মেলবোর্নে অনুষ্ঠান করতে গিয়ে নেহা কক্করকে শুনতে হল ‘গো ব্যাক’ স্নোগান। নেহার অপরাধ গায়িকা তিন ঘণ্টা দেরি করে পৌঁছোন অনুষ্ঠানকক্ষে। যদিও মঞ্চে ওঠামাত্রই সকলের কাছে হাতজোড় করে ক্ষমা চেয়ে নেন নেহা। তবু কর্ণপাত করেনি দর্শকের একাংশ, তাঁরা গায়িকাকে ভারতে ফিরে যেতে বলেন। অপমানিত নেহা জোরে জোরে কাঁদতে শুরু করেন। তখন দর্শকদের কেউ কেউ চিৎকার করে বলেন, ‘‘খুব ভাল অভিনয় হচ্ছে। নাটক কম করুন, এটা ইন্ডিয়ান আইডল নয়।’’ এর পর অনুষ্ঠান শেষ করেছেন নেহা। সমাজমাধ্যমে সেই ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়তেই বোনের অপমানের পাল্টা জবাব দিলেন টোনি কক্কর।
আরও পড়ুন:
তবে মঞ্চে গাইতে উঠে শিল্পী হেনস্থার ঘটনা নতুন নয়। প্রাচ্য ও প্রাশ্চাত্যে দুই জায়গায় এ ক্ষেত্রে পরিস্থিতি প্রায় এক। নেহার সঙ্গে যে দিন এই ঘটনা ঘটে, তার এক দিন আগে দিল্লির একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে হেনস্থার শিকার হতে হয় সোনু নিগমকেও। এ বার দর্শকদের শালীনতার পাঠ দিলেন নেহার দাদা টোনি। সে দিনের অনুষ্ঠানে নেহার দেরি হওয়ার নেপথ্যে ছিল চূড়ান্ত অব্যবস্থা। আসল ঘটনটি না জেনেই যে দর্শক নেহার উপর চড়াও হয়েছেন সেটাই স্পষ্ট করে দেন টোনি। যদিও সেই পোস্টে কারও নাম উল্লেখ করেননি। টোনি লেখেন, ‘‘ধরুন, আমি আমার শহরে আপনাকে আমন্ত্রণ জানালাম একটা শোয়ের জন্য। আর আয়োজনের সমস্ত দায়দায়িত্ব নিজেই নিলাম। সেটা হোটেল বুক করা থেকে শুরু করে অনুষ্ঠানকক্ষে যাওয়ার গাড়ির বন্দোবস্ত করা সবটাই। কিন্তু এ বার আপনি পৌঁছে দেখলেন সে সব কিছুই হয়নি। নেই টিকিটের ব্যবস্থা। হোটেলে বুকিং নেই। বিমানবন্দরে পাঠানো হল না গাড়ি। সেই পরিস্থিতিতে কাকে দায়ী করবেন? এই একটাই প্রশ্ন। কারও উদ্দেশে নয়। শুধু প্রশ্নটা রাখলাম আপনাদের কাছে।’’ পাশপাশি টোনি প্রশ্ন তুলেছেন, ‘‘শিল্পীরা তো শালীনতা বজায় রাখবে, আর জনতা?’’ গায়কের পোস্টে সমর্থন জানিয়েছেন নেটপাড়ার একাংশ। কেউ লিখেছেন ‘‘এই তো এত ক্ষণে সত্যিটা সামনে এল।’’ কেউ আবার গর্জে উঠেছেন বিদেশের মাটিতে ভারতীয় শিল্পীর এই অপমান দেখে।