মোস্তফা সরয়ার ফারুকী।
প্রশ্ন: বিশ্বে বাংলা ছবির কদর কমছে। অথচ আমেরিকা থেকে অস্ট্রেলিয়া, আপনার কাজের চর্চা হচ্ছে...
ফারুকী: দেখুন আমি ছবি তৈরি করি। সময়টাকে ধরে রাখতে চাই। মানুষ ভালবাসেন আমার ছবি দেখতে। আর ছবিকে আমি আঞ্চলিক করে রাখতে চাই না। যেমন ধরুন ‘লেডিস অ্যান্ড জেন্টলমেন’, এই যে সিরিজটা এখন জি ফাইভে চলছে, এই সিরিজ এমন ভাবে তৈরি করার চেষ্টা করেছি যাতে বিশ্বের বাংলা ভাষার যে কোনও মানুষ এই সিরিজ দেখে বলতে পারে এ ঘটনা তো আমার সঙ্গেও ঘটেছিল। ছবির আবেগের কান্না দর্শকের আবেগের সঙ্গে যেন মিলে যায়। কাজের সময় এটাই মাথায় রাখি। তবে প্রথম দিন থেকেই বাংলাদেশের মানুষ আমার ছবি নিয়ে আগ্রহ দেখিয়েছে এমন নয়।
প্রশ্ন: একটু বিশদে বলুন...
ফারুকী: আমার প্রথম ছবি ‘ব্যাচেলর’ থেকে এখনও অবধি দেখেছি, ছবি মুক্তির সময় বাংলাদেশের দর্শক দু’ভাগে ভাগ হয়ে যায়। এর কারণ, প্রায় প্রত্যেক ছবিতেই আমি নিজেকে নতুন নতুন চ্যালেঞ্জের মুখে ছুড়ে দিই। ফলে প্রত্যেকটা ছবিই দর্শকের কাছে একটা আলাদা জার্নি হয়ে দাঁড়ায়। এক দল মানুষ যাঁরা পুরনো থার্মোমিটারে আমাকে মাপতে চান, তাঁরা এর বিপক্ষে বলতে শুরু করেন। আরেক দল, যাঁরা সব সময়েই নতুন রাস্তার যাত্রী হতে চান, তাঁরা এর পক্ষে বলতে শুরু করেন। আর এই পক্ষে-বিপক্ষে আলোচনার মধ্যে দিয়ে বিশ্বের কাছে বাংলাদেশের ছবি নতুন বাঁকে এগোতে থাকে।
প্রশ্ন: অভিযোগ কী আসে?
ফারুকী: আমি যখন প্রথম দিকে ছবি তৈরির কাজে হাত দিই তখন বাংলাদেশের মানুষ আমার বিরুদ্ধে গর্জে উঠেছিলেন। তারা বলেছিলেন আমি সব ভেঙেচুরে নষ্ট করে দিচ্ছি। ওই সময় তারেখ মাসুদ এক মাত্র মানুষ যিনি বুদ্ধিজীবীদের ‘ডার্লিং’ হয়েও বাংলাদেশের এক পত্রিকায় আমাকে না জানিয়ে বিশদে লিখেছিলেন। তিনি দেখিয়েছিলেন আমার বিরুদ্ধে বুদ্ধিজীবিরা যে অভিযোগ আনছেন সেটা বিশ্ব চলচ্চিত্রের নিরিখে কতটা ভুল। উনি সে দিন আমার পাশে ছিলেন। আরও একটা কথা।
বাঙালি মাত্রেই রক্ষণশীল। তারা যে অঞ্চলের বাঙালিই হোক। নতুন কিছু দেখলেই শিউরে ওঠে সকলে। (একটু থেমে) আসলে কেবল বাঙালি নয়, পূর্ব জার্মানিতে থাকে আমার এক বন্ধু, সে বলেছিল ওর আব্বা বার্বি ডল দেখেও ভয় পেয়েছিল। বলেছিল, ‘পশ্চিম থেকে এই সব এসে সমস্ত কিছু শেষ করে দেবে।’ নতুন কিছুকে এক কথায় আমরা মানতে পারি না। এটা আমাদের সকলের মধ্যেই আছে।
প্রশ্ন: বুদ্ধিজীবীদের ঠিক কী অভিযোগ ছিল?
ফারুকী: বুদ্ধিজীবিরা আমায় উপেক্ষা করেছিলেন। বলেছিলেন কী সব বিষয় নিয়ে আমি কাজ করি! জঘন্য। তাতেও আমি কাজ বন্ধ করছি না দেখে আমায় গালিগালাজ করতে আরম্ভ করেছিলেন। তাদের একটা যুক্তি ছিল আমি বাংলা ভাষাকে শেষ করে দিচ্ছি। যদিও এটা সম্পূর্ণ মিথ্যে। আমরা প্রাত্যহিক জীবনে যে ভাষা ব্যবহার করি তা বড় পর্দায় তখন ব্যবহৃত হতে কম দেখেছি। আমার ছবিতে ওই ভাষাই ব্যবহার করেছিলাম। এটায় তাদের ঝটকা লাগে। সিনেমায় যে চরিত্র যে ভাষা বলে, তাকে তো সেই ভাষাই বলাতে হবে। আমি কুলির গায়ে তো শার্ট প্যান্ট পরাতে পারব না।
প্রশ্ন: আপনি বোধ হয় বাঙালি মধ্যবিত্তের নায়ক ঘিরে যে ভাবনা, তার বিরুদ্ধে গিয়েছিলেন...
ফারুকী: এটা তারেখ ভাই বলতেন। এক জন প্যান্ট শার্ট পরা নায়ক বাংলা ছবিতে সকল পাপাচার থেকে মুক্ত। দারুণ, গুণী মানুষ। অথচ আমার ছবিতে নায়ক প্রেমিকাকে মিথ্যে বলে। আরেক প্রেমিকার ফোন এলে বলে ‘খালা’ ফোন করেছে। নায়কের দুর্বল চরিত্র দেখেই বাংলাদেশের মানুষ তখন শঙ্কিত! চারিদিকে গেল গেল রব!
প্রশ্ন: নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকি এবং অস্ট্রেলিয়ান অভিনেত্রী মেগান মিচেলে আপনার ছবি ‘নো ল্যান্ডস ম্যান’-এ অভিনয় করছেন...
ফারুকী: ভারত-বাংলাদেশ-আমেরিকার যৌথ প্রযোজনায় তৈরি এই ছবিতে ভারতীয় অভিনেতা নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকি এবং অস্ট্রেলিয়ান অভিনেত্রী মেগান মিচেলে অভিনয় করবেন। এ ছাড়াও গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে রয়েছেন বাংলাদেশের সঙ্গীত শিল্পী তথা অভিনেতা তাহসান রহমান খান। এই ছবিতে ফুটে উঠবে এক দক্ষিণ এশিয় মানুষের জীবনযাত্রা। সুদূর আমেরিকায় তাঁর পরিচয় হবে এক অস্ট্রেলিয় মহিলার সঙ্গে, সেই আলাপ কী ভাবে পাল্টে দেবে তাঁর জীবন তাই নিয়েই ছবি।
প্রশ্ন: 'শনিবারের বিকেল'-এ তো প্যালেস্তাইন অভিনেতার সঙ্গে কাজ করেছিলেন?
ফারুকী: শুধু প্যালেস্তাইন নয়, আরও একাধিক দেশের অভিনেতাদের সঙ্গে কাজ করতে চায় এবং ভবিষ্যতেও করবে। এর নামই তো জীবন…আহারে জীবন।
প্রশ্ন: আমেরিকায় কাজ করে কেমন লাগল?
ফারুকী: ভাল। তবে আমাদের ছবি তৈরির পদ্ধতির সঙ্গে ওদের বিস্তর ফারাক। কাজ করতে গিয়ে দেখলাম ওখানে সহকারী পরিচালক শ্যুটের দিন এলেন, কাজ করলেন, চলে গেলেন। আমাদের সহকারী পরিচালকের ভূমিকাটা সম্পূর্ণ আলাদা। আমার সহকারী পরিচালক চিত্রনাট্য লেখা থেকে আমার সঙ্গে। সে আমার সঙ্গে খাবে। শোবে। গল্প করবে। তর্ক করবে। জুতো সেলাই থেকে চণ্ডীপাঠ সব করবে। আর আমরা পরিচালকরা বিশ্বাস করি এ ভাবেই সে ছবি পরিচালনার কাজ শিখে যাবে। এটা সম্পূর্ণ গুরুমুখী বিদ্যা।
প্রশ্ন: বাংলাদেশে তো ছবি নির্মাণের জন্য কোনও শিক্ষা কেন্দ্র নেই
ফারুকী: না। থাকলে আমরা ভাল কলাকুশলী পেতাম। কিন্তু বললাম যে এখানে এক জন আর এক জনের থেকে শিখে নেয়। আমার সহকারী পরিচালকদের আমি চেষ্টা করেছি যাতে তারা বেরিয়ে গিয়ে নিজেদের চিন্হ তৈরি করতে পারে। বাংলাদেশে পরিচালকরা একে অন্যের সাফল্যে সত্যি খুশি হয়। বিপদে পাশে দাঁড়ায়।
প্রশ্ন: আবদুল্লাহ মোহাম্মদ সাদ, আজমেরী হক বাঁধনসহ ‘রেহানা মরিয়ম নূর’ চলচ্চিত্রের আট সদস্যই কান চলচ্চিত্র উৎসবে এ বছর সম্মানিত হলেন...
ফারুকী: সাদের ছবি ভাল লাগে আমার। ফেসবুকে কয়েক বার লিখেছি ওকে নিয়ে। তবে বাংলাদেশের ছবি কানে যাবে, ভেনিসে যাবে। আবার যাবেও না। আমাদের সময়টা কাজের মধ্যে দিয়ে তুলে ধরতে হবে। আশার বিষয় বাংলাদেশের নতুন প্রজন্ম এই সময়টা ছবির মধ্যে ধরতে পারছে। সংখ্যায় তারা কম। কিন্তু কাজ হচ্ছে। সময় বদলাচ্ছে।
প্রশ্ন: ভারতের সরকার সিনেমাটোগ্রাফ আইনে সংশোধন করে বাকস্বাধীনতা ও বিরুদ্ধ মত প্রকাশের অধিকারেও হস্তক্ষেপ করতে চাইছে বলে অভিযোগ উঠেছে...
ফারুকী: জানি। আমার ভারতীয় বন্ধুদের প্রতিবাদ করতে দেখেছি। ভারত এক সময় গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে পরিচিত ছিল। কিন্তু সাম্প্রতিক সময় গণতন্ত্র, মুক্ত চিন্তার জন্য এই দেশকে লড়াই করতে হচ্ছে। আসলে সারা পৃথিবীতেই নিয়ন্ত্রণবাদের আস্ফালন চোখে পড়ছে। তাতে যে শুধু শিল্পের ক্ষতি হবে তা নয়। মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। কারণ শিল্প তো মানুষের জন্য কাজ করে।
প্রশ্ন: আপনার ছবি নির্মাণের ক্ষেত্রে কোনও অতীত পরিচালকের প্রভাব আছে?
ফারুকী: আমি জগতের নানা কিছুতে প্রভাবিত হই। যেমন সকালে আমার জানলায় দেখি একটা অদ্ভুত রোদ্দুর ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করছে। পর্দা তাকে ঠেকানোর চেষ্টা করছে। সে বাতাস পাঠিয়ে পর্দাটাকে সরিয়ে আলোটা ছুড়ে মারে। আমি এখান থেকে অনুপ্রেরণা পাই। বুঝতে পারি যে যাই বলুক ময়দান ছাড়া যাবে না। এগিয়ে যাব।
আমার বাসায় আগে অনেক মানুষ আসতেন। এখন তো করোনা । কেউ আসে না। তার মধ্যে ছিলেন আমার চুল কাটতে আসা বন্ধু।স্বশিক্ষিত মানুষ। নিজে ইংরেজি শিখেছেন। বাচ্চাদের শিক্ষা দিচ্ছেন। ও রোজ গল্প বলতো। ওর কাছ থেকেও অনুপ্রেরণা পাই। তবে তারেখ মাসুদ আমার সবচেয়ে কাছের মানুষ ছিলেন। গল্প, আড্ডাবাজি। আমার সিনেমা তৈরির মনকে উনি তৈরি করেছেন। কিন্তু আমাদের ছবি নির্মাণের ধারা সম্পূর্ণ আলাদা।
প্রশ্ন: নওয়াজকে কেমন লাগে?
ফারুকী: ওকে অভিনেতা হতে হয়নি। অভিনেতার বাহ্যিক কিছু প্রস্তুতি থাকে। আবার অভ্যন্তরীণ প্রস্তুতিও চলে। নওয়াজের অভ্যন্তরীণ প্রস্তুতি এতটাই সাংঘাতিক যে ওকে দেখলে বোঝাই যায় না ও অভিনয় করছে। মেসির ফুটবল খেলা দেখলে মনে হয় আহা! কী সহজ! আমি যদি একই কাজের জন্য মাঠে নামি তখন বোঝা যাবে কতটা কষ্ট হচ্ছে আমার ওটা করতে। শিল্পী যখন তার শিল্প নিয়ে ওয়াকিবহাল, তখন তার কাজ দেখে মসৃণ লাগে। আর যে তার কাজের সঙ্গে জড়িত নয়, তাকে সেই কাজ করতে দেখলে কষ্ট হয়। ইরফান খান, নওয়াজউদ্দিন এঁদের কাজ ভীষণ মসৃণ। ইরফান চলে যাওয়ার পর ওঁর সম্পর্কে কথা বলতে পারি না আমি। পারবও না। ইরফানকে সাধারণ মানুষ তারকা হিসেবে দেখেননি, দেখেছেন তাঁদের পরিবারের অংশ হিসেবে। এখানেই ওঁর জয়।
প্রশ্ন: ‘লেডিস অ্যান্ড জেন্টলমেন’ সিরিজ হিসেবে তৈরি করলেন। বাংলাদেশের মানুষ ওটিটি প্ল্যাটফর্মে পয়সা খরচ করে ছবি দেখবে?
ফারুকী: বাংলাদেশের মানুষ পয়সা দিয়ে ওটিটি-তে ছবি দেখছে। আপাতত ঢাকা, চট্টগ্রামের মধ্যবিত্তেরা দেখছেন। এটা ক্রমশ বাড়বে। ছড়িয়ে পড়বে।
প্রশ্ন: করোনা পরবর্তী সময়ে মানুষ দল বেঁধে ছবি দেখবে? নাকি একা?
ফারুকী: প্রেক্ষাগৃহে মানুষ যাবে। তবে মানুষ একাও ছবি দেখবে। এখন যে জীবনযাত্রা তা ব্যাখ্যা করতে হলে জীবনানন্দের পংক্তি তুলে ধরতে হয়।
‘সকল লোকের মাঝে ব’সে
আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা?’
আগে অফিসের কাজ সেরে বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিতাম। এখন ছোট্ট স্ক্রিনে আড্ডা দিই। আমরা আর সংঘবদ্ধ ভাবে তাকাই না।
প্রশ্ন: আপনি একজন প্রেমিক মানুষ। আপনার স্ত্রী দক্ষ অভিনেত্রী। পরিচালক আর অভিনেত্রীর দাম্পত্য কেমন?
ফারুকী: আমাদের দাম্পত্যে ভারসাম্য আছে। আমার স্ত্রী খুব শক্তিশালী মহিলা, ‘স্ট্রং’।
প্রশ্ন: মানে?
ফারুকী: ‘স্ট্রং’ নারী ঘুষোঘুষি করে না। লড়াইকে পেরিয়ে যায়। শিরদাঁড়া সোজা করে অন্যায়কে অন্যায় বলতে পারে। এক জন ভেঙে পড়া মানুষকে দারুণ ভালবাসা দিয়ে জাগিয়ে তোলে। স্নেহ, দয়ার প্রকাশ থাকে তার। আমার স্ত্রী এমনই মানুষ।
প্রশ্ন: ‘লেডিস অ্যান্ড জেন্টলমেন’-এর প্রযোজকও তো জনপ্রিয় অভিনেত্রী ও আপনার স্ত্রী নুসরাত ইমরোজ তিশা...
ফারুকী: 'হ্যাঁ। এই সিরিজের ও প্রযোজক। ও কিন্তু অভিনয় করছে না। পাশাপাশি ও এই সিরিজের গল্প, চিত্রনাট্যের ক্ষেত্রেও উল্লেখ্যযোগ্য ভূমিকা নিয়েছে। ‘টেলিভিশন’ ছবিতে তো ওকে জোর করেছিলাম অভিনয় করার জন্য। করতেই চায় না। ‘লেডিস অ্যান্ড জেন্টলমেন’ মুক্তি পেয়েছে ৯ জুলাই। সিরিজটি দেখা যাবে ভারতীয় ওটিটি প্ল্যাটফর্ম জি ফাইভে।
প্রশ্ন: বিশ্বজুড়ে বন্ধু আপনার। পশ্চিমবাংলায়?
ফারুকী: ভারতে আমার সবচেয়ে বেশি বন্ধু। তবে কলকাতার সঙ্গে আমার যোগাযোগ কম। আমি আসলে লাজুক তো। পরমব্রত (চট্টোপাধ্যায়), পার্নো (মিত্র) আমার ছবিতে কাজ করেছে। ওদের সঙ্গে যোগাযোগ আছে। মিথিলা সৃজিতকে বিয়ে করার পর সৃজিতের সঙ্গে পরিচয় হয়েছে। কিন্তু মুম্বই বা কেরলের মতো বাংলায় অত বন্ধুত্ব এখনও গড়ে ওঠেনি। এটা দুর্ভাগ্যজনক।
প্রশ্ন: নেটমাধ্যমে তো যোগাযোগ করা যায়...
ফারুকী: এই নেটমাধ্যম বড় অপকার করছে জানেন। মানুষকে অনেক বেশি ঘৃণ্য করে তুলছে। আগে চায়ের দোকানে ঘৃণা ঝেড়ে ফেলা যেত। এখন নেট মাধ্যমে ঘৃণা ছড়ায়। সে ঘৃণা লিখিত আকারে থেকেও যাচ্ছে। ফলে যাকে ঘৃণা করলাম তাকে ঘৃণা করে যেতেই হবে। অন্য দিকে নেট মাধ্যমে ক্রমাগত ওপর-নীচ করার জন্য অস্থিরতা তৈরি হয়েছে। বইয়ের প্রথম কয়েক লাইন পড়েই মানুষ শেষ দিকটা পড়ছেন। এই অস্থিরতা সিনেমার জন্য ভয়ঙ্কর। আর শুরু হয়েছে ‘নাম্বার গেম’। শেয়ার আর নম্বর দেখে লোকে চলচ্চিত্রের মান নির্বাচন করে। ভিউ বেশি, ভাল ছবি। ভিউ কম, খারাপ ছবি। এটাই যদি হত তা হলে বাংলায় সত্যজিৎ রায় তৈরি হত না! তাঁর ছবিও তো সব মানুষ তখন দেখত না। অনেক মানুষ দেখেছে বলে সেই ছবি দেখতে যাবেন না। এটা আমার অনুরোধ।
প্রশ্ন: নেটমাধ্যমে বাংলাদেশের অভিনেত্রী পরিমণীও কটাক্ষের শিকার...
ফারুকী: দেখুন এ ক্ষেত্রে একজন অভিযোগকারিণী অপর জন অভিযুক্ত। দু’জনের বিচারের কথা ভাবতে হবে। যিনি অভিযুক্ত, বিচার বিশ্লেষণ না করেই তাঁকে অভিযুক্ত বলতে পারছি না। আবার অভিযোগ যিনি করছেন তাঁকেও বিচার পেতে হবে। নেটমাধ্যমে আগেই মানুষ বিচার জানিয়ে দিচ্ছে। এটা অন্যায়। যিনি অন্যায় করেছেন আইনের মাধ্যমে তাঁর শাস্তি পাওয়া
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy