Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
Moushumi Chatterjee

‘এতদিন চুপ ছিলাম, আর নয়’, মৌসুমির বিরুদ্ধে মানহানির অভিযোগে আদালতে যাচ্ছেন জামাই ডিকি

চলতি মাসের ১৩ তারিখে মৃত্যু হয় মৌসুমি চট্টোপাধ্যায়ের মেয়ে পায়েল ডিকি সিংহের।

বাঁ দিকে মৌসুমি, মাঝে মেয়ে পায়েল এবং ডানদিকে ডিকি

বাঁ দিকে মৌসুমি, মাঝে মেয়ে পায়েল এবং ডানদিকে ডিকি

সংবাদ সংস্থা
নয়া দিল্লি শেষ আপডেট: ২৮ ডিসেম্বর ২০১৯ ১৪:৪৩
Share: Save:

স্ত্রীর অসুস্থতার কথা মাথায় রেখেই এতদিন যাবতীয় ‘মিথ্যা অভিযোগ’ সহ্য করেছিলেন। দু’সপ্তাহ আগেই হারিয়েছেন স্ত্রী পায়েলকে। এখন আর কিছুই হারানোর নেই, তাই শাশুড়ি মৌসুমি চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে আদালতে মানহানির মামলা দায়ের করবেন বলে সংবাদ সংস্থাকে জানালেন ডিকি সিংহ। ঠিক কী বলেছেন ডিকি? কেনই বা কিংবদন্তি অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে আদালতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি?

ডিকির কথায়, “এতদিন চুপ ছিলাম কারণ, পায়েলের খেয়াল রাখতে হচ্ছিল। এখন পায়েল নেই।কিছু কাজ এখনও বাকি রয়েছে। ওঁর মৃত্যুর ৪০ দিন পর আমাকে ত্রিবেণী গিয়ে ওঁর অস্থি বিসর্জন করতে হবে। তাঁর পর মৌসুমি চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে জানুয়ারি নাগাদ আমি আদালতে মানহানির মামলা দায়ের করব।”

চলতি মাসের ১৩ তারিখে মৃত্যু হয় মৌসুমি চট্টোপাধ্যায়ের মেয়ে পায়েল ডিকি সিংহের। ছোটবেলা থেকেই টাইপ ওয়ান ডায়াবিটিসে আক্রান্ত ছিলেন পায়েল। চলছিল নিয়মিত চিকিৎসাও। ২০১৭ সালে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিছু দিন চিকিৎসার পর ২০১৮ নাগাদ তাঁকে বাড়িতে নিয়ে আসেন ডিকি। তখনও মেয়ে পুরোপুরি সুস্থ হওয়ায় আগে হাসপাতাল থেকে ছাড়িয়ে আনার বিষয়ে আপত্তি জানিয়েছিলেন মৌসুমি। মৌসুমির অভিযোগ ছিল, অবহেলা করা হচ্ছে পায়েলকে। তিনি আরও জানিয়েছিলেন, নাতনির সঙ্গেও নাকি মৌসুমিকে দেখা করতে দেন না ডিকির বাড়ির লোকেরা।

আরও পড়ুন- ড্রোন উড়িয়ে শুটিং করায় বিপাকে সৃজিত, হল জরিমানা

দুই পরিবারের মধ্যে সম্পর্কের এতটাই অবনতি হয় যে, জল গড়ায় বম্বে হাইকোর্ট পর্যন্ত। আদালত থেকে বারেবারে দুই পরিবারের মধ্যে দূরত্ব মিটিয়ে নেওয়ার জন্য বলা হলেও বাস্তবে হয়েছে ঠিক তার উল্টো। যত দিন গিয়েছে, সম্পর্কের অবনতি হয়েই গিয়েছে।

পায়েল মারা যাওয়ার কিছু দিন পর এক ম্যাগাজিনে মৌসুমি চট্টোপাধ্যায় প্রসঙ্গে ক্ষোভ উগরে দেন ডিকি। সেই ম্যাগাজিনকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে ডিকি দাবি করেন, মৃত্যুর পর পায়েলের মুখও দেখেননি মৌসুমি। পায়েলের শেষকৃত্য অথবা শ্রাদ্ধানুষ্ঠানেও দেখা যায়নি তাঁকে।

মৌসুমি কেন আসেননি, সে ব্যাপারে তাঁর কোনও ধারণা নেই বলেই জানিয়েছিলেন ডিকি। যদিও নেটিজেনদের বেশিরভাগই সে সময় বলেছিলেন, মা হয়ে মেয়ের মৃত্যু চোখের সামনে দেখতে পারবেন না বলেই হয়তো আসেননি মৌসুমি।

গত দু’বছর ধরে পায়েল ছিলেন শয্যাশায়ী। হাঁটাচলার ক্ষমতাও হারিয়েছেন। পায়েলের এমন অবস্থার জন্য মৌসুমি দায়ী করেছিলেন জামাইকে। অন্যদিকে ডিকিও সেই ম্যাগাজিনকে জানিয়েছিলেন, একবার নাকি মৌসুমি চট্টোপাধ্যায়ের ছোট মেয়ে মেঘা জোর করে পায়েলকে প্রসাদ খাওয়াতে গিয়েছিলেন। সে সময় নাকি দম আটকে মারা যাওয়ার উপক্রম হয়েছিল তাঁর।

আরও পড়ুন-দাদুর মৃত্যুর পরদিনই পার্লারে গিয়ে কটাক্ষের শিকার মেয়ে নাইসা, এ বার মুখ খুললেন অজয়

মৌসুমির প্রধান অভিযোগ ছিল, অসুস্থ পায়েলের যে ভাবে খেয়াল রাখা উচিত, সে ভাবে রাখছেন না ডিকি। ডিকির জবাব ছিল, “মৃত্যুর আগে শেষ দু’মাস ধরে হাসপাতালে ভর্তি ছিল পায়েল। মৌসুমি দু’মাসে মাত্র পাঁচ বার পাঁচ মিনিটের জন্য মেয়েকে দেখতে এসেছিলেন।”

যদিও এর আগে আনন্দবাজার ডিজিটালের পক্ষ থেকে মৌসুমিকে এই ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি কোনও মন্তব্য করতে চান না বলেই জানিয়েছিলেন।

আরও পড়ুন: ন্যুড বিকিনিতে পুলের জলে সারা আলি খানের হেয়ার ফ্লিপের এই ভিডিয়ো দেখেছেন!

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy