সঞ্জীব কুমার। ছবি: সংগৃহীত।
সঞ্জীব কুমারের অভিনয়ের ভক্ত ছিলেন দর্শক। আর বাস্তবে তিনি ছিলেন নানা রকমের খাবারের ভক্ত। প্রয়াত অভিনেতা কতটা খাদ্যরসিক ছিলেন, সেই নিয়ে সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমের এক সাক্ষাৎকারে কথা বললেন অভিনেতা সচিন পিলগাওনকর। খাদ্যপ্রেমের কারণে নিজের জন্য একটি আলাদা বাড়ি পর্যন্ত ভাড়া নিয়েছিলেন সঞ্জীব।
প্রয়াত অভিনেতার পরিবার ছিল নিরামিষাশী। বাড়ির অন্দরে কোনও রকমের মাংস খাওয়া বা নিয়ে যাওয়ার অনুমতি ছিল না। কিন্তু সঞ্জীব এত কিছু মানতেন না। মাছ-মাংস সবই খেতেন তিনি। কিন্তু নিজের বাড়িতে আমিষ খাওয়ার উপায় না দেখে বাধ্য হয়ে অন্য একটি বাড়ি ভাড়া নিয়েছিলেন তিনি। প্রয়াত অভিনেতা সম্পর্কে সচিন বলেন, “খাওয়াদাওয়ার জন্য তিনি একটি অন্য বাড়ি নিয়েছিলেন। মুম্বইয়ের পালি হিলে একটি এক কামরার ফ্ল্যাট ভাড়ায় নিয়েছিলেন তিনি। শুধু মাত্র আমিষ খাওয়ার জন্য এই বাড়ি ভাড়া নিয়েছিলেন, কারণ ওঁর বাড়িতে আমিষ খাবার নিষিদ্ধ ছিল।”
আমিষ খাবারের সঙ্গে মাঝেমধ্যে মদ্যপানও করতেন তিনি। এমনও দিন গিয়েছে, ভোরের আলো ফোটা পর্যন্ত মদ-মাংসে ডুবে থেকেছেন তিনি। সচিন বলেন, “মাংসের পায়া, নিহারি আনাতেন। সঞ্জীব কুমার, শাম্মি কপূর, শত্রুঘ্ন সিংহ, রণধীর কপূর আর আমি— আমরা সবাই মিলে বসতাম। খাওয়াদাওয়া হত। খাবারগুলো চার-পাঁচ বার গরম করতে হত, কারণ আমরা প্রায়ই ভোর পাঁচটা পর্যন্ত মদ্যপান করতাম। এর সঙ্গে রুটি-নানও থাকত।”
এর আগেও সঞ্জীব কুমারের খাদ্যপ্রেম নিয়ে কথা বলেছিলেন বর্ষীয়ান অভিনেতা অঞ্জু মহেন্দ্র। তিনি বলেছিলেন, “হরি খুবই খাদ্যরসিক ছিলেন। ওঁর জন্য খাবারই সব ছিল। গুজরাতি ব্রাহ্মণ হয়েও তিনি আমিষ খেতে খুব ভালবাসতেন। তবে এ সব খাবার কারও বাড়িতেই খেতে পছন্দ করতেন। আমাদের বাড়িতে এলে ওঁর জন্য সুস্বাদু আমিষের পদ রান্না হত।” বর্ষীয়ান অভিনেত্রী মৌসুমী চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে গিয়েও প্রায়ই মাছ-মাংসের নানা পদ খেতেন প্রয়াত অভিনেতা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy