অগস্ট জুড়ে নানা স্বাদের পুরনো বাংলা ছবি হইচই প্ল্যাটফর্মে চলছে।
নিউ নর্মালের সবচেয়ে জরুরি ‘নর্মাল’ ওটিটি প্ল্যাটফর্ম। সেখানেই উপুড় বাংলা বিনোদন। অগস্ট জুড়ে নানা স্বাদের পুরনো বাংলা ছবি হইচই প্ল্যাটফর্মে চলছে। আড্ডা টাইমস-এ আসছে রকমারি সিরিজ।
রাতদিন সাতদিন মোবাইলে ইচ্ছে মতো হইচই
একলা আকাশ: ভালবাসার জন্ম, অপমৃত্যু, প্রতিশোধ, ট্র্যাজেডি সব এক সঙ্গে দেখতে চাইলে রয়েছে সন্দীপন রায়ের ২০১২-র এই ছবিটা। মুখ্য ভূমিকায় পার্নো মিত্র, পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়। এছাড়াও, গৌতম ঘোষ, রুদ্রনীল ঘোষ, দেবলীনা দত্ত। ২০ অগস্ট দেখানো হইচই-এ।
বাঁশিওয়ালা: অঞ্জন দাশের ২০১০-এর ছবি। বলা যেতেই পারে হ্যামলিনের বাংলা রূপান্তর। এ ছবির পরতে পরতে অনবদ্য অভিনয় সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়, কৌশিক সেন, পাওলি দাম, শ্যাম মুন্সি, ইন্দ্রাণী হালদারের। ওয়েবে আসছে ২১ অগস্ট।
অবশেষে: দাম্পত্য বিচ্ছেদের পর ছেলে আর বাবার সংসার। মাকে কোনও দিন জানার চেষ্টাই করেনি সৌম্য। মায়ের মৃত্যুর পর দেশে এসে মায়ের স্মৃতি দিয়ে তাঁকে নতুন করে চেনার চেষ্টা এক সন্তানের, এটাই মূল গল্প অদিতি রায়ের ২০১১-র ছবির। অভিনয়ে রূপা গঙ্গোপাধ্যায়, রঞ্জিনী চক্রবর্তী, অঙ্কুর খান্না, রাইমা সেন, দীপঙ্কর দে, সুমন মুখোপাধ্যায়। দেখতে পাবেন ২২ অগস্ট।
‘অবশেষে’ ছবির দৃশ্য।
আজব প্রেম এবং: ২৯ অগস্টের ছবি অরিন্দম দে-র ২০১১-র ছবিটি। অভিনয়ে সব্যসাচী চক্রবর্তী, পাওলি দাম, রাহুল বন্দ্যোপাধ্যায়।
তাসের ঘর: এক বছর পরে স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায় আবার বাংলা ছবিতে। সৌজন্যে হইচই প্ল্যাটফর্মের নতুন সিনেমা ‘তাসের ঘর’। রবীন্দ্রনাথের নয়, ঋতুপর্ণ ঘোষের বাড়ি ‘তাসের ঘর’ স্মরণ এই ছবিতে। যার প্রাণ ভোমরা সুজাতা। যে বাবার বাড়িতে থেকে স্বপ্ন দেখত শ্বশুর বাড়ির। গুছিয়ে সংসারের। মেয়েবেলায় তার বেস্ট ফ্রেন্ড বাড়ির পিছনের বিশাল অশ্বত্থ গাছ। সম্বন্ধ আসার পর ভীষণ খুশি সুজাতা। কিন্তু তার স্বপ্ন কি পূরণ হল? সেই গল্প দেখতে পাবেন ৩ সেপ্টেম্বর থেকে। সদ্য মুক্তি পাওয়া ছবির পোস্টার বলছে, মেয়েদের স্বপ্ন, স্বপ্নভঙ্গের কথা বলবে এই ছবি।
‘আজব প্রেম এবং’ ছবির দৃশ্যে পাওলি ও রাহুল।
আড্ডা দিতে দিতে আড্ডা টাইমসে
ফেলুদা ফেরত: পুজো উপহার হতে চলেছে সৃজিত মুখোপাধ্যায় পরিচালিত এই সিরিজ। ‘ছিন্নমস্তার অভিশাপ’ ‘যত কান্ড কাঠমান্ডুতে’, এই দু’টি গল্প থাকবে সিরিজে। এর আগেও আড্ডা টাইমসে দেখা গিয়েছিল সত্যজিৎ রায়ে এই সৃষ্টিকে। সেবার পরিচালনায় এবং ফেলুদার ভূমিকায় পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়। এ বার নাম ভূমিকায় টোটা রায়চৌধুরী। তপেশ কল্পন মিত্র, জটায়ু অনির্বাণ চক্রবর্তী। এছাড়াও দেখা যাবে ধৃতিমান চট্টোপাধ্যায়, ভরত কল, খরাজ মুখোপাধ্যায়, ঋষি কৌশিক সহ বাংলার একঝাঁক অতি প্রিয় তারকাদের। সৃজিতের কথায়, ভাগ্য গুণে শুটিং শেষ লকডাউনের আগেই। পোস্ট প্রোডাকশনের কিছু কাজ হয়েছে বাড়িতে। লকডাউন ওঠার পর স্টুডিয়োয় গিয়ে শেষ হচ্ছে বাকিটুকু।
কর্ম: ‘এই জীবনের কর্ম ফল এখানেই ভোগ করে যেতে হবে’, বললেন পরিচালক অর্ণব রিংগো বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর আগামী সিরিজ ‘কর্ম’ সেই বিশ্বাসের ফসল। গল্পে, এক পুরুষ চরিত্র যার সংসার অন্তপ্রাণ। তবু তাঁর অনুপস্থিতিতে তার স্ত্রী ব্যাভিচারিণী। মায়ের এই অবিচারে বাবার আত্মহত্যা এতটাই ধাক্কা দেয় মেয়ে সঞ্জনাকে যে সে নিজেই ঠিক করে, সংসারের সমস্ত ব্যাভিচার, অন্যায়, নীতি বহির্ভূত সম্পর্ক মুছে ফেলবে একা হাতে। তারপর? আর ভাঙেননি রিংগো। ডার্ক থ্রিলার জঁরের এই সিরিজে মুখ্য চরিত্রে দেখা যাবে পৃথা সেনগুপ্ত, সাহেব ভট্টাচার্য, শাঁওলি সেনগুপ্তকে। সব ঠিক থাকলে সম্ভবত শারদীয়ার উপহার হবে এটিও।
পেন: ওরা লিভ টুগেদার করে। কিন্তু মেয়েটির বয়ফ্রেন্ড ইদানিং কাজের সূত্রে অন্য রাজ্যে। বোর হওয়া প্রেমিকা অবশেষে শুরু করে অন্য ধরনের কাজ।এক বৃদ্ধ কিছু গল্প লিখতে চান। কিন্তু চোখের সমস্যা আর পারকিনসন ডিজিজ তাঁর লেখার বাধা। তাই তিনি মুখে বলেন, মেয়েটি শুনে শুনে লিখতে থাকে। কিন্তু পেন ছুঁতেই কে যেন ভর করে মেয়েটিকে। ভয় আর অবসাদে ডুবতে থাকে সে। মেয়েটি কি নিজেকে শেষ করে ফেলবে? কী হবে বৃদ্ধের? ভয় পেতে যাঁরা ভালবাসেন তাঁদের জন্য এই সিরিজ। পরিচালনায় জয়দীপ রাউত।
ভার্জিন মোহিতো ২: সুদেষ্ণা রায়-অভিজিৎ গুহ জুটি সম্পর্কের গল্প বলেন ভিন্ন স্বাদে। মেয়েদের ভার্জিনিটি বা কুমারীত্ব নিয়ে মা-কাকিমাদের মাথাব্যথার অন্ত নেই। কেউ কোনও দিন পুরুষের কৌমার্যের পরীক্ষা নিয়েছেন? ঠাট্টার ছলে, ব্যঙ্গের কষাঘাতে এই প্রশ্ন পরিচালক জুটি তুলেছিলেন প্রথম সিরিজে। তারই সেকেন্ড পার্ট বলবে, আজকের নারীর কথা। যে শরীর, যৌনতা নিয়ে ভীষণ উন্মুক্ত। যে কাজে, সম্পর্কে কম্প্রোমাইজ করতে রাজি নয় আর। আজকের পুরুষ পারবে এই নারীর সঙ্গে পাল্লা দিতে?
‘ভার্জিন মোহিতো ২’ ছবির দৃশ্য।
উৎসবের পর: জীবন এখন কর্পোরেট। সম্পর্ক ভার্চুয়াল। ফলে, দেখাসাক্ষাৎ, আন্তরিকতা অতীতের সোনালি স্মৃতি। সেই স্মৃতি হঠাৎই দুর্গা পুজোর আবহে ফিরে এলে? উৎসব বাড়িতে বাড়তি প্রাণের সঞ্চার কতটা হয়? ২০১১-র প্রেক্ষাপটে সেই গল্পই বলবেন পরিচালক অভিনন্দন দত্ত এক যৌথ পরিবারকে কেন্দ্র করে।
সাইলেন্ট নাইট: বছর চল্লিশের জ্যোতিন্দ্র সেন। টিপিক্যাল অসুখী মধ্যবিত্ত। স্ত্রী বীণাও অসুখী দাম্পত্য বয়ে বেড়াচ্ছে। তার সারাক্ষণের না পাওয়ার হা-হুতাশ। শুনতে শুনতে বিরক্ত জ্যোতিন্দ্র। আত্মবিশ্বাস তলানিতে। সমাজের চোখে হেয়। কাছের মানুষেরা তাকে মানসিক অত্যাচার করে। নিজের সমস্ত শখ জলাঞ্জলি দিয়ে ঘুরে দাঁড়াতে মরিয়া জ্যোতি সবার দরজায় দরজায় ঘোরে। কিন্তু আজকের দিনে সাহায্যের হাত বাড়াবে কে? অবসাদের বোঝা হাল্কা করতে ক্রিসমাসের রাতে খুন করে স্ত্রীকে। সেই খুন লুকোতে গিয়ে হারানো আত্মবিশ্বাস ফিরে পায় সে। এই প্রথম জ্যোতিন্দ্র সমস্ত পরিস্থিতি নিজেই সামলাতে শুরু করে! সৌরভ বর্মন নিজের লেখা গল্পকেই পর্দায় নিয়ে আসছেন সিরিজ আকারে।
এছাড়াও লিস্টে রয়েছে রিংগো বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘দ্য সেনাপতি ২’, ছোট ছবি ‘সোহাগ’, ‘চেক মেট’, ‘সেক্স ক্রাইম’ সিরিজ সিন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy