Advertisement
২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
Entertainment news

একাধিক বলি নায়িকার সঙ্গে প্রেম, মাদক কাণ্ডে জেল... বিতর্কই সঙ্গী এই ফ্লপ স্টারকিডের

বাবার নাম যেখানে আজও সকলের মুখে শোনা যায়, স্মৃতি থেকে প্রায় হারিয়েই যেতে বসেছেন ছেলে। কেন এমন হল?

নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ০১ মার্চ ২০২০ ১১:৩৮
Share: Save:
০১ ১৬
বাবা ছিলেন বলিউ়ডের জনপ্রিয় মুখ। ১৯৫৯ সাল থেকে ২০০৭ সাল। দীর্ঘ ফিল্মি কেরিয়ার তাঁর। আর ছেলের কেরিয়ার মাত্র ১৯৯৮-২০১০ সাল! বাবার নাম যেখানে আজও সকলের মুখে শোনা যায়, স্মৃতি থেকে প্রায় হারিয়েই যেতে বসেছেন ছেলে। কেন এমন হল?

বাবা ছিলেন বলিউ়ডের জনপ্রিয় মুখ। ১৯৫৯ সাল থেকে ২০০৭ সাল। দীর্ঘ ফিল্মি কেরিয়ার তাঁর। আর ছেলের কেরিয়ার মাত্র ১৯৯৮-২০১০ সাল! বাবার নাম যেখানে আজও সকলের মুখে শোনা যায়, স্মৃতি থেকে প্রায় হারিয়েই যেতে বসেছেন ছেলে। কেন এমন হল?

০২ ১৬
যাঁর কথা হচ্ছে তিনি ফারদিন খান। স্টারডমের বোঝা জন্মের পর থেকে ফারদিন খানের উপরে চেপে বসেছিল। কারণ ফারদিনের জন্ম হয়েছিল ফিরোজ খানের ঘরে। জনপ্রিয় অভিনেতা ফিরোজ খানের ছেলে ফারদিন।

যাঁর কথা হচ্ছে তিনি ফারদিন খান। স্টারডমের বোঝা জন্মের পর থেকে ফারদিন খানের উপরে চেপে বসেছিল। কারণ ফারদিনের জন্ম হয়েছিল ফিরোজ খানের ঘরে। জনপ্রিয় অভিনেতা ফিরোজ খানের ছেলে ফারদিন।

০৩ ১৬
ফারদিন খানের বেড়ে ওঠা মুম্বইয়েই। স্টার কিড হওয়ায় বলি-মহলে ফারদিনের প্রচুর বন্ধু-বান্ধব ছিল। কারণ অন্যান্য স্টার কিডের সঙ্গেই তাঁর বেড়ে ওঠা।

ফারদিন খানের বেড়ে ওঠা মুম্বইয়েই। স্টার কিড হওয়ায় বলি-মহলে ফারদিনের প্রচুর বন্ধু-বান্ধব ছিল। কারণ অন্যান্য স্টার কিডের সঙ্গেই তাঁর বেড়ে ওঠা।

০৪ ১৬
মুম্বইয়ের স্কুল থেকে পড়াশোনা শেষ করার পর উচ্চশিক্ষার জন্য আমেরিকা পাড়ি দেন ফারদিন। সেখানে আমিশা পটেলের সঙ্গে তাঁর বন্ধুত্ব হয়ে যায়। আমিশাও সে সময় আমেরিকাতেই পড়ছিলেন।

মুম্বইয়ের স্কুল থেকে পড়াশোনা শেষ করার পর উচ্চশিক্ষার জন্য আমেরিকা পাড়ি দেন ফারদিন। সেখানে আমিশা পটেলের সঙ্গে তাঁর বন্ধুত্ব হয়ে যায়। আমিশাও সে সময় আমেরিকাতেই পড়ছিলেন।

০৫ ১৬
পড়াশোনা শেষ করে দেশে ফিরে আসেন ফারদিন। বাবার দেখানো রাস্তাতেই কেরিয়ার গড়ে তুলবেন ঠিক করেন তিনি। মাথার উপরে অভিনেতা, পরিচালক, প্রযোজক বাবা এবং ফারদিন খানের নিজের লুক, সব মিলিয়ে বলিউডে সাফল্য ছোঁয়া তাঁর কাছে অনেকটাই সহজ ছিল।

পড়াশোনা শেষ করে দেশে ফিরে আসেন ফারদিন। বাবার দেখানো রাস্তাতেই কেরিয়ার গড়ে তুলবেন ঠিক করেন তিনি। মাথার উপরে অভিনেতা, পরিচালক, প্রযোজক বাবা এবং ফারদিন খানের নিজের লুক, সব মিলিয়ে বলিউডে সাফল্য ছোঁয়া তাঁর কাছে অনেকটাই সহজ ছিল।

০৬ ১৬
১৯৯৮ সালে ফিরোজ খানের প্রযোজনায় ‘প্রেম অগন’ ছবিতে ডেবিউ করেন ফারদিন। যেহেতু ফিরোজ খান এই ফিল্মে তাঁর ছেলেকে লঞ্চ করতে যাচ্ছিলেন, তাই সকলের নজর ছিল এই ফিল্মের উপর। ফারদিন খান কতটা বাবার মর্যাদা রাখতে পারবেন, সেটাই চ্যালেঞ্জ ছিল তাঁর কাছে।

১৯৯৮ সালে ফিরোজ খানের প্রযোজনায় ‘প্রেম অগন’ ছবিতে ডেবিউ করেন ফারদিন। যেহেতু ফিরোজ খান এই ফিল্মে তাঁর ছেলেকে লঞ্চ করতে যাচ্ছিলেন, তাই সকলের নজর ছিল এই ফিল্মের উপর। ফারদিন খান কতটা বাবার মর্যাদা রাখতে পারবেন, সেটাই চ্যালেঞ্জ ছিল তাঁর কাছে।

০৭ ১৬
তবে এই ফিল্ম বক্স অফিসে খুব একটা প্রভাব ফেলতে পারেনি। এর পর রামগোপাল বর্মার সঙ্গে দেখা করেন ফিরোজ খান। ছেলের জন্য কিছু ভাল ফিল্মের কথাবার্তা হয় দু’জনের মধ্যে। ফারদিন খানকে ভাল স্ক্রিপ্টে অভিনয়ের সুযোগ দেওযার প্রতিশ্রুতি দেন রামগোপাল বর্মা।

তবে এই ফিল্ম বক্স অফিসে খুব একটা প্রভাব ফেলতে পারেনি। এর পর রামগোপাল বর্মার সঙ্গে দেখা করেন ফিরোজ খান। ছেলের জন্য কিছু ভাল ফিল্মের কথাবার্তা হয় দু’জনের মধ্যে। ফারদিন খানকে ভাল স্ক্রিপ্টে অভিনয়ের সুযোগ দেওযার প্রতিশ্রুতি দেন রামগোপাল বর্মা।

০৮ ১৬
এর পর রামগোপাল বর্মা তিনটি ফিল্মে সই করার ফারদিন খানকে— ‘জঙ্গলি’, ‘প্যায় তুনে ক্যায়া কিয়া’ আর ‘লভ কে লিয়ে কুছ ভি করেগা’। প্রথম দুটো ফিল্ম বক্স অফিসে মোটামুটি চলেছিল, কিন্তু শেষ ফিল্মটা একেবারেই পছন্দ করেননি দর্শক।

এর পর রামগোপাল বর্মা তিনটি ফিল্মে সই করার ফারদিন খানকে— ‘জঙ্গলি’, ‘প্যায় তুনে ক্যায়া কিয়া’ আর ‘লভ কে লিয়ে কুছ ভি করেগা’। প্রথম দুটো ফিল্ম বক্স অফিসে মোটামুটি চলেছিল, কিন্তু শেষ ফিল্মটা একেবারেই পছন্দ করেননি দর্শক।

০৯ ১৬
২০০১ সালের ৫ মে নার্কোটিক বিভাগের কাছে খবর আসে, মুম্বইয়ের জুহুতে একটি ড্রাগ ডিল হতে যাচ্ছে। ওই দিন সূত্রের খবর অনুযায়ী, সাধারণ পোশাকে পুলিশ এক ব্যাঙ্কের এটিএমের কাছে পৌঁছে যায়। রাত ১টা নাগাদ সেখানে একটি গাড়ি পৌঁছয়।

২০০১ সালের ৫ মে নার্কোটিক বিভাগের কাছে খবর আসে, মুম্বইয়ের জুহুতে একটি ড্রাগ ডিল হতে যাচ্ছে। ওই দিন সূত্রের খবর অনুযায়ী, সাধারণ পোশাকে পুলিশ এক ব্যাঙ্কের এটিএমের কাছে পৌঁছে যায়। রাত ১টা নাগাদ সেখানে একটি গাড়ি পৌঁছয়।

১০ ১৬
এক ব্যক্তি গাড়ি থেকে নেমে এটিএমে যান। তার ঠিক পরেই আরও এক ব্যক্তি ওই এটিএমে ঢোকেন। পুলিশ তখনই গিয়ে তাঁদের দু’জনকেই ধরে ফেলে। দেখা যায়, তাঁদের মধ্যে একজন ফারদিন খান। আর দ্বিতীয় জন ছিলেন একজন ড্রাগ পেডলার। যিনি বলিউডে ড্রাগ সরবরাহ করে থাকেন।

এক ব্যক্তি গাড়ি থেকে নেমে এটিএমে যান। তার ঠিক পরেই আরও এক ব্যক্তি ওই এটিএমে ঢোকেন। পুলিশ তখনই গিয়ে তাঁদের দু’জনকেই ধরে ফেলে। দেখা যায়, তাঁদের মধ্যে একজন ফারদিন খান। আর দ্বিতীয় জন ছিলেন একজন ড্রাগ পেডলার। যিনি বলিউডে ড্রাগ সরবরাহ করে থাকেন।

১১ ১৬
ফারদিন খানকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাঁর কাছে থেকে এক গ্রাম ও তাঁর গাড়ি থেকে নয় গ্রাম কোকেন মিলেছিল। ফারদিনের বাবা তাঁর পাশে দাঁড়ান। ছেলের বন্ধুদের নামে দায় ঠেলে দেওয়ার চেষ্টা করেন তিনি।

ফারদিন খানকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাঁর কাছে থেকে এক গ্রাম ও তাঁর গাড়ি থেকে নয় গ্রাম কোকেন মিলেছিল। ফারদিনের বাবা তাঁর পাশে দাঁড়ান। ছেলের বন্ধুদের নামে দায় ঠেলে দেওয়ার চেষ্টা করেন তিনি।

১২ ১৬
কেরিয়ার প্রায় শেষ হতে বসেছিল ফারদিনের। তুমুল বিতর্ক শুরু হয় তাঁকে ঘিরে। বাবার কৃপায় ফের এক বার কেরিয়ার শুরু করার চেষ্টা করেন ফারদিন খান। ফিরোজ খানের প্রযোজনায় ‘জনাসিন’ ফিল্ম করেন। ফিল্মের নায়িকা ছিল সেলিনা জেটলি। সে সময় সেলিনার সঙ্গে সম্পর্কেও জড়িয়ে পড়েন তিনি।

কেরিয়ার প্রায় শেষ হতে বসেছিল ফারদিনের। তুমুল বিতর্ক শুরু হয় তাঁকে ঘিরে। বাবার কৃপায় ফের এক বার কেরিয়ার শুরু করার চেষ্টা করেন ফারদিন খান। ফিরোজ খানের প্রযোজনায় ‘জনাসিন’ ফিল্ম করেন। ফিল্মের নায়িকা ছিল সেলিনা জেটলি। সে সময় সেলিনার সঙ্গে সম্পর্কেও জড়িয়ে পড়েন তিনি।

১৩ ১৬
এর পর ২০০৪ সালে ‘দেব’ ফিল্মে অমিতাভ বচ্চন এবং করিনা কপূরের সঙ্গে অভিনয় করেন। এই ফিল্ম সমালোচকদের প্রশংসা পেয়েছিল। কিন্তু এর থেকে ফারদিন খানের কেরিয়ারে কোনও প্রভাব পড়েনি। এর পর ফারদিন খান যা যা সিনেমা করেছেন, তার বেশির ভাগই ছিল মাল্টিহিরো ফিল্ম।

এর পর ২০০৪ সালে ‘দেব’ ফিল্মে অমিতাভ বচ্চন এবং করিনা কপূরের সঙ্গে অভিনয় করেন। এই ফিল্ম সমালোচকদের প্রশংসা পেয়েছিল। কিন্তু এর থেকে ফারদিন খানের কেরিয়ারে কোনও প্রভাব পড়েনি। এর পর ফারদিন খান যা যা সিনেমা করেছেন, তার বেশির ভাগই ছিল মাল্টিহিরো ফিল্ম।

১৪ ১৬
যেমন ‘নো এন্ট্রি’, ‘হে বেবি’-র মতো ফিল্মে ভাল কাজ করেছেন তিনি। ২০১০ সালে তাঁর শেষ ফিল্ম ছিল ‘দুলহা মিল গয়ে’। এর পর আর কোনও ফিল্মে তাঁকে দেখা যায়নি।

যেমন ‘নো এন্ট্রি’, ‘হে বেবি’-র মতো ফিল্মে ভাল কাজ করেছেন তিনি। ২০১০ সালে তাঁর শেষ ফিল্ম ছিল ‘দুলহা মিল গয়ে’। এর পর আর কোনও ফিল্মে তাঁকে দেখা যায়নি।

১৫ ১৬
২০০৫ সালের ১৪ ডিসেম্বর মুম্বইয়ে নতাশা মাধবনীকে বিয়ে করেন ফারদিন। শোনা যায়, ২০১০ সালের পর তিনি নিজের পরিবারকে নিয়েই নাকি খুব ব্যস্ত হয়ে পড়েছিলেন। তাই ফিল্মে তাঁকে সে ভাবে দেখা যায় না।

২০০৫ সালের ১৪ ডিসেম্বর মুম্বইয়ে নতাশা মাধবনীকে বিয়ে করেন ফারদিন। শোনা যায়, ২০১০ সালের পর তিনি নিজের পরিবারকে নিয়েই নাকি খুব ব্যস্ত হয়ে পড়েছিলেন। তাই ফিল্মে তাঁকে সে ভাবে দেখা যায় না।

১৬ ১৬
২০১১ সালে ফারদিন খান ড্রাগ মামলা থেকে পুরোপুরি রেহাই পান। তিনি যে রিহ্যাবে গিয়ে পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠেছেন, কোর্টে সেই সার্টিফিকেট পেশ করেন। তাঁর কেরিয়ার যত না দীর্ঘ ছিল, তাঁর কোর্ট কেস তার থেকেও বেশি দীর্ঘ ছিল, এমনই গুঞ্জন বলিউডে।

২০১১ সালে ফারদিন খান ড্রাগ মামলা থেকে পুরোপুরি রেহাই পান। তিনি যে রিহ্যাবে গিয়ে পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠেছেন, কোর্টে সেই সার্টিফিকেট পেশ করেন। তাঁর কেরিয়ার যত না দীর্ঘ ছিল, তাঁর কোর্ট কেস তার থেকেও বেশি দীর্ঘ ছিল, এমনই গুঞ্জন বলিউডে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on: Save:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy