অস্কারের মঞ্চ আলো করেছেন সপ্তাহ দুয়েক আগে। তেলুগু ছবির ইতিহাসে নজির গড়ে সেরা মৌলিক গানের জন্য অস্কার জিতে নিয়েছে ‘আরআরআর’ ছবির গান ‘নাটু নাটু’। মঞ্চে উঠে সেরার সম্মান গ্রহণ করেছেন গানের সুরকার এমএম কীরাবাণী ও গীতিকার চন্দ্র বোস। দেশে ফিরেছেন ওই সোনালিরঙা স্মারক নিয়ে। অস্কার পেয়ে উচ্ছ্বসিত তিনি, জানিয়েছেন আগেই। তবে এ বার নতুন এক তথ্য ফাঁস করলেন অস্কারজয়ী কীরাবাণী। জানালেন, চলতি বছরের অস্কার আসলে তাঁর দ্বিতীয় অস্কার। প্রথম অস্কার নাকি পেয়েছেন অনেক বছর আগে।
Hey @mmkeeravaani I am feeling dead because only dead people are praised like this
— Ram Gopal Varma (@RGVzoomin) March 25, 2023pic.twitter.com/u8c9X8kKQk
এর আগেও অস্কার পেয়েছেন এমএম কীরাবাণী? অস্কারজয়ী সুরকারের দাবিতে ধন্দে অনুরাগীরা। তবে ধাঁধার রহস্য ফাঁস করলেন কীরাবাণী নিজেই। এক সাক্ষাৎকারে কীরাবাণী বলেন, ‘‘আমি যে এই বছর এই সম্মান পেয়েছি, এটা আমার দ্বিতীয় অস্কার। আমার প্রথম অস্কার পরিচালক রাম গোপাল বর্মা।’’ কেন এ কথা বলছেন কীরাবাণী? অস্কারজয়ী সুরকারের দাবি, ‘‘অন্যান্যদের মতো ৫১ জনের কাছে আমি আমার অডিয়ো ক্যাসেট পাঠিয়েছিলাম। অনেকেই হয়তো সেটা জঞ্জালে ফেলে দিয়েছিলেন। তাঁরা কেউ সেই ক্যাসেট শুনে দেখেননি। কী দরকার তাঁদের! এক জন অচেনা ব্যক্তি আপানাকে কিছু গানের সুর পাঠাচ্ছেন, আপনার তা ভাল না লাগতেই পারে।’’ কীরাবাণী বলতে থাকেন, ‘‘কিন্তু রাম গোপাল বর্মা আমাকে সুযোগ দিয়েছিলেন তাঁর ‘ক্ষণ ক্ষণম’ ছবিতে কাজ করার। উনি আমার জীবনের অস্কারের ভূমিকা পালন করেছিলেন তখন। ওই ছবি ওঁর কর্মজীবনেও অস্কারের ভূমিকা পালন করেছিল, কারণ ওই ছবিই ওঁর প্রথম মেগা-হিট। তাই রাম গোপাল বর্মাই আমার প্রথম অস্কার।’’ কীরাবাণী আরও বলেন, ‘‘রাম গোপাল বর্মার সঙ্গে কাজ করার পর আমাকে নিয়ে সবাই কথা বলতে শুরু করেন। ‘রাম গোপাল বর্মার সঙ্গে কাজ করেছেন। তা হলে আমাদের ছবিতেও ওঁকে নিতে হবে।’ রাম গোপাল বর্মার সঙ্গে কাজ করেই আমি আরও সুযোগ পেয়েছিলাম। যা আমাকে পরে সাহায্য করেছিল।’’ অস্কারজয়ী সুরকার কীরাবাণীর গলায় তখন কৃতজ্ঞতার সুর।
কীরাবাণীর এই মন্তব্যে আপ্লুত রাম গোপাল বর্মা স্বয়ং। সমাজমাধ্যমের পাতায় নিজের মানসিক অবস্থা ব্যক্ত করেছেন পরিচালক। রাম গোপাল লেখেন, ‘‘আমার নিজেকে মৃত লাগছে। এ রকম প্রশংসা একমাত্র প্রয়াতরাই পান।’’ কীরাবাণীর মন্তব্যে যে কিছুটা আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছেন তিনি, তা স্পষ্ট রাম গোপাল বর্মার টুইটেই।