Advertisement
১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪
Koneenica Banerjee

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন কনীনিকার মা, পরিষেবা দেখে ক্ষমাপ্রার্থী কাঞ্চনকে বিঁধলেন অভিনেত্রী

ভিডিয়োবার্তার মাধ্যমে ক্ষমা চেয়ে নেন কাঞ্চন। যদিও, তাতে নিস্তার মেলেনি। এ বার তাঁকে কোন কথা বললেন কনীনিকা?

(বাঁ দিকে) কাঞ্চন মল্লিক। কনীনিকা বন্দ্যোপাধ্যায় (ডান দিকে)।

(বাঁ দিকে) কাঞ্চন মল্লিক। কনীনিকা বন্দ্যোপাধ্যায় (ডান দিকে)। ছবি: সংগৃহীত।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৬:৪৬
Share: Save:

আরজি কর-কাণ্ডে আন্দোলনরত জুনিয়র চিকিৎসকদের ‘বেতন’ ও ‘বোনাস’ প্রসঙ্গ টেনে তির্যক মন্তব্য করেন অভিনেতা-বিধায়ক কাঞ্চন মল্লিক। তার পর থেকে সমাজমাধ্যমে সমালোচিত হচ্ছেন তিনি। তাঁকে কেউ ‘ত্যাগ’ করেছেন, কেউ লিখেছেন তিনি মিথ্যাচার করছেন, কেউ বাতিল করেছেন নাটকের শো। প্রবল কটাক্ষের মুখে পড়ে সোমবার মধ্যরাতে ভিডিয়োবার্তার মাধ্যমে ক্ষমা চেয়ে নেনে কাঞ্চন। যদিও তাতে নিস্তার মেলেনি। বরং বন্ধু, সহকর্মীরাই প্রতিবাদে মুখর। এ বার কাঞ্চনকে পথে নামতে বললেন কনীনিকা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি স্পষ্ট করে দিলেন, ঠিক কতটা বদলে গিয়েছেন চেনা অভিনেতা কাঞ্চন মল্লিক।

আন্দোলনের ফলে সরকারি মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালগুলিতে কাজ বন্ধ রেখেছেন জুনিয়র চিকিৎসকেরা। তার ফলে পরিষেবা ব্যাহত হচ্ছে, অনেক রোগীকেই ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। মুমূর্ষু রোগীদের পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে। এমন সব তথ্যই প্রকাশ্যে আনেন কাঞ্চন।

তবে তাঁর কথা মানতে নারাজ কনীনিকা। তাঁর মা গত কয়েক মাস ধরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। গত কয়েক মাস যাবৎ নাকি সরকারি হাসপাতালে যাতায়াত করছেন তিনি। তাই নিজের অভিজ্ঞতার কথা ব্যক্ত করতে গিয়ে লেখেন, “আমার মা গত ৬ মাস ধরে হাসপাতালে ভর্তি। অনেক হাসপাতালে ঘুরেছি, আপতত মা একটা সরকারি হাসপাতালে ভর্তি। তার মধ্যেই তিলোত্তমার এই ঘটনাটা ঘটে। আমার বাবা, কাকা, আমি, সরকারি হাসপাতালে রোজ যাতায়াত করি। জুনিয়র চিকিৎসকেরা প্রতিবাদ করছেন। যাঁরা বলছেন সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা হচ্ছে না, তাঁরা মিথ্যে কথা বলছেন। আমার মাকে যে সিনিয়র চিকিৎসক দেখছেন, তিনি মধ্যরাতে এসেও দেখে যাচ্ছেন।”

কনীনিকা জানান, এই কাঞ্চনকে নাকি চিনতে পারছেন না। অভিনেত্রীর কথায়, “ভুল তথ্য দিচ্ছ। রাস্তায় নেমে দেখো। ছোট থেকে অন্য ভাবে চিনতাম।” শেষ খানিক খোঁচা দিয়ে কনীনিকা জানতে চান, “এই চাকরি, বেতন, ভান্ডারের পয়সা কোথা থেকে আসে? আমাদের টাকা থেকে আসে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE