উষসী চক্রবর্তী।
সঙ্গে সঙ্গে বিনীত ভাবে অভিযোগ স্বীকার করে নিয়েছেন উষসী চক্রবর্তী, ‘ঠিকই বলেছেন। বাংলা মিডিয়ামে পড়েছি তো। সরকারি স্কুলে। ক্লাস সিক্স থেকে ইংরেজি ছিল। তাই জন্যেই বোধ হয় উচ্চারণ তেমন শেখা হয়নি।’ খবর, উষসী অনুরাগীরা রে রে করে উঠতেই সেই পোস্ট নাকি কিছুক্ষণ পরেই মুছে দেন অভিযোগকারিণী। কিন্তু ততক্ষণে ‘জুন আন্টি’র জবাব নেট মাধ্যমে ভাইরাল। অভিনেত্রী ইনস্টাগ্রামে না থাকলে কী হবে? তাঁর সেই কথোপকথনের স্ক্রিন শট দেখতে দেখতে ছয়লাপ সেখানেও। উষসীর দাবি, বিষয়টিকে কেন্দ্র করে অনবরত ফোন আসছে তাঁর কাছে।
হঠাৎ তাঁর ইংরেজি উচ্চারণ নিয়ে এত কেন মাথাব্যথা নেটাগরিকদের? জানতে চেয়েছিল আনন্দবাজার ডিজিটাল। অভিনেত্রীর উত্তর, ‘‘আমার ফেসবুক পাতায় স্টার জলসা পরিবার অ্যাওয়ার্ডের একটি মুহূর্ত পোস্ট করেছিলাম। সেখানে আমি মেকআপ নিচ্ছি। সেই ভিডিয়োয় নাকি আমার কিছু ইংরেজি উচ্চারণে ত্রুটি ছিল।’’ দাবি, অভিনেত্রী খেয়াল না করলেও জনৈকা নেটাগরিকের নাকি কানে বিঁধেছে সেটি। তার পরেই তিনি মন্তব্য বিভাগে লেখেন, ‘আপনার ইংরেজি উচ্চারণ ভয়ঙ্কর!’
‘জুন আন্টি’ কিন্তু এখানেই থামেননি। জানিয়েছেন, সবার পয়সা খরচ করে ইংরেজি মাধ্যমে পড়ার বা পড়ানোর ক্ষমতা থাকে না। তাই নিখুঁত উচ্চারণও সবার হয় না! ‘‘যেমন আমার হয়নি’’, কথাপ্রসঙ্গে নিজেকেই উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরেছেন তিনি। তার পরেই পাল্টা প্রশ্ন ছুঁড়েছেন, ইংরেজি উচ্চারণ নিখুঁত না হলে সে কি অন্য কোনও কিছুর যোগ্য নয়? এ ভাবে অকারণে মানুষকে অপমানের কারণ তিনি অন্তত খুঁজে পাচ্ছেন না।
পাশাপাশি পোস্টে তিনি দাখিল করেছেন নিজের শিক্ষাগত যোগ্যতা। জানিয়েছেন, অভিনয় তাঁর মুকুটে বাড়তি পালক। বাংলা মাধ্যমে পড়েও শিক্ষাক্ষেত্রে একেবারে পিছিয়ে নেই। তিনি সেন্ট জেভিয়ার্স থেকে অর্থনীতিতে স্নাতক। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মানবী বিদ্যায় এমফিলের পর ওই বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই পিএইচডি জমা দিয়েছেন।
এবং গর্বের সঙ্গে জানিয়েছেন, ‘আমার এমফিল এবং পিএইচডি পেপার দুটোই বাংলায়।’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy