'অভিযাত্রিক'-এর শুভ মহরতে অর্জুন চক্রবর্তী, মধুর ভাণ্ডারকর, শুভ্রজিৎ মিত্র, গৌরাঙ্গ জালান ও বিক্রম ঘোষ। -নিজস্ব চিত্র
ছবির নাম ‘অভিযাত্রিক’। অপুর চরিত্রে অর্জুন চক্রবর্তী। অপর্ণার চরিত্রে দিতিপ্রিয়া রায়। বড় পর্দায় ফিরছে অপু। ফিরছে অপর্ণাও। সঙ্গে থাকছে আরও নানা চমক। পরিচালনায় শুভ্রজিৎ মিত্র।
‘অপুর সংসার’ মুক্তি পেয়েছিল ১৯৫৯ –এ। মাঝে কেটেছে ষাটটা বছর। কিন্তু বিভূতিভূষণের লেখনী সমৃদ্ধ সত্যজিতের রায়ের পরিচালনায় কালজয়ী ওই ট্রিলজি আজও বাঙালি হৃদয়ে অমলিন। শুধু বাঙালিই বা কেন? স্থান, কাল, সীমানার গণ্ডি ছাড়িয়ে অপু- দুর্গার পাঁচালি জায়গা করে নিয়েছে আন্তর্জাতিক মহলেও।
শনিবার ওই ছবিরই ‘শুভ মহরত’ অনুষ্ঠিত হল। নতুন ভাবে যাত্রা শুরু করল অপু- অপর্ণা। সঙ্গী তাঁদের ছয় বছরের ছেলে কাজল। চমকের অবশ্য এখানেই শেষ নয়। ছবিটির প্রযোজনা করছেন গৌরাঙ্গ জালান। একসময় তাঁর প্রযোজনা সংস্থা তপন সিংহর ছবির প্রযোজনা করেছে। ছবিটির নিবেদক জাতীয় পুরস্কার প্রাপ্ত পরিচালক মধুর ভাণ্ডারকর। এই প্রথম কোনও বাংলা ছবিতে নিবেদকের ভূমিকায় দেখা যাবে তাঁকে।
আরও পড়ুন: সলমন-সঞ্জয় জুটিতে কি ভরসা নেই প্রযোজকদের?
কিন্তু ‘অপু’-র মতো এমন একটি সংবেদনশীল চরিত্রকে নিয়ে আবার নতুন ভাবে কাজ করা, সে ক্ষেত্রে তুলনা আসা তো স্বাভাবিক। তাতে অবশ্য বিশেষ ভাবিত নন পরিচালক শুভ্রজিৎ। আনন্দবাজার ডিজিটালকে জানালেন, তুলনার কোনও প্রশ্নই ওঠে না। সত্যজিৎ যে মাইলস্টোন পুঁতে রেখেছিলেন তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনই মূল উদ্দেশ্য। বললেন, ‘‘নিজের মতো করে বানানোর চেষ্টা করছি। দর্শক হন বা সিনেমার ছাত্র, অপুর জার্নি প্রত্যেক বাঙালির মধ্যে রোমাঞ্চ এনেছে। যখনই ছবিটি দেখেছি গায়ে কাঁটা দিয়েছে। অনেক রিসার্চ করেছি ছবি বানানোর আগে।’’
একই সুর শোনা গেল মধুর ভাণ্ডারকরের গলাতেও। বললেন, “অপু এমনই একটি চরিত্র যাকে সারা পৃথিবী ভালবেসেছে। সত্যজিতের জায়গায় পৌঁছনোর মতো ক্ষমতা আমাদের নেই। একজন পরিচালক হিসেবে আমার মনে হয় আর একজন পরিচালক যা করতে চাইছেন তাতে উৎসাহ দেওয়া। বিভূতিভূষণের উপন্যাসে এমন অনেক চরিত্র রয়েছে যা সত্যজিত তাঁর ছবিতে দেখাননি। অপু এবং তাঁর ছেলে কাজলের মধ্যেকার সম্পর্কের কথাই বলবে এই ছবি।”
আরও পড়ুন: অন্য ভাবে বাঁচার গল্প শোনাবে ‘ফেলুনাথের মার্কশিট’
মধুরের বক্তব্য: “যখন প্রথম এই কাজের কথা আমি শুনি আমার বেশ অবাকই লেগেছিল। পুরো ছবিটি সাদা কালোতে শুট হবে। নেটফ্লিক্স, ডিজিটালের যুগে একটি ছবি সাদা-কালোতে করার কথা ভাবা হচ্ছে। এই ছবির মাধ্যমে পরিচালক সত্যজিতের কিছু ঝলক দেখাতে চেয়েছেন”
আপাতত শুটিং-এর প্রস্তুতি চলছে জোরকদমে। আশাবাদী গোটা ইউনিট।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy