মিমি চক্রবর্তী।
কসবার শিবিরে সম্ভবত হাম বা বিসিজি-র টিকা কিংবা পাউডার গোলা জল দেওয়া হয়েছিল মিমি চক্রবর্তীকে। এমনই দাবি কলকাতা পুরসভার ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞদের। সেখানেই করোনার টিকা নিতে গিয়েছিলেন অভিনেত্রী ও তৃণমূলের সাংসদ মিমি চক্রবর্তী। টিকাকেন্দ্র নিয়ে প্রতারণার গন্ধ তিনি আগেই পেয়েছেন। কিন্তু বৃহস্পতিবার মিমি জানতে পারেন, করোনার টিকা তো দূরে থাক, জলের মধ্যে পাউডার মিশিয়ে ইনজেকশন দেওয়া হয়েছে। পাউডার গোলা জল ছাড়াও হাম বা বিসিজি-র টিকা বলে দাবি বিশেষজ্ঞদের।
আনন্দবাজার অনলাইনকে মিমি বলেন, ‘‘পুরসভার ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞদের মুখে খবরটা পাওয়ার পরেই আমি চিন্তায় পড়ে যাই। চিকিৎসককে ফোন করি। তিনি বলেন, এটা এক ধরনের অ্যান্টিবায়োটিক, যেটা জলে গুলে দেওয়া হয়েছে। পেট এবং মূত্র সংক্রমণে এই ওষুধ দেওয়া হয়। এটা খুবই কড়া ওষুধ। জলে মিশিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে সম্ভবত সে রকম ক্ষতি করবে না বলে জানালেন চিকিৎসক।’’ আপাতত মিমি সুস্থ আছেন। কিন্তু তাঁর গলায় আশঙ্কা স্পষ্ট। কলকাতা শহরের বুকে তাঁর সঙ্গে এমন ভয়ানক কাণ্ড ঘটতে পারে, তিনি ভাবতেও পারেননি।
গত বুধবার তিনি আনন্দবাজার অনলাইনকে বলেছিলেন, ‘‘প্রতিষেধক নেওয়ার পর আমি ওই শিবিরের উদ্যোক্তাদের কাছে শংসাপত্র চেয়েছিলাম। তখন তাঁরা জানান, কিছুক্ষণের মধ্যেই আমার মুঠোফোনে প্রতিষেধক নেওয়ার শংসাপত্র এসে যাবে।’’ এর পরে মিমি তাঁর আপ্ত সহায়ককে শংসাপত্র নিয়ে আসার অনুরোধ করেন। কিন্তু বেশ কয়েক ঘণ্টা কেটে যাওয়ার পরেও শংসাপত্র না পাওয়ায় শিবিরের আয়োজকদের বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন করেন মিমির সহকারী। আয়োজকেরা কোনও সদুত্তর দিতে না পারলে এর পরেই সাংসদ যোগাযোগ করেন কসবা থানায়। তার পরেই এই বিষয়ে তৎপর হয় প্রশাসন। এই ঘটনার মূলচক্রী হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে দেবাঞ্জন দেব নামে এক ব্যক্তিকে। যিনি নিজেকে আইএএস অফিসার এবং কলকাতা পুরসভার যুগ্ম-কমিশনার হিসেবে ভুয়ো পরিচয় দিয়েছিলেন। আপাতত তিনি ধৃত। তাঁকে খোঁজার চেষ্টা চালাচ্ছে কলকাতা পুলিশ। কিছু নথি এবং গুরুত্বপূর্ণ সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে অভিযুক্তের দফতর থেকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy