শাম্মির সঙ্গে যখন তাঁর জমাটি প্রেম চলছে, মুমতাজ তখন সদ্য ১৭ বছর বয়সে পা রেখেছেন ইন্ডাস্ট্রিতে। ‘খিলোনা’র নায়িকাকে সেই সময়েই বিয়ের প্রস্তাব দেন রাজ কপূরের মেজো ভাই। মুমতাজ তাঁকে ভালবাসলেও মুখের উপর ‘না’ বলে দেন তাঁকে। হতবাক হয়ে যান শাম্মি নিজেও।
জনপ্রিয় এক গানের দৃশ্যে মুমতাজ ও শাম্মি।
তাঁর প্রেমে এক সময়ে হাবুডুবু খেতেন শাম্মি কপূর! জুটিতে তাঁদের ‘তেরে মেরে প্যায়ার কে চর্চে’ তুফান তুলেছিল পর্দায়। কপূর খানদানের মেজো ছেলে বিয়েও করতে চেয়েছিলেন তাঁর পর্দা ও বাস্তবের প্রেমিকাকে। কিন্তু সে প্রস্তাব নাকি ফিরিয়ে দেন মুমতাজ নিজেই!
বলিউডে বরাবরই রমরমা কপূরদের। আজও নাকি সেই পরিবারের এক জন হওয়ার স্বপ্ন দেখেন বহু অভিনেত্রী। সেই বাড়ির ছেলেকেই তবে কেন ফিরিয়ে দিয়েছিলেন সদ্য জনপ্রিয়তার স্বাদ পাওয়া এ এক নায়িকা? এত কাল বাদে সে উত্তর মিলল খোদ মুমতাজের কাছেই।
শাম্মির সঙ্গে যখন তাঁর জমাটি প্রেম চলছে, মুমতাজ তখন সদ্য ১৭ বছর বয়সে পা রেখেছেন ইন্ডাস্ট্রিতে। ‘খিলোনা’র নায়িকাকে সেই সময়েই বিয়ের প্রস্তাব দেন রাজ কপূরের মেজো ভাই। মুমতাজ তাঁকে ভালবাসলেও মুখের উপর ‘না’ বলে দেন তাঁকে। হতবাক হয়ে যান শাম্মি নিজেও।
অভিনেত্রীর কথায়, ‘‘কপূর পরিবার বড্ড রক্ষণশীল ছিল, বড্ড কড়া। শাম্মিকে বিয়ে করলে আমায় ওরা কিছুতেই অভিনয় করতে দিত না। তখন সবে আমার সতেরো বছর বয়স। তাই অভিনয়ের সুযোগ, বলিউডের কেরিয়ার জলাঞ্জলি দিয়ে বিয়ে করে ফেলতে রাজি হইনি। নিজের পরিবারের প্রতিও আমার কিছু দায়িত্ব ছিল। শাম্মি ভীষণ রেগে গিয়েছিলেন বিয়েতে রাজি না হওয়ায়। বলেছিলেন, আমি আসলে ওঁকে ভালইবাসিনি। শুধুই নায়িকা হতে চেয়েছিলাম!’’
শুধু শাম্মি নন, মুমতাজের সিদ্ধান্ত বিশ্বাস করতে পারেননি তৎকালীন বলিউডের অনেকেই। সবারই প্রশ্ন ছিল, কপূর পরিবারের ছেলেকে কেউ ফিরিয়ে দিতে পারে?
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy