মহিলাদের মানুষ ভিন্ন পরিসরে দেখছে, এটা সুলক্ষণ বলেই মত অভিনেত্রীর। ফাইল চিত্র
তাঁকে দেখে মনের জোর পান তরুণ অভিনেতারা। মাসাবা গুপ্তের কাছেও আদর্শ তাঁর মা, অভিনেত্রী নীনা গুপ্ত। তবে নীনার জীবন তো আর মসৃণ নয়। ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে হোক কিংবা কেরিয়ার, তাঁর মনের মধ্যে জমে রয়েছে একাধিক আক্ষেপ।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে নীনা জানালেন, পরিচালক শ্যাম বেনেগাল তাঁকে কখনও গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে নির্বাচন করেননি। শ্যাম পরিচালিত তিনটি ছবিতে অভিনয় করেছেন নীনা। আশির দশকের শুরু থেকে নব্বই দশকের শুরুর কালপর্বে সেই তিনটি ছবি হল— ‘মণ্ডী’ (১৯৮৩), ‘ত্রিকাল’ (১৯৮৫), এবং ‘সুরজ কা সাতওয়া ঘোড়া’( ১৯৯২)। কিন্তু প্রত্যেকটি ছবিতেই নীনা ছিলেন ছোট ছোট দৈর্ঘ্যের চরিত্রে।
নীনা জানান, বাণিজ্যিক ছবিই হোক বা সমান্তরাল ছবি— সে সময়ে প্রধান চরিত্রে সুযোগ পাওয়া কঠিন ছিল। নীনার কথায়, ‘‘ এমন মুখই নির্মাতারা চাইতেন, যাঁদের বাজারমূল্য আছে।’’ এই প্রসঙ্গে অভিনেত্রী শাবানা আজ়মি, স্মিতা পাটিলের নাম টেনে আনেন।
ছকে ফেলা মায়ের চরিত্র বাছাই না-করার বিষয়েও তিনি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। সেই সময় বাণিজ্যিক ছবির পরিচালক-প্রযোজকদের কাছে পৌঁছনোর কোনও উপায় ছিল না বলেই জানান নীনা। তাঁর মতে, অন্য ধারার ছবিতে মুখ্য চরিত্র পেতেন শাবানা, স্মিতা। একটু কম বাজেটের ছবি হলে দীপ্তি নাভাল। নীনা বলেন, ‘‘আমাদের কোনও সুযোগই থাকত না। শ্যামের ছবিতেও ছোট চরিত্র করেছি। পরিস্থিতি সেখানেও ছিল বাণিজ্যিক ছবির মতো। আসলে এটা ব্যবসা। তাঁরা (পরিচালক-প্রযোজক) এমন মুখই চাইতেন বাজারে যে মুখের কদর আছে।”
এই প্রসঙ্গেই নীনা বলেন, একরঙা ছকে বাঁধা চরিত্র এবং মায়ের চরিত্রের প্রস্তাব বার বার ফিরিয়েছেন তিনি। মহিলাদের মানুষ ভিন্ন পরিসরে দেখছে, এটা সুলক্ষণ বলেই মত অভিনেত্রীর। গত কয়েক দশক ধরে অজস্র ছবি ও ধারাবাহিকে অভিনয় করেছেন নীনা। মাসাবা মাসাবা ( ২০২০) ওয়েব সিরিজ়েও তাঁর কাজ দর্শককে মুগ্ধ করেছে।
এখনও কাজ করে চলেছেন নীনা। এ বছরেও পর পর নতুন কাজ আসতে চলেছে তাঁর। বছরশেষে মুক্তি পাবে নীনা অভিনীত ছবি ‘মেট্রো ইন দিনো।’ ছবির পরিচালক অনুরাগ বসু।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy