(বাঁ দিকে) আলিয়া ভট্ট ও রাহা। মহেশ ভট্ট (ডান দিকে)। ছবি: সংগৃহীত।
জন্মের পর থেকেই খ্যাতির স্বাদ পেয়ে গিয়েছে আলিয়া ভট্টের মেয়ে রাহা কপূর। সেই একরত্তি এক বার মুচকি হাসলে বা ঘাড় ঘুরিয়ে তাকালেই ছবিশিকারিরা ক্যামেরাবন্দি করে ফেলেন তাকে। মুহূর্তে রাহার সেই ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়ে নেটদুনিয়ায়। বাড়িতেও সকলের আদরের আলিয়া-কন্যা। দাদু মহেশ ভট্টেরও নয়নের মণি সে। এমনকি রাহা একটু বড় হলে, তাকে প্রথম কোন ছবি দেখাবেন, সেটাও ঠিক করে ফেলেছেন পরিচালক।
রাহা যখন ১৬ বছরের কিশোরী হয়ে উঠবে, তখন তাকে নিজের পরিচালিত কোন ছবি দেখাবেন? সংবাদমাধ্যমের এক সাক্ষাৎকারে সে কথাই জানালেন মহেশ। বললেন, “আমি চাই, রাহা আমার পরিচালিত ছবিগুলির মধ্যে আগে ‘দিল হ্যায় কে মানতা নেহি’ দেখুক। ওর যখন বয়স ১৬ বা তার কাছাকাছি হবে, এই ছবিটা দেখাব ওকে।”
১৯৯১ সালের এই ছবিতে অভিনয় করেছিলেন, মহেশ ভট্টের বড় মেয়ে পূজা ভট্ট ও আমির খান। বলিউডের জনপ্রিয় ছবিগুলির মধ্যে এটি অন্যতম। পরিচালকের কথায়, “এই ছবি আমার মনের খুব কাছের। পূজা ও আমির দু’জনেই অসাধারণ অভিনয় করেছেন এই ছবিতে। মানুষের মন প্রতিফলিত হয়েছিল এই ছবিতে। তাই আমার মনে হয়, এই ছবিটাই আমি রাহাকে দেখাব।” সাক্ষাৎকারে আরও একটি ছবি ‘হম হ্যায় রাহি পেয়ার কে’র কথাও স্মরণ করিয়ে দেওয়া হয় মহেশকে। তখন পরিচালক জানান, এই ছবিটিও তিনি রাহাকে দেখাতে চান, কারণ এখানেও সুন্দর একটি প্রেমের গল্প বলা হয়েছে।
মহেশ আরও জানান, রণবীর ও আলিয়ার সন্তান সংসারে আসার পরে তাঁর জীবনেও নানা পরিবর্তন এসেছে। এক অন্য দৃষ্টিভঙ্গি থেকে দুনিয়া দেখতে শুরু করেছেন তিনি। দাদু না হলে এই নতুন দৃষ্টিভঙ্গি খুঁজেই পেতেন না বলে জানান মহেশ ভট্ট। তাঁর কথায়, “মানুষের নানা ঘটনা এখন একটু অন্য ভাবে দেখি। বিশেষ করে দাদু হওয়ার পরে এটা হয়েছে। আলিয়ার সাফল্যের আনন্দের ঘোর কাটিয়ে উঠতে পারিনি আমি এখনও। আর তার মধ্যেই ওর মধ্যে মাতৃত্ব দেখেছি। আলিয়া শুধু ভাল অভিনেত্রী নন, ও মা হিসাবেও অসাধারণ। আর রাহাকে যেন ঈশ্বর আমাদের কাছে পাঠিয়েছেন। শিশুদের মধ্যে এক অদ্ভুত ক্ষমতা থাকে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy