মিঠুন চক্রবর্তী এবং মনামী ঘোষ।
বিশ্বাস মনামী ঘোষের। মিঠুন চক্রবর্তীকে নিয়ে করা একটি পোস্টে তাঁর ক্যাপশন, ‘না লাক বদলতা হ্যায়, না ইনসান কি তকদির... ইনসান কা ওয়াক্ত বদলতা হ্যায়'। মহাগুরুর রাজনৈতিক প্রত্যাবর্তনকেও কি এই চোখেই দেখেন তিনি? আনন্দবাজার ডিজিটালের কাছে অকপট জুনিয়র এম জি।
প্রশ্ন: ক্যাপশন বলছে ভাগ্য নয়, সময় বদলায় মানুষের। পরিবর্তিত সময়ের সঙ্গে তাল মেলাবেন বলেই ফের রাজনীতিতে মিঠুন চক্রবর্তী?
মনামী: মিঠুনদার রাজনীতিতে আসা নিয়ে আমার আলাদা করে কিচ্ছু বলার নেই। তবে আমি মনে করি, ভাল-র জন্য যদি হয় তা হলে সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে সবারই চলা উচিত।
প্রশ্ন: মহাগুরুর সিদ্ধান্তে ‘ব্যক্তি’ মনামী খুশি? ‘অভিনেতা’ মনামীর কি অভিনেতা মিঠুনকেই বেশি পছন্দ?
মনামী: মিঠুনদার এই সিদ্ধান্ত একেবারেই ব্যক্তিগত। ফলে, আমার খুশি বা অখুশি হওয়ার কোনও প্রশ্নই উঠছে না। পাশাপাশি, মহাগুরুর সঙ্গে এখনও বড় পর্দায় অভিনয় করে ওঠা হয়নি। ফলে, ‘অভিনেতা’ মিঠুন চক্রবর্তীকে পর্দাতেই দেখেছি। আবার ‘নেতা’ মিঠুনদাকেও হয়তো পর্দাতেই দেখব। কিন্তু নাচের রিয়্যালিটি শো করতে গিয়ে সেটে আমি ‘মানুষ’ মিঠুনদাকে দেখেছি। ওঁর কোনও বিকল্প নেই।
প্রশ্ন: নকশাল থেকে বিজেপি-- মহাগুরুর রাজনৈতিক জীবন সম্পূর্ণ? সন্তান এবং নিজের উপর জমে থাকা অভিযোগ খণ্ডাতেই নাকি মিঠুন বিজেপি-তে?
মনামী: দুটো প্রশ্নের কোনও উত্তর নেই আমার কাছে।
প্রশ্ন: বিজেপি-র ‘সোনার বাংলা’ গড়ার স্বপ্ন সত্যি করতে পারবেন এম জি?
মনামী: মানুষের জন্য কাজ করার ইচ্ছে যদি থাকে তা হলে মানুষের কোনও কিছুরই দরকার পরে না। যে কোনও জায়গা, দলে গিয়েই মানুষ ‘সোনার বাংলা’ গড়তে পারবে। এটা একান্তই আমার বিশ্বাস।
প্রশ্ন: সেটে মিঠুন রাজনীতি নিয়ে কখনও আলোচনা করেছেন?
মনামী: কখনও নয়। আমার চোখে অন্তত পড়েনি। তা ছাড়া, প্রথম ভাগ যখন শেষ হয়েছে তখনও মিঠুনদা রাজনীতিতে আসেননি। ফলে, রাজনীতি নিয়ে কথা বলার পরিবেশ তৈরি হয়নি।
প্রশ্ন: এক মঞ্চে মিঠুন, দেব। দুই শিবিরের দুই তারকা রাজনীতিবিদ। কোনও মতবিরোধ?
মনামী: লেগপুলিং হয়েছে। মজা হয়েছে। হইচই করতে করতে পিছনে লেগেছেন একে অন্যের। সবটাই অফ দ্য সিন। বিহাইন্ড দ্য ক্যামেরা। কিন্তু রাজনৈতিক মতবিরোধ এক মুহূর্তের জন্য সামনে আসেনি। রাজনীতিকে অভিনয়ের আঙিনায় সন্তর্পণে এড়িয়ে চলেন মিঠুনদা, দেব।
প্রশ্ন: আপনাকে কোনও শিবির ডেকেছে? রাজনীতির মঞ্চে আগামী দিনে দেখা যাবে?
মনামী: ২ শিবির থেকেই অল্পবিস্তর ডাক পেয়েছি। কিন্তু কোনও শিবিরেই যাব না। আগেও বলেছি আবার বলছি, এখনও রাজনীতির জন্য তৈরিই হইনি। অভিনয়ের জগতে অনেক কিছু করা বাকি আমার।
প্রশ্ন: তারকাদের সক্রিয় রাজনীতি, দলবদল নিয়ে কী প্রতিক্রিয়া?
মনামী: একটা কথা বলি? মানুষ যা সিদ্ধান্ত নেন তার পিছনে অবশ্যই কোনও বড় কারণ থাকে। সেটা দলবদল হোক বা সক্রিয় রাজনীতিতে যোগদান। এমনকি, ছবিতে চরিত্র বাছার পিছনেও কার্যকারণ কাজ করে। সে রকমই যাঁরা রাজনীতিতে এসেছেন বা দলবদল করেছেন, জোরদার কোনও কারণ থেকেই এই পদক্ষেপ করেছেন।
প্রশ্ন: রাজনীতি কি অভিনেতা, মানবদরদি মিঠুন চক্রবর্তীকে বদলে দিতে পারবে?
মনামী: রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার পরে মিঠুনদার সঙ্গে এখনও কোনও কাজ হয়নি। চলতি মাসের শেষে হয়তো হবে। তবে আমার বিশ্বাস, মানুষের ভিতরটা একই রকম থেকে যায়। বড় রাজনীতিবিদ বা মেগাস্টারের ক্ষেত্রেও এটাই সত্যি। আশা, রাজনীতি, অভিনয় যা-ই করুন, ‘ব্যক্তি’ মিঠুন চক্রবর্তী কখনও বদলাবেন না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy