সইফের শিরদাঁড়ায় আটকে ছিল এই ভাঙা ছুরি। ছবি: সংগৃহীত।
মধ্যরাতে নিজের বাড়িতে আক্রান্ত হন সইফ। ছ’বার ছুরিকাঘাত করা হয় তাঁকে। রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। সইফের শিরদাঁড়ায় গেঁথে ছিল ছুরির একটি অংশ। চিকিৎসকেরা জানান, হাতল থেকে ছুরিটি ভেঙে যায়। আড়াই ইঞ্চির ধারালো অংশটি আটকে যায় অভিনেতার শিরদাঁড়ায়। ফলে শিরদাঁড়া থেকে বেরিয়ে আসছিল সেরিব্রোস্পাইনাল তরল। অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে বার করা হয় ছুরির সেই ভাঙা অংশ। এ বার সেই ছুরির ছবি প্রকাশ্যে।
লীলাবতী হাসপাতালের তরফ থেকে অ্যানাস্থেসিয়োলজিস্ট নিশা গান্ধী জানান, শিরদাঁড়ার আঘাত খুবই গভীর ছিল। অল্পের জন্য বেঁচেছেন সইফ। ‘সেন্ট্রাল নার্ভাস সিস্টেম’ (কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্র) থেকে মাত্র ২ মিলিমিটার দূরে ছুরিকাঘাত করেছিল দুষ্কৃতী। সেই আঘাত নিয়েই হাসপাতালে আসেন তিনি। অ্যানাস্থেসিয়া দেওয়ার আগে সন্তানদের নিয়ে উদ্বেগে ছিলেন সইফ। বাচ্চাদের কথা বার বার জিজ্ঞাসা করছিলেন তিনি।
চিকিৎসকেরা শুক্রবার সকালে জানান, সইফ বিপন্মুক্ত। জ্ঞান ফিরেছে অভিনেতার। আপাতত এক সপ্তাহ চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধান ছাড়া হাঁটাচলা করতে পারবেন না তিনি। তবে উদ্বেগের কিছু নেই। তিনি চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছেন। চিকিৎসকেরা তাঁকে কড়া পর্যবেক্ষণে রেখেছেন। পাশাপাশি, আইসিইউ থেকে শুক্রবার সকালে তাঁকে জেনারেল বেডে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। অভিনেতাকে হাঁটিয়েওছেন চিকিৎসকেরা। পরিবারের সদস্য এবং খুব ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছাড়া অভিনেতার কাছে আর কাউকে যেতে দেওয়া হচ্ছে না।
সইফের শরীর থেকে বার করে আনা ছুরি মুম্বই পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে পুলিশ। বৃহস্পতিবারই সিসিটিভি ক্যামেরায় ধরা পড়েছিল সন্দেহভাজন এক ব্যক্তির ছবি। অবশেষে শুক্রবার সকালে সেই ব্যক্তিকে আটক করেছে মুম্বই পুলিশ। বান্দ্রা রেলস্টেশন থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy