্যজ্যোতি: নিরপেক্ষ ভাবে এটাই বলব, অবশ্যই কিয়ান ভুল করেছে। বাগদত্তা থাকা সত্ত্বেও নতুন পছন্দের নারীর সম্মান রাখতে গিয়ে মন্দিরে সিঁদুরদান করেছে। এতটা হঠকারিতা হয়তো না করলেও পারত। তবু বলব, পরে এই চরিত্রই প্রমাণ করে দেবে কিয়ানের মেরুদণ্ড আছে না নেই। পাশাপাশি এও বলব, রিল আর রিয়েল তো এক হয় না। তাই পর্দার চরিত্রের সঙ্গে সেই চরিত্রাভিনেতার তুলনা না টানাই বোধ হয় ঠিক।
প্রশ্ন: এই ফাল্গুনে কিয়ানের মতো দিব্যজ্যোতিও কি নতুন জীবনের কথা ভাবছে?
দিব্যজ্যোতি: সবটাই কিয়ানের জীবনে হচ্ছে (হাসি)। আমার জীবনে ভালবাসার মানুষ আসেনি এখনও। এলে তাকেই সিঁদুর পরাব। আমি তো মানসচক্ষেও এটাও দেখি, ৮০ বছরেও নাতি-পুতিদের সঙ্গে খেলা করছি! পাশে আমার ভালবাসার সঙ্গিনী।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy