নীনা
বছর দেড়েক আগে কাজ চেয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছিলেন। নীনা গুপ্তর সেই বক্তব্য আলোড়ন তুলেছিল। তার পরেই ‘বধাই হো’। সেখানে নীনা এবং গজরাজ রাওয়ের জুটিই ছিল মুখ্য চরিত্রে। এখন নীনার হাতে বেশ কয়েকটি ছবি রয়েছে। সদ্য ‘পঙ্গা’তে কাজ করেছেন। সামনে মুক্তি পাবে ‘শুভ মঙ্গল জ়াদা সাবধান’, রয়েছেন ‘এইটিথ্রি’ ছবিতেও।
কেরিয়ারের সেকেন্ড ইনিংস কতটা উপভোগ করছেন অভিনেত্রী? ‘‘আমি খুশি। ‘বধাই হো’ আমার কেরিয়ারের টার্নিং পয়েন্ট ছিল। ছবিটা এত বড় হিট হবে ভাবিনি। এটা আমার কাছে বিশাল প্রাপ্তি। যে ধরনের ছবিতে অভিনয় করতে চাই, সেই ধরনের চরিত্র এখন পাচ্ছি। পারিশ্রমিক নিয়েও আমি খুশি। আমি তো অক্ষয়কুমার নই যে, আমার নামে ছবি বিক্রি করা যাবে,’’ স্পষ্টবাদী নীনা। একটা সময়ে ছোট পর্দায় চুটিয়ে কাজ করেছেন। কিন্তু ক্রমশ সেখান থেকেও নিজেকে সরিয়ে নিয়েছিলেন অভিনেত্রী। কেন? ব্যাখ্যায় বললেন, ‘‘প্রায় ১৫০টা শো করেছি। যখন থেকে শাশুড়ি-বৌমার সিরিয়াল টিভিতে ট্রেন্ডিং হল, তখন থেকেই আমি কাজ করা বন্ধ করে দিলাম।’’
সোজাসাপটা কথা বলার জন্য মাঝে তাঁকে বিতর্কেও পড়তে হয়েছিল। ‘সন্ড কী আঁখ’ ছবিতে বয়স্ক মহিলার চরিত্র করেছিলেন তাপসী পান্নু এবং ভূমি পেডনেকর। তা নিয়ে আপত্তি জানিয়েছিলেন নীনা। প্রশ্ন তুলেছিলেন, কেন তাঁর মতো প্রবীণ কাউকে নেওয়া হল না? তবে এ বার একটু সাবধানী শোনাল তাঁর কণ্ঠস্বর, ‘‘আমার মনে হয়, সোশ্যাল মিডিয়াতে ও ভাবে লেখা উচিত ছিল না। তার চেয়ে মনের মধ্যেই রেখে দিতে পারতাম। আসলে এত কিছু ভেবে মন্তব্য করিনি। আর বিষয়টা নিয়ে একটু বেশিই জলঘোলা হল।’’
‘শুভ মঙ্গল জ়াদা সাবধান’ ছবিটি সমকামিতা নিয়ে। এ ব্যাপারে তাঁর কী মত? ‘‘আমি সময়ের আগে চলেছি বরাবর। কাউকে দেখে ভাল লাগলে আমাদের যেমন অনুভূতি হয়, সমকামীদের ক্ষেত্রেও তা-ই। এখানে তাঁরা আলাদা, এমন ভাবার কোনও কারণ নেই। ছবিতে খুব সুন্দর ভাবে প্রতিটি চরিত্র সাজানো হয়েছে। আশা করি, এটা দেখে অনেক ভুল ধারণা ভেঙে যাবে।’’
সম্প্রতি মেয়ে মাসাবার সঙ্গে প্রথম বার স্ক্রিন শেয়ার করলেন নীনা। মাসাবার জীবনের উপরে একটি সিরিজ় করছেন পরিচালক সোনম নায়ার। সেই অভিজ্ঞতা প্রসঙ্গে বলছিলেন, ‘‘এই কাজটা করে খুব আনন্দ পেয়েছি। ওখানেও আমি মাসাবার মা। নতুন প্রজন্মের এই সিরিজ়টা ভাল লাগবে বলেই আমার বিশ্বাস।’’
কাজ আর মেয়ে, এই দুই নিয়েই নীনার জগৎ। ভালবাসেন নতুন নতুন খাবার খেতে। সম্প্রতি হেয়ারস্টাইলও বদলেছেন। মেকওভার করতে চাইছেন? ‘‘না, ঠিক তা নয়। আসলে এখন আমার চুল অনেক কমে গিয়েছে। গত বছর অনেক আউটডোর শুট করেছি। তখন আমার চুল এবং শরীর দুটোই খারাপ হয়ে গিয়েছিল। যিনি আমার চুল কাটেন, তাঁকে গিয়ে বললাম, নতুন স্টাইল করে দাও। ব্যস, কেটে ফেললাম। ভাল ফিডব্যাক পেয়েছি,’’ হেসে বললেন অভিনেত্রী। মায়ের নতুন লুককে গ্রিন সিগন্যাল দিয়েছেন মেয়েও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy