‘কাজল নদীর জলে’ ধারাবাহিকে মৈনাক বন্দ্যোপাধ্যায়, অরুণিমা হালদার ও অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়। ছবি: সংগৃহীত।
তিন মাস আগে শুরু হয়েছিল ‘কাজল নদীর জলে’। ধারাবাহিকের প্রথম ঝলক সাড়া ফেলেছিল সমাজমাধ্যমে। এক পুরুষের জীবনে দুই নারীর গল্প ছোট পর্দায় প্রায়ই দেখা যায়। তবে এই ধারাবাহিকে প্রধান নারী চরিত্রের জীবনে দুই পুরুষ। তবে বাঁধা গতের বাইরে গিয়েও বেশি দিন স্থায়ী হল না এই ধারাবাহিক। তিন মাসেই বন্ধ হল ‘কাজল নদীর জলে’। বৃহস্পতিবার ছিল শেষ শুটিং।
কিন্তু এত দ্রুত এই ধারাবাহিক বন্ধ হয়ে যেতে পারে, আশা করেননি মৈনাক বন্দ্যোপাধ্যায়। অভিনেতা বলেন, “তিন দিন আগে আমাদের জানানো হয়, ধারাবাহিক বন্ধ হচ্ছে। কিন্তু কেন বন্ধ হচ্ছে সেই সম্পর্কে আমাদের কোনও ধারণা নেই। পুরোটাই চ্যানেলের সিদ্ধান্ত। তারা যেমন ফলাফল বা নম্বর আশা করেছিল, সেটা হয়তো হচ্ছিল না।”
দুপুর দুটোয় সম্প্রচারিত হত এই ধারাবাহিক। সেই জন্যই কি আশানুরূপ ফল হল না? মৈনাকের কথায়, “আমার সেটাই মনে হয়। বাকিটা চ্যানেলের রিসার্চ টিম ভাল বলতে পারবে। আমরা একেবারেই আশা করিনি। সকলেই ভেবেছিলাম, ভালই এগোচ্ছে। তা ছাড়া এই ধারাবাহিক কোথাও গিয়ে অন্য রকম কথা বলার চেষ্টা করছিল। সে ক্ষেত্রে আশা ছিল, বেশ কিছু দিন চলবে।”
শেষ দিন শুটিং হলেও তেমন মনখারাপ করছেন না ধারাবাহিকের নায়িকা অরুণিমা হালদার। অভিনেত্রীর কথায়, “আমরা কেউই আশা করিনি এত দ্রুত এই ধারাবাহিক শেষ হয়ে যাবে। তাই সামান্য মনখারাপ তো থাকবেই। কিন্তু খুব বেশি মনখারাপের কোনও জায়গা নেই। এর আগেও আমার দুটো ধারাবাহিক শেষ হয়েছিল। তবে সেগুলি দীর্ঘ দিন চলেছিল। আসলে আমি মনখারাপে বিশ্বাসী নই। একটা সফর শুরু হলে তার শেষ তো থাকবেই।”
চ্যানেলের সিদ্ধান্ত নিয়ে অরুণিমার বক্তব্য, “শুনেছি নম্বর ভাল আসছিল না। আমাদের দায়িত্ব, মন দিয়ে কাজটা করা। আমরা সেটা করেছি। বাকি সিদ্ধান্ত চ্যানেলের উপরে। তবে এই ছোট্ট সফরে সকলেই খুব ভাল সময় কাটিয়েছি। তবে ব্যবসারও কিছু বিষয় রয়েছে।”
কিছু দিন আগেই জন্ডিসে আক্রান্ত হয়ে ধারাবাহিকের শুটিং করছিলেন অরুণিমা। “কাজটা নিয়ে খুবই আশাবাদী ছিলান। অসুস্থ হয়ে কাজ করেছি, কারণ কাজটা ভাল লাগত। কাজে গেলে মন ভাল হয়ে যেত। সেখান থেকে শরীরও ভাল লাগত। তবে এখনও শরীর পুরোপুরি সুস্থ নয়। তাই আপাতত দু-তিন সপ্তাহ বিশ্রাম নিতে চাই।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy