হ্যাঁ, বৈজয়ন্তীমালা বালির কথাই হচ্ছে। যাঁর গুণমুগ্ধ ছিলেন উতত্ম কুমারও। ভরতনাট্যমের গুণী শিল্পী, কর্নাটকি গায়িকা, চলচ্চিত্রাভিনেত্রী, নৃত্য নির্দেশিকা, ও সংসদ সদস্য। জীবন তাঁকে নানা পরিচয়েই পরিচিত করেছে। ১৯৩৬-এর ১৩ অগস্ট মাদ্রাজ প্রেসিডেন্সির ত্রিপলিক্যান এলাকায় এক তামিল পরিবারে জন্ম হয় বৈজয়ন্তীমালার। বাবা এম ডি রমন ও মা বসুন্ধরা দেবী।
‘দেবদাস’-এ ‘চন্দ্রমুখী’র ভূমিকায় তাঁর অভিনয় নাড়া দেয় সকলের মন। তবে এই ছবি কিছু বিতর্কেরও জন্ম দেয়। চন্দ্রমুখীর ভূমিকায় অভিনয় করে বৈজয়ন্তীমালা সেরা সহ-অভিনেত্রীর পুরস্কারের জন্য মনোনীত হলে তিনি সেই পুরস্কার নিতে অস্বীকার করেন। তাঁর যুক্তি, তিনি কোনও সহকারী অভিনেত্রীর ভূমিকায় অভিনয় করেননি। নায়িকার ভূমিকাতেই করেছেন।
আশির দশকের মাঝামাঝি বৈজয়ন্তীমালার রাজনৈতিক জীবন শুরু হয়। ১৯৮৪-তে তিনি ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস দলের মনোনীত প্রার্থীরূপে তামিলনাড়ু সাধারণ নির্বাচনে দক্ষিণ চেন্নাই সংসদীয় আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। তার প্রতিপক্ষ ছিলেন জনতা পার্টির নেতা ইরা সেজিয়ান। মোট ভোটের ৫১.৯২ শতাংশ পেয়ে সেজিয়ানকে হেলায় হারান তিনি।
লোকসভায় প্রথমবারের মতো অভিষেক ঘটার পর ১৯৮৫ সালে অমিতাভ বচ্চনের সঙ্গে ভারতীয় সংসদের নিম্নকক্ষে সরাসরি নির্বাচিত হন তিনি। ১৯৮৯-তেও তামিলনাড়ু সাধারণ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। তবে কংগ্রেসের বিভিন্ন নেতার সঙ্গে মনোমালিন্য ও অন্যান্য নানা কারণে ১৯৯৯-এ কংগ্রেস ছাড়েন তিনি। সে বছরই যোগ দেন ভারতীয় জনতা পার্টিতে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy