‘‘জয়জিৎ বহু দিনের চেনা। ওর অনুরোধ ফেলতে পারিনি’’, বললেন লিলি।
দশ গোল দিলেন লিলি চক্রবর্তী! একেবারে হাঁটুর বয়সীদেরও। তাঁর নামে গান ‘লিলি ডোন্ট বি সিলি’-র মিউজিক ভিডিয়োয় নেচে পুজোর আগেই আসর মাতিয়ে দিয়েছেন বর্ষীয়ান অভিনেত্রী। ইতিমধ্যেই ১ লক্ষ ছুঁয়েছে ভিডিওর দর্শক সংখ্যা!
আনন্দবাজার অনলাইন যোগাযোগ করতেই একরাশ লজ্জা তাঁর গলায়। লিলি জানালেন, পুরোটাই সম্ভব হয়েছে জয়জিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুরোধে। গানের তালে নাচিয়েছেন জয়জিৎ, সুরকার-শিল্পী সমিধ মুখোপাধ্যায়, ঊর্বি চট্টোপাধ্যায়, এমনকি প্রযোজক এনা সাহাকেও। এই মিউজিক ভিডিয়োর হাত ধরেই অভিনয় দুনিয়ায় পা রাখলেন এনার বোন সাক্ষী সাহাও। বিপরীতে নবাগত ঋদ্ধিশ চৌধুরী। জারেক এন্টারটেনমেন্ট প্রযোজিত এই গানেই গীতিকার হিসেবে আত্মপ্রকাশ জয়জিতের।
হঠাৎ আইটেম গানে নাচলেন কেন? অভিজ্ঞতাই বা কেমন?
প্রবীণ অভিনেত্রীর বক্তব্য, ‘‘জয়জিৎ বহু দিনের চেনা। বলল, তোমার নামে গান। তুমি থাকবে না! ওর অনুরোধ ফেলতে পারিনি। ভিডিয়োর একেবারে শেষ অংশ আমায় দেখা যাবে। সেটে গিয়ে একটু ঘাবড়েই গিয়েছিলাম। ভয় হচ্ছিল, পারব তো? আমায় কিছু বলেওনি কী করতে হবে। নিজের মতো করে গানের তালে তালে একটু কাঁধ নাচিয়ে দিলাম। সবাই বলল, দারুণ হয়েছে।’’
ইতিমধ্যেই রোজ লাফিয়ে বাড়ছে ভিডিওর দর্শক সংখ্যা। পুজো প্যান্ডেলে এই গান বাজলে কেমন লাগবে? গলায় একরাশ আনন্দ নিমেষে। যদি সত্যিই হয় মন্দ কী!
অতিমারিতে আক্রান্ত হওয়ার পরে দীর্ঘদিন অভিনয় থেকে দূরে ছিলেন। সম্প্রতি দেব-রুক্মিণীর সঙ্গে ‘কিশমিশ’ ছবির কাজ শেষ করেছেন বর্ষীয়ান অভিনেত্রী। অভিনয় করছেন ‘ছুটি’ ছবিতে। লিলি ছাড়াও ছবিতে রয়েছেন বনি সেনগুপ্ত, কৌশানী মুখোপাধ্যায়, খরাজ মুখোপাধ্যায়, রজতাভ দত্ত। নভেম্বরে পুজোর পরে শুরু করবেন নতুন ছবির কাজ।
আইটেম গানে নাচলেন। এর পর কি ওয়েব সিরিজ? হাসতে হাসতে লিলির উত্তর, ‘‘ওখানে বাচ্চা বাচ্চা ছেলেমেয়েরা সুযোগ পায়। আমি কি পাব?’’ তবে জানালেন, ভাল গল্প বা গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র হলে তাঁর আপত্তি নেই।
‘লিলি ডোন্ট বি সিলি’ গানের কথায়, সুরে, আবহে যেন গত বছরের ‘টুম্পা সোনা’র ছায়া! নতুনত্ব আনতে শেষ পর্যন্ত প্রবীণ অভিনেত্রীর দ্বারস্থ হতে হল? আনন্দবাজার অনলাইনকে জয়জিতের সাফ জবাব, ‘‘বহু আগে লেখা আমার এই গান। স্বাধীন ভাবে কাজ করা পরিচালককে কোনও প্রযোজক সাধারণত ভরসা করতে চান না। তাই কাজটা হয়েও হচ্ছিল না। এ বছর এনা সেই সাহস দেখিয়েছেন। তাই সবাই দেখতে পাচ্ছেন। স্বাভাবিক ভাবেই ‘টুম্পা সোনা’র সঙ্গে তুলনা হচ্ছে।’’
একই সঙ্গে পরিচালকের দাবি, ‘লিলি’কে নিয়ে গান আর বাস্তবের লিলি চক্রবর্তী থাকবেন না, হয় নাকি? প্রবীণ অভিনেত্রীকে এ কথা বলতেই তিনি খুশিমনে রাজি। বিনা পারিশ্রমিকেই কাজ করেছেন। একেবারে শেষ অংশে থেকেও ক্রমশ মিউজিক ভিডিয়োর মূল আকর্ষণ হয়ে উঠছেন লিলি-ই। জয়জিতের যুক্তি, ‘‘জানতাম এটাই হবে। বুঝেই দিদিকে অনুরোধ জানিয়েছিলাম।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy