জাপান সফরে মনামী ঘোষ। সংগৃহীত চিত্র।
মনামী ঘোষের বুঝি পায়ের তলায় সর্ষে! এই তিনি শহরে। আচমকা বিদেশে! কখন গেলেন? কেউ জানতে পারে না। বেড়ানোর ছবি ভাগ করার পর টলিউড নড়ে বসে, অভিনেত্রী তা হলে অমুক জায়গায়। যেমন, দিন কয়েক আগেও তিনি শহরে ছিলেন। সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের আগামী ছবি ‘পদাতিক’-এর ট্রেলারমুক্তিতে যোগ দিয়েছিলেন। ছবিটি আন্তর্জাতিক পরিচালক মৃণাল সেনের জীবন থেকে অনুপ্রাণিত। ছবিতে তিনি মৃণাল-পত্নী গীতা সেন। আচমকাই তার সামাজিক পাতা বলছে, মনামী জাপান পৌঁছে গিয়েছেন। আর সেখানেই ফাঁস করেছেন, তিনি কেন উদয়াস্ত পরিশ্রম করেন।
জাপান মানেই মনোরেল। জাপান মানেই বিখ্যাত মাউন্ট ফুজিয়ামা। চোখজুড়ানো প্রাকৃতিক দৃশ্য। সে সব প্রাণ ভরে উপভোগ করছেন তিনি। প্রত্যেকটি অনুভূতি ভাগ করে নিচ্ছেন অনুরাগীদের সঙ্গে। কখনও তিনি সকালের মিঠে রোদে নিজেকে সেঁকে নিয়েছেন। তার ছোট্ট ঝলক শোভা পাচ্ছে তাঁর ইনস্টাগ্রামে। কখনও পাকদণ্ডির মতো আঁকাবাঁকা রেলপথ দিয়ে ছুটে চলেছে মনোরেল। মনামী সেই ভিডিয়োও ভাগ করে নিতে ভোলেননি। তার পরেই পৌঁছে গিয়েছেন মাউন্ড ফুজিয়ামার কাছাকাছি। কখনও যে হোটেলে উঠেছেন তার বারান্দায় বসে দু’চোখ ভরে দেখেছেন তাকে। কখনও তিনি পাহাড়ের কাছাকাছি পৌঁছে ফুজিয়ামাকে সাক্ষী রেখে ছবি তুলেছেন। ফোটোশুটে অভিনেত্রী নিজেকে সাজিয়েছিলেন গোলাপি রঙের ওভারসাইজড হাইনেক সোয়েটার, কালো টাইট প্যান্ট ও মিনিস্কার্টে। এই সাজে মনামী যেন ‘গুড়িয়া জাপান কি’! ছবি দেখে অনুরাগীদের বিস্ময়, কে বেশি সুন্দর, ফুজিয়ামা না মনামী? না কি ঘুমন্ত আগ্নেয়গিরির মতোই অভিনেত্রীর মধ্যেও অনেক অজানা বিষয় সুপ্ত?
এই ছবির বিবরণীতেই তিনি লিখেছেন, ‘‘এই জন্যই এত পরিশ্রম করি। এবং মাঝেমধ্যে করিও না।’’ ছবি, ছোট পর্দা, সিরিজ়, ইউটিউব ভিডিয়ো, মডেলিং মিলিয়ে সদাব্যস্ত নায়িকা। সেই উপার্জন জমিয়েই তিনি টানা পরিশ্রমের পর বেড়াতে বেরিয়ে পড়েন। তার পরেও নিন্দুকদের প্রশ্ন, বিদেশে বেড়ানোর মতো এত টাকা কোথায় পান তিনি? একই প্রশ্ন আনন্দবাজার অনলাইন করেছিল অভিনেত্রীকে। মনামীর উত্তর বলছে তিনি এক ঢিলে দুই পাখি মেরেছেন। তাঁর কথায়, ‘‘বিশ্বভ্রমণ আমার স্বপ্ন। শখপূরণের জন্যই এত পরিশ্রম করি। পাশাপাশি, যখনই বিদেশে অনেক দিনের জন্য বেড়াতে যাওয়ার কথা ভাবি তার বেশ কিছু দিন আগে থেকে প্রস্তুতি নিই। কাজ থেকে দূরে আমি। বেড়ানোর আনন্দে রোজগারের কথা মাথাতেই থাকে না!’’ এ ভাবেই জীবন উপভোগ করেন তিনি। প্রকৃতি থেকে ইতিবাচক থাকার রসদ জোগাড় করেন। ফুসফুস ভরে নেন টাটকা অক্সিজেনে। যাতে আবার মাথার ঘাম পায়ে ফেলে পরিশ্রম করতে পারেন। মনামীর এই দৃষ্টিভঙ্গিকে সাধুবাদ জানিয়েছেন তাঁর সহ-অভিনেতারাও।
জাপানের আর কোথায় কোথায় যাবেন তিনি? অনুরাগীদের তাঁর সমাজমাধ্যমের পাতায় চোখ রাখতে অনুরোধ জানিয়েছেন মনামী।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy