‘রাসমণি’- ধারাবাহিকের পথ চলা থেমে যাচ্ছে
প্রায় পাঁচ বছর ধরে ছোট পর্দায় বাঙালির সন্ধে নামত ‘করুণাময়ী রাণী রাসমণি’র হাত ধরে। রাসমণি তখনও রানি নন। তাঁর হাত ধরে তখনও জমিদার রাজচন্দ্র দাস, জামাই মথুরামোহন, দেবী ভবতারিণী, দক্ষিণেশ্বর মন্দির, শ্রী রামকৃষ্ণ দেব, মা সারদামণি কেউই বাঙালি সমাজে প্রতিষ্ঠা পাননি। সেই সময়ের গল্প দিয়ে শুরু হয়েছিল এই ধারাবাহিক। একে একে সবাই এসেছেন। চিত্রনাট্যের দাবি মেনে রাসমণি, রাজচন্দ্র, মথুরবাবু বিদায়ও নিয়েছেন। আনন্দবাজার অনলাইনকে সেই সময় পরিচালক এবং কার্যনির্বাহী পরিচালক জানিয়েছিলেন, ‘রাসমণি’-তে পরবর্তী অধ্যায় তুলে ধরা হবে। কিন্তু টেলি পাড়ায় গুঞ্জন, তার আগেই থেমে যাচ্ছে ধারাবাহিকের পথ চলা। অনেকটা আচমকাই। ৭ ফেব্রুয়ারি শেষ শ্যুট রাসমণি। সম্ভবত শেষ সম্প্রচারণ ১৩ ফেব্রুয়ারি।
সত্যিই কি তেমনটাই ঘটছে? আনন্দবাজার অনলাইন ‘শ্রী রামকৃষ্ণ দেব’ ওরফে সৌরভ সাহার সঙ্গে কথা বলে। তিনি কিন্তু বিষয়টিতে মান্যতা দিয়েছেন। তাঁর কথায়, ‘‘কথা ছিল ঠাকুর এবং সারদা মায়ের আরও অনেক অজানা তথ্য তুলে ধরা হবে। মা সারদার ‘জগজ্জননী’ হয়ে ওঠার গল্পও উঠে আসবে। সে সব কিছুই হল না। চ্যানেল কর্তৃপক্ষ এ ভাবেও ধারাবাহিকটি শেষ করে দিতে চাননি। তার পরেও শেষ হয়ে যাচ্ছে।’’ ধারাবাহিকের গল্প তা হলে কোথায় শেষ হবে? ছোট পর্দার ‘ছোট ঠাকুর’-এর দাবি, তাঁরা কিছুই জানেন না। এবং সেই জায়গা থেকেই তাঁর মনে হচ্ছে, সম্ভবত আচমকাই ফুরিয়ে যেতে চলেছে এত বড় কর্মকাণ্ড। তার পরেও সৌরভের বক্তব্য, মাত্র তিন বছরে তিনি তাঁর পরিচিত এবং অপরিচিতদের থেকে যে ভালবাসা, শ্রদ্ধা, সম্মান পেয়েছেন সবটাই ধারাবাহিকের দৌলতে। শ্রী রামকৃষ্ণ চরিত্র থেকে বেরিয়ে আসা সোজা নয়। তাই শ্যুট শেষে তিনি কিছু দিনের জন্য বিশ্রাম নেবেন।
এই মুহূর্ত জান বাজারের জমিদার বাড়ির পাশাপাশি সমান গুরুত্বপূর্ণ মা সারদা। সন্দীপ্তা সেন ওই চরিত্রে খুব অল্প সময়ের মধ্যে দর্শক-মন ছুঁয়ে গিয়েছেন। ধারাবাহিক শেষের কথা উঠতে তাই বিষণ্ণ তিনিও। সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েই তাঁর বক্তব্য, ‘‘আর একটু সময় পেলে মা-কে আরও মেলে ধরার সুযোগ পেতাম।’’ একই সঙ্গে তিনি ঋণী দর্শকদের কাছেও। অভিনেত্রী অকপট, ‘‘শুরুতে খুব ভয় পেয়েছিলাম। দর্শকেরা এই চরিত্রে আমায় মেনে নেবেন তো! বদলে এত ভালবাসা পেলাম যে এখন ছেড়ে যেতে মন খারাপ।’’
কিছু দিন আগেই ১,৫০০ পর্ব পেরিয়েছে ধারাবাহিকটি। ‘জগদম্বা’ রোশনি ভট্টাচার্যের জুতোয় পা গলিয়েছিলেন মিমি দত্ত। অল্প আফশোস তাঁর গলাতেও। জানালেন, সব কিছুরই শেষ থাকে। সেটা মেনে নিয়ে মনখারাপও থাকে। তিনি আপাতত সেই অনুভূতিতেই আচ্ছন্ন
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy