শনিবাসরীয় আড্ডায় লোপামু্দ্রা মিত্র
আনন্দবাজার অনলাইনের শনিবাসরীয় আড্ডা একেবারেই ছকভাঙা। বিনোদন দুনিয়া থেকে পোড় খাওয়া রাজনীতিবিদ, এই মঞ্চে অনর্গল আপনা থেকেই। দর্শক-শ্রোতাও সমৃদ্ধ সেই সুবাদে। এমনই এক আড্ডায় আমন্ত্রিত লোপামুদ্রা মিত্র। যিনি প্রায় সব ধরনের গান গেয়েছেন। ফলে, তিনি অনায়াসে হিন্দি গানও গাইতে পারবেন, এমনই ধারণা তাঁর অনুরাগীদের। তা হলে কেন তিনি বলিউডে পা রাখলেন না?
লোপামুদ্রার কি এক বারের জন্যেও ইচ্ছে করেনি হিন্দি গানের দুনিয়াতেও সমান ভাবে সফল হতে?
আড্ডায় জোর গলাতেই শিল্পীর দাবি, ‘‘না করেনি। কারণ, মুম্বই যাওয়া, সেখানে সফল হওয়া বাঙালির স্বপ্ন। তাদের চোখে যোগ্যতা বিচারের মাপকাঠি। দক্ষিণ ভারতের শিল্পীরা কিন্তু এমন ভাবেন না। আমিও না।’’ শিল্পীর আরও দাবি, তিনি বাংলা ভাষা এবং বাংলা গান নিয়ে গর্বিত। এই গান গেয়েই তিনি খুব খুশি। নিজের ভাষার গানকে তিনি এতটাই ভালবাসেন যে, অন্য ভাষায় গান করার তাগিদ কোনও দিন অনুভব করেননি! তাই বাংলা ছেড়ে যাওয়ার কথাও তাঁর মাথায় আসেনি। এ ভাবেই তিনটি দশক বছর তিনি পেরিয়ে এসেছেন। শ্রোতা এবং গান তাঁর পাওনার ঝুলি ভরে দিয়েছেন ভালবাসায়, সম্মানে। গায়িকার কথায়, ‘‘আমি যত না গেয়েছি, গান তার থেকে আমায় দ্বিগুণ ফিরিয়ে দিয়েছে। আমার অবসন্ন মনের জোরালো ওষুধ এই গান। বাংলার মঞ্চেই ‘বেণীমাধব’ থেকে ‘আবার আসিব ফিরে’ হয়ে ‘হেই মা দুগ্গা’ বা ‘ছাতা ধর হে দেওরা’ অনায়াসে গেয়েছি। দর্শক-শ্রোতারা আজও সেই গান শোনার ফরমায়েস করেন!’’
পাশাপাশি, নিজেকে এবং তাঁর সমসাময়িক শিল্পীদের প্রতি সামান্য দুষেছেন। লোপামুদ্রার যুক্তি, ‘‘সবার এই বলিউডপ্রীতির পিছনে আমাদের ব্যর্থতাও লুকিয়ে। আমরা পারিনি ভবিষ্যৎ প্রজন্মের মনে বাংলা গানের প্রতি ভালবাসা, টান তৈরি করে দিতে।’’ তাঁর দাবি, আগের প্রজন্মের দায়িত্ব আগামী প্রজন্মকে শিখিয়ে দেওয়া যে, নিজের ভাষা, নিজের গান নিয়েই খুশি থাকতে হয়। তাতে নিজের ভূমির গান আরও সমৃদ্ধ হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy