সলমন খান ও লরেন্স বিশ্নোই। ছবি: সংগৃহীত।
গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছে প্রাক্তন কংগ্রেস নেতা বাবা সিদ্দিকির। খুনের দায় নিয়েছে লরেন্স বিশ্নোইয়ের দল। লরেন্স বিশ্নোইদের মূল নিশানায় সলমন খান। বার বার ভাইজানকে খুনের হুমকি দেওয়া হয়েছে। এমনকি অভিনেতার ঘনিষ্ঠদের উপরেও হামলা হতে পারে বলে হুমকি এসেছিল। তাই সলমন ঘনিষ্ঠ হওয়ার কারণেই বাবা সিদ্দিকির এই পরিণতি বলে মনে করা হচ্ছে। তবে লরেন্স বিশ্নোইদের দাবি, বাবা সিদ্দিকি ছিলেন দাউদ ইব্রাহিমেরও ঘনিষ্ঠ।
শনিবার বাবা সিদ্দিকির মৃত্যুর দায় স্বীকার করেছে লরেন্স বিশ্নোই গ্যাং। সে দিনই সলমনের উদ্দেশে খোলাচিঠি লেখে তারা। গত এপ্রিলে সলমনের বাড়ি ‘গ্যালাক্সি’র সামনে গুলিবর্ষণ করে লরেন্স বিশ্নোইয়ের দল। সেই ঘটনায় গ্রেফতার করা হয় দু’জনকে। তাঁদের মধ্যে এক ধৃত পুলিশি হেফাজতেই আত্মঘাতী হয় বলে দাবি। এই প্রসঙ্গটিও সলমনকে পাঠানো চিঠিতে উল্লেখ করেছে বিশ্নোইরা।
সেই খোলা চিঠিতে লেখা হয়েছে, “সলমন খান, আমরা কিন্তু এই যুদ্ধ চাইনি। কিন্তু তোমার জন্য আমাদের ভাইয়ের মৃত্যু হয়েছে।” এই পোস্টেই উল্লেখ করা হয়, বাবা সিদ্দিকির সঙ্গে দাউদ ও বলিউডের অনুজ থপনের যোগ ছিল। এই জন্যই বাবা সিদ্দিকির উপর হামলা করা হয় বলে দাবি করা হয় বিশ্নোইদের তরফ থেকে।
চিঠিতে আরও লেখা হয়, “আমাদের কারও সঙ্গে ব্যক্তিগত শত্রুতা নেই। কিন্তু যাঁরাই সলমন ও দাউদ বাহিনীকে সাহায্য করেন, তাঁদের সাবধান হওয়া উচিত। আমাদের দলের কোনও ভাইকে যদি মরতে হয়, তার উত্তর আমি দেব। প্রথম আক্রমণটা কখনওই আমরা করি না। জয় শ্রীরাম। জয় ভারত। শহিদদের জয় হোক।”
বাবা সিদ্দিকির মৃত্যুর পরে সলমনের একটি ছবি সমাজমাধ্যমে ভাইরাল হয়। এই ছবি দেখে বলিউডে প্রশ্ন উঠছে, বন্ধুর মৃত্যুর জন্য কি নিজেকেই দায়ী করছেন ভাইজান? এই ঘটনার পরে বৃদ্ধি করা হয়েছে সলমনের নিরাপত্তাও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy