Mayur Raj Verma, once called as small Amitabh Bachchan, faded away soon from Bollywood dgtl
bollywood
সর্বোচ্চ পারিশ্রমিকপ্রাপ্ত শিশুশিল্পী হয়েও পরে ব্যর্থ, বলিউডের ‘শিশু অমিতাভ’ আজ বিদেশে সফল ব্যবসায়ী
অমিতাভের পাশাপাশি ময়ূরও ছিলেন দর্শকদের পছন্দের তালিকার শীর্ষে। বিগ বি-র চেহারার সঙ্গে সামঞ্জস্য আনার জন্য ময়ূরের হেয়ারস্টাইলও তৈরি করা হত যত্ন নিয়ে। দেখা হত, যাতে তাঁর কান দু’টি খাকে চুলের আড়ালেই।
নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ১১ জানুয়ারি ২০২১ ০৯:৫৬
Share:Save:
এই খবরটি সেভ করে রাখার জন্য পাশের আইকনটি ক্লিক করুন।
০১১৫
সাতের দশকের সর্বোচ্চ পারিশ্রমিকপ্রাপ্ত নায়ক যদি হন অমিতাভ, তবে সবথেকে বেশি পারিশ্রমিক পাওয়া শিশুশিল্পী ছিলেন ময়ূর রাজ বর্মা। ইন্ডাস্ট্রিতে তাঁর পরিচয় ছিল ‘স্মল বি’ বলে।
০২১৫
ছবিতে অমিতাভের শৈশবের ভূমিকায় অভিনয় করতেন ময়ূর। আজ, বিগ বি বিরাজ করছেন স্বমহিমায়। কিন্তু বলিউড থেকে হারিয়ে গিয়েছেন তাঁর শৈশব, ময়ূর।
০৩১৫
ময়ূরের হাঁটাচলা, কথা বলার ভঙ্গির এত সাদৃশ্য ছিল অমিতাভের সঙ্গে, সে সময় তাঁর শৈশবের ভূমিকায় ময়ূর ছাড়া অন্য কাউকে ভাবাই যেত না।
০৪১৫
ময়ূর প্রথম অভিনয় করেন ‘মুকদ্দর কা সিকন্দর’ ছবিতে। এরপর ‘লাওয়ারিশ’, ‘বেমিসাল’, ‘অমর আকবর অ্যান্টনি’, ‘শরাবি’-সহ অনেক ছবিতে তিনি অভিনয় করেছেন।
০৫১৫
অমিতাভের পাশাপাশি ময়ূরও ছিলেন দর্শকদের পছন্দের তালিকার শীর্ষে। বিগ বি-র চেহারার সঙ্গে সামঞ্জস্য আনার জন্য ময়ূরের হেয়ারস্টাইলও তৈরি করা হত যত্ন নিয়ে। দেখা হত, যাতে তাঁর কান দু’টি খাকে চুলের আড়ালেই।
০৬১৫
বিগ বি-র মতো ময়ূরেরও ছবিতে সুযোগের অভাব হত না। পর পর ছবি আসত তাঁর কাছে। কিন্তু যে চেহারার জন্য একদিন ছবিতে ডাক পেয়েছিলেন, একদিন বাধ সাধল সেই চেহারাই।
০৭১৫
১০ থেকে ১৫ বছরের মধ্যে প্রকৃতির নিয়ম মেনেই দ্রুত পরিবর্তন হল ময়ূরের চেহারায়। ফলে অমিতাভের ছোটবেলার ভূমিকায় তাঁর অভিনয়ের সুযোগ ক্রমশ কমতে লাগল।
০৮১৫
পরবর্তীতে ময়ূর বর্মা কিছু ছবিতে পার্শ্বচরিত্রে অভিনয় করেছেন। সে সময়, আটের দশকের শেষ দিকে দূরদর্শনে ‘মহাভারত’-এর বিভিন্ন চরিত্রের জন্য অভিনেতা নির্বাচন করা হচ্ছিল।
০৯১৫
‘অভিমন্যু’ চরিত্রের জন্য প্রথমে সুযোগ পান গোবিন্দ। তিনি প্রথমে রাজি হয়েও পরে পিছিয়ে আসেন। পরে অভিনয়ের প্রস্তাব যায় চাঙ্কি পাণ্ডের কাছে। কিন্তু তিনিও প্রথমে রাজি হয়ে তার পর অফার ফিরিয়ে দেন।
১০১৫
এর পর শকুনি চরিত্রের অভিনেতা গুফি পেন্টালের প্রস্তাবে অভিমন্যুর চরিত্রে নেওয়া হয় ময়ূর বর্মাকে। তিনিই এই চরিত্রে অভিনয় করেন।
১১১৫
কিন্তু ‘মহাভারত’-এর পরে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়েন ময়ূর। নয়ের দশকে এক দিকে শাহরুখ-আমির-সলমনের মতো রোমান্টিক হিরো, অন্য দিকে সানি-অক্ষয় কুমার-সুনীলের মতো সুঠাম দেহের নায়ক— এই দুই ধরনের অভিনেতার কাছেই প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়েন তিনি।
১২১৫
ফলে বড় ছবির ছোট ভূমিকার অভিনেতা হয়েই খুশি থাকতে হয় ময়ূরকে। বড় পর্দায় পিছিয়ে পড়ে তিনি কাজ করেছিলেন টেলিভিশনেও। কিছু শো সঞ্চালনা করার সময় তখন সাক্ষাৎকার নিয়েছিলেন সলমন খানেরও।
১৩১৫
কিন্তু বড় পর্দা বা টেলিভিশন, কোনও মাধ্যমেই ময়ূর আর শৈশবের জনপ্রিয়তা ফিরে পাননি। অভিনয়ের সুযোগ না পেয়ে তিনি ইন্ডাস্ট্রি থেকে দূরে সরে যান। তার পর এক সময় দেশ ছেড়ে থিতু হন বিদেশে।
১৪১৫
অতীতের জনপ্রিয় শিশুশিল্পী এখন থাকেন ওয়েলসে। তিনি এবং তাঁর স্ত্রী নূর মিলে সেখানে ‘ইন্ডিয়ানা’ নামে একটি রেস্তরাঁ চালান। পাশাপাশি তাঁর একটি পর্যটন সংস্থাও আছে।
১৫১৫
তবে ময়ূর অভিনয়ের প্যাশনও ছাড়তে পারেননি। ওয়েলসে অভিনয়ের ওয়ার্কশপ চালান। বলিউডে শিশুশিল্পীদের মধ্যে অনেকেই বড় হয়ে ইন্ডাস্ট্রিতে সে ভাবে প্রতিষ্ঠিত হতে পারেননি। ময়ূরও সেই তালিকায় অন্যতম। তবে অভিনেতা না হতে পারলেও তিনি আজ বিদেশের মাটিতে একজন সফল ব্যবসায়ী।