অবসাদে ভুগছিলেন! নিজেকে শেষ করে দিতে চেয়েছিলেন কুমার শানুর মেয়ে! ছবি: সংগৃহীত।
কুমার শানুর দত্তক কন্যা শ্যানন। এত বড় সঙ্গীতশিল্পী তিনি। প্রায় তিন দশক ধরে প্লেব্যাক শিল্পীদের তালিকায় শীর্ষে ছিলেন। এই মুহূর্তে একাধিক গানের রিয়্যালিটি শো-এ বিচারকের ভূমিকায় দেখা যায় তাঁকে। এমন সফল এক ব্যক্তিত্ব। কিন্তু, তাঁর মেয়েই ভুগছিলেন অবসাদে। বেশ কয়েক বার নিজের ক্ষতি করার চেষ্টা করেন শ্যানন।
কৈশোর বয়স থেকেই সমাজমাধ্যমে কটাক্ষের শিকার হন শ্যানন। সেখানে নেতিবাচক কথার প্রভাব ফেলে তাঁর উপর। নিজের জীবন নিয়েই অখুশি হয়ে পড়েন শ্যানন। সেই সময় তাঁর বয়স ১৪ কি ১৫। শিল্পীর কন্যার কথায়, ‘‘আমি সমাজমাধ্যমে খুব সক্রিয় ছিলাম। কেউ আমাকে নিয়ে কোনও কিছু খারাপ মন্তব্য করলেই তাতে প্রভাবিত হয়ে পড়তাম। আসলে মনে হয়, সেই সময় অতটা বিবেচনা করার মতো বুদ্ধি ছিল না। তাই সমালোচনাকে বেশি গুরুত্ব দিয়ে ফেলেছিলাম। এটাই আমার জীবনের সবচেয়ে বড় ভুল। এই চিন্তা আমার মাথায় ধীরে ধীরে অধিকার করে নেয়। অবসাদে চলে যাই। আমি নিজের ক্ষতি করেছিলাম। আমার জীবনে খুব কঠিন আর অন্ধকার সময় ছিল সেটা।’’ তবে শ্যানন জানান, তিনি কৃতজ্ঞ তাঁর পরিবার ও বন্ধুবান্ধবের কাছে, যাঁরা তাঁর পাশে ছিলেন এই লড়াইয়ে।
১৯৮০ সালে কুমার শানু বিয়ে করেন স্ত্রী রীতা ভট্টাচার্যকে। তাঁদের তিন সন্তান, জিকো, জাসিস এবং জান কুমার সানু। তবে প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে বিচ্ছেদের পর তিনি ১৯৯৪ সালে সালোনি ভট্টাচার্যের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধেন। তাঁদেরই দত্তক কন্যা হলেন শ্যানন।
২০১৮ সালে কুমার শানুর কন্যা শ্যাননের গায়িকা হিসেবে অভিষেক ঘটে। তিনি হলিউড সিনেমা ‘দ্য বিগ ফিড’-এ এক জন অভিনেতা হিসাবে আত্মপ্রকাশ করেন, যা ২০২০ সালে মুক্তি পায়। খুব শীঘ্রই বিবেক শর্মার সিনেমা ‘চল জিন্দেগি’-র মাধ্যমে বলিউডে পা রাখতে চলেছেন শ্যানন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy