মা নার্গিস দত্তের সঙ্গে সঞ্জয় দত্ত। ছবি: সংগৃহীত।
অভিনয়ের পাশাপাশি বিতর্কিত এবং বর্ণময় ব্যক্তিগত জীবনের জন্যও বার বার শিরোনামে উঠে এসেছেন সঞ্জয় দত্ত। সুনীল দত্ত এবং নার্গিস দত্তের মতো বিখ্যাত তারকাজুটির পুত্র তিনি। আত্মজীবনীর পৃষ্ঠায়ও সঞ্জয়কে উজ্জ্বল করেছেন তাঁর অভিভাবকেরা।
নার্গিস নাকি সন্দেহ করতেন সঞ্জয়কে। ভাবতেন, তাঁর পুত্র সমকামী নয় তো! সন্দেহ জেগেছিল কেন, তা সঞ্জয় নিজেই জানতে পারেন অনেক পরে। হাসিতে ফেটে পড়েন তিনি। তবে খুব সুন্দর করে বিষয়টি ধরে রাখেন আত্মজীবনী ‘সঞ্জয় দত্ত: দ্য ক্রেজি আনটোল্ড স্টোরি অফ বলিউড’স ব্যাড বয়’-এ।
১ জুন প্রয়াত নার্গিসের জন্মবার্ষিকীতে চর্চায় সঞ্জয়ের জীবনের সেই মজাদার অধ্যায়।
পুরুষবন্ধুরা গল্প করতে আসতেন সঞ্জয়ের সঙ্গে। যখনই তাঁদের সঙ্গে সময় কাটাতেন, ঘরের দরজা ভিতর থেকে বন্ধ করে দিতেন সঞ্জয়। নার্গিস চিন্তা করতেন, কী এমন ব্যাপার যে, ঘরের দরজা বন্ধ করে গল্প করতে হবে? সঞ্জয় সমকামী নন তো? না হলে এমন গোপনীয়তা কেন? ভেবে আকুল হয়েছিলেন অভিনেত্রী।
সঞ্জয়ের বোন প্রিয়া দত্ত এক দিন শুনে ফেলেছিলেন তাঁর আশঙ্কার কথা। নার্গিস ফোন করে বলছিলেন এক বন্ধুকে, “বন্ধুরা এলেই কেন সঞ্জয় ঘরের দরজা লক করে দেয়? এমন কী ব্যাপার আছে? আশা করি, ও সমকামী নয়!” প্রিয়া এসে হাসতে হাসতে জানান সঞ্জয়কে।
নার্গিসের তিন সন্তান সঞ্জয়, প্রিয়া এবং নম্রতার মধ্যে সঞ্জয়ই সবচেয়ে বেশি আদর এবং প্রশ্রয় পেতেন। কালেভদ্রে সঞ্জয়ের উপর রেগে গিয়ে মেজাজ হারাতেন নার্গিস, ধৈর্যচ্যুতি ঘটত তাঁর। এক বার নাকি রেগে গিয়ে চটি ছুড়ে মেরেছিলেন।
১৯৮১ সালে হঠাৎই প্রয়াত হন নার্গিস। সঞ্জয়ের বয়স তখন মাত্র ২২।
ছেলেকে অন্ধ ভাবে বিশ্বাস করতেন নার্গিস। তাঁর মাদকাসক্তির কথা মানতে চাইতেন না। যখনই কোনও বন্ধু এ বিষয়ে নার্গিসকে সচেতন করতে চাইতেন, তিনি জবাব দিতেন, “আমার ছেলে কখনও মদ খায় না, ড্রাগ স্পর্শ করার প্রশ্নও ওঠে না।”
জন্মদিনে প্রয়াত মায়ের উদ্দেশে ভালবাসার বার্তা পাঠিয়েছেন সঞ্জয়। লিখেছেন, “আমার ধ্রুবতারা, যেখানেই থাকো তোমায় আজীবন ভালবাসব।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy