সঙ্গীতশিল্পী কেএস চিত্রা। ছবি: সংগৃহীত।
২২ জানুয়ারির অপেক্ষায় রয়েছে গোটা অযোধ্যা। দেশে তাবড় তারকা থেকে শিল্পপতি, রাজনীতিবিদ, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব— সকলেই আমন্ত্রিত আযোধ্যায়। কাজ চলছে যুদ্ধকালীন তৎপরতায়। রামমন্দিরের উদ্বোধন হবে ওই দিন। আগামী সোমবার দর্শনার্থীদের জন্য খুলে যাবে রামমন্দিরের দরজা, গর্ভগৃহের বিগ্রহে প্রাণপ্রতিষ্ঠা হবে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর হাতে। ইতিমধ্যেই দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে দর্শনার্থীরা ভিড় জমাতে শুরু করেছেন। রামমন্দির উদ্বোধনের আগে শ্রীরামের গান গাওয়া ও ঘরে ঘরে প্রদীপ জ্বালানোর আহ্বান জানালেন জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত শিল্পী কেএস চিত্রা। সমাজমাধ্যমে তীব্র সমালোচনার মুখে এই গায়িকা।
কেরলের অন্যতম জনপ্রিয় গায়িকা তিনি। একাধিক হিন্দি ছবিতে গেয়েছেন। ছ’টি জাতীয় পুরস্কার রয়েছে তাঁর ঝুলিতে। এ বার সমাজমাধ্যমে একটি ভিডিয়োর মাধ্যমে রামমন্দির উদ্বোধন প্রসঙ্গে গায়িকা সকলকে মন্দির উদ্বোধনের সময় রামনাম জপ করতে বলেন। বাড়ির সামনে প্রদীপ জ্বালানোরও অনুরোধ জানান। তাতেই ক্ষিপ্ত হয়েছে একাংশ। গায়িকার উদ্দেশে কেউ লেখেন, আপনি শাসকদলের অনুগত হতেই পারেন, কিন্তু অন্যদের তেমন আনুগত্য দেখাতে বলবেন না।’’ কেউ বলেছেন, ‘‘আপনি আপনার পছন্দ মতো যে কোনও ধর্মে বিশ্বাসী হতেই পারেন, তবে কথা বলার সময় সাবধানে বলুন।’’ সমাজমাধ্যমে গায়িকা এমন কটাক্ষের মুখে পড়লে তার পাশে দাঁড়িয়েছেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা ভেল্লামভেলি মুরালীধরন বলেন, “কেএস চিত্রার মতো শিল্পীকেও সমাজমাধ্যমে হেনস্থা করা হচ্ছে। তিনি তো শুধুমাত্র রামনাম জপ করতে আর প্রদীপ জ্বালাতে বলেছেন। কেরলে রামনাম জপ করা আর প্রদীপ জ্বালানো অপরাধ নাকি?’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘আমরা কেরলকে তালিবান রাজ্য হতে দেব না যেখানে বাক্স্বাধীনতা খর্ব করা হয়।” যদিও এই ঘটনায় কেএস চিত্রার তরফে এখনও কোনও বিবৃতি দেওয়া হয়নি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy