Advertisement
০৬ নভেম্বর ২০২৪
Naseeruddin Shah

বাবা বেঁচে থাকতে কথা হয়নি, কবরের সামনে দাঁড়িয়ে মনের কথা বলে এসেছেন নাসিরুদ্দিন

চলচ্চিত্র শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তির জন্য টাকা দরকার ছিল নাসিরুদ্দিনের। তিনি বাবাকে চিঠিতে লিখেছিলেন, ৬০০ টাকা এখনই দরকার। ভেবেছিলেন বাবা দেবেন না। কিন্তু মানি অর্ডার করে টাকা পাঠিয়ে দেন তিনি।

Naseeruddin Shah opens up about unresolved issues with late father

নাসিরুদ্দিন শাহ —ফাইল চিত্র

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
মুম্বই শেষ আপডেট: ০৪ জুন ২০২৩ ১৩:৪৮
Share: Save:

রাজনীতি হোক কিংবা সমাজ, অভিনেতা নাসিরুদ্দিন শাহ সব কিছু নিয়েই খোলাখুলি মতামত দেন। ব্যক্তিগত জীবন সম্পর্কে কথাবার্তা বলতেও সঙ্কোচ নেই তাঁর। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে নাসির প্রকাশ্যে আনলেন বাবার সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের জটিলতার কথা। বর্ষীয়ান অভিনেতা জানান, বাবার সঙ্গে যে দূরত্ব তৈরি হয়েছিল, কোনও ভাবেই তা সহজ করতে পারেননি তিনি। দু’জনের মধ্যে কথা হত না।

নাসিরের আক্ষেপ, শেষ দিনগুলিতেও বাবার পাশে থাকতে পারেননি তিনি। বাবা আলি মহম্মদ চলে যাওয়ার পর উতলা হয়ে উঠেছেন। কী ভাবে তাঁর সঙ্গে সংযোগ স্থাপনের চেষ্টা করেন তিনি, অভিনেতা জানান সে কথাও।

এক সাক্ষাৎকারে নাসির বলেন, “আমি আমার বাবাকে কখনও বুঝিনি, তিনিও আমাকে বোঝার চেষ্টা করেননি। পুরনো ধ্যানধারণায় বিশ্বাস করতেন বাবা। যেমন, তিনিই সংসারের কর্তা, তিনি যেটা বলবেন সেটাই হবে। আমার সন্তানদের সঙ্গে অবশ্য আমি এমনটা করিনি কখনও।”

অভিনেতা আরও বলেন, “সব সময় বাবার সঙ্গে আমার একটা দূরত্ব থেকেই গিয়েছিল। যেটা কখনও ঘোচেনি। এ জন্য আমি আফসোসও করি।”

আলির শেষকৃত্যে ছিলেন না নাসিরুদ্দিন। কিন্তু কবরে শুয়ে থাকা বাবার সঙ্গে পরে মন খুলে কথা বলেছেন। তাঁর মনে হত বাবা শুনছেন।

অভিনেতা জানান, যৌবনে কাউকে কিছু না জানিয়ে বাড়ি থেকে হঠাৎ চলে এসেছিলেন বলে অপরাধী মনে হয় নিজেকে। তাঁর কথায়, “যখন আমি প্রথম বিয়ে করি, বাবা খুব আঘাত পেয়েছিলেন। কিন্তু যখন আমার মেয়ে হল, বাবা দেখতে এলেন তাঁর নাতনিকে। তখন ভীষণ খুশি হয়েছিলেন। মেয়ের জন্য সম্পর্কটা অনেকটা মেরামত করা গিয়েছিল। কিন্তু শেষ অবধি টেকেনি সেটা।”

বাবা ভালওবাসতেন তাঁকে। বিনা বাক্যব্যয়ে ৬০০ টাকা দিয়ে দিয়েছিলেন নাসিরকে। অভিনেতা সেই স্মৃতি রোমন্থন করে বলেন, “আমি চলচ্চিত্র শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হতে চেয়েছিলাম। বাবা বলেছিলেন, আরও দু’বছর আমার খরচা টানতে পারবেন না। কিন্তু আমি ওখানে সুযোগ পেয়ে যাই। সেই দুটো বছর আমার ভাই আমাকে খুব সাহায্য করেছিল।”

চলচ্চিত্র শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তির জন্য টাকা দরকার ছিল নাসিরুদ্দিনের। তিনি বাবাকে চিঠিতে লিখেছিলেন, ৬০০ টাকা এখনই দরকার। ভেবেছিলেন বাবা দেবেন না। কিন্তু মানি অর্ডার করে টাকা পাঠিয়ে দেন তিনি। কিছুই জানতে চাননি। এতে বাবার প্রতি চিরকৃতজ্ঞ নাসির। শুধু আফসোস রয়ে গিয়েছে তাঁর, বাবাকে পাওয়া হল না সেই ভাবে।

নাসিরকে সম্প্রতি দেখা গিয়েছে ‘তাজ: ডিভাইডেড বাই ব্লাড’-এর দ্বিতীয় সিজনে।

অন্য বিষয়গুলি:

Naseeruddin Shah
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE