দূরদর্শনে প্রথম কাজ ‘শ্বেতাম্বর’ সিরিজে। এর পর ১৯৮৯ সালে ‘মিস্টার যোগী’ ধারাবাহিকে মুখ্য ভূমিকায় অভিনয়ের সুযোগ। ধারাবাহিকে তাঁর চরিত্রের নাম ছিল যোগেশ ঈশ্বরলাল পটেল। সেখান থেকেই বিদেশি কায়দায় পরিচয় দিতেন ‘মিস্টার যোগী’ বলে। গুজরাতি নাট্যকার মধু রাইয়ের লেখা ‘কিম্বল রেভেনসউড’ নাটক অনুসারে তৈরি হয়েছিল ধারাবাহিকটি।
মোহন অভিনয় করেছেন গুজরাতি, মরাঠি, হিন্দি এবং ইংরেজি ছবিতেও। তাঁর অভিনীত হিন্দি ছবিগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল ‘স্পর্শ’, ‘আদাত সে মজবুর’, ‘মোহন জোশী হাজির হো’, ‘হোলি’, ‘মির্চ মশালা’ এবং ‘হিরো হীরালাল’। তাঁর একটি মাত্র ইংরেজি ছবি হল ‘ডক্টর বাবাসাহেব অম্বেডকর’। ওই ছবিতে তিনি অভিনয় করেছিলেন মহাত্মা গাঁধীর ভূমিকায়।
ধারাবাহিক, ছবির পাশাপাশি চলছিল নাটকও। ‘ঘাসিরাম কোতোয়াল’, ‘মহাপুর’, ‘ডক্টর তুমহি সুধা’ তাঁর অভিনীত নাটকের মধ্যে অন্যতম। নাটকের সূত্রেই শুভাঙ্গীর সঙ্গে তাঁর আলাপ। কেতন মেটার ‘ভবানী ভবাই’ নাটকে এবং সাই পরাঞ্জপের ‘স্পর্শ’ ছবিতে মোহনের অভিনয়ে মুগ্ধ হয়ে গিয়েছিলেন কলেজছাত্রী শুভাঙ্গী। শুভাঙ্গী নিজেও নাটকে আগ্রহী ছিলেন।
পরে এক সাক্ষাৎকারে শুভাঙ্গী জানান, অভিনয়ের মতো ব্যক্তিগত জীবনেও মোহন ছিলেন পরিমিত। খুব কম কথা বলতেন। এমনকি বিয়ের প্রস্তাবও দিয়েছিলেন খুব সংক্ষিপ্ত পরিসরে। বিয়ের পরে স্ত্রীর অনুপ্রেরণায় নাটকে অভিনয় চালিয়ে যান মোহন। বিজয় তেন্ডুলকরের বিখ্যাত নাটক ‘ঘাসিরাম কোতোয়াল’-এ স্ত্রীর উৎসাহেই অভিনয় করেন তিনি। পরে অডিটোরিয়ামে দর্শকাসনে বসে স্বামীর অভিনয় দেখে কেঁদে ফেলেছিলেন শুভাঙ্গী।
প্রতিভা থাকা সত্ত্বেও মোহন যোগ্য মর্যাদা পাননি। আক্ষেপ, তাঁর মেয়ে সখী গোখলের। সখী নিজেও একজন অভিনেত্রী। তাঁর বক্তব্য, মোহন অর্থের জন্য অভিনয় করতেন না। বরং অভিনয়কে ভালবেসে তিনি এই পেশায় এসেছিলেন। চেয়েছিলেন, নাটক এবং ছবি পরিচালনা করবেন। একটা মরাঠি নাটক নিয়ে দীর্ঘ দিন মহড়া দিয়েছিলেন। কিন্তু শেষ অবধি নাটকের পৃষ্ঠপোষক সরে দাঁড়ান। এই ঘটনায় খুবই ভেঙে পড়েছিলেন মোহন। সেই ঘটনা এখনও মনে আছে সখীর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy