ছেলে আজ়াদের সঙ্গে আমির খান এবং কিরণ রাও। ছবি: সংগৃহীত।
বিচ্ছেদের পরেও বন্ধুত্ব বজায় রেখেছেন আমির খান ও তাঁর স্ত্রী কিরণ রাও। বাসস্থান আলাদা হলেও পুত্র আজ়াদের জন্য এখনও তাঁদের মধ্যে যোগসূত্র রয়েছে। আজ়াদের উপর বাবা-মায়ের বিচ্ছেদের প্রভাব পড়েছিল? সেই প্রশ্নের উত্তর সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে দিয়েছেন কিরণ।
বিচ্ছেদ নিয়ে প্রথম থেকেই খোলাখুলি কথা বলেছেন প্রাক্তন দম্পতি। কিরণ মনে করেন, বিচ্ছেদ মানে কোনও দড়ি কেটে ফেলা নয়। বরং দড়িতে গিঁট পড়লে সেটা ছাড়ানোর নামই বিচ্ছেদ। কিরণ বলেছেন, “আমাদের খুব সহজ ভাবেই বিচ্ছেদ হয়েছিল। তার কারণ আমরা বিচ্ছেদের জন্য তত দিনে প্রস্তুত ছিলাম। বিবাহিত থাকাকালীন আমাদের মধ্যে সব ঠিকই ছিল। বিচ্ছেদের সিদ্ধান্তও আমরা ভেবেচিন্তেই নিয়েছিলাম। আমরা কখনওই ঝগড়া করিনি। তর্ক করেছি, যা ১২ ঘণ্টার মধ্যে আমরা মিটিয়ে নিয়েছি। এই ধরনের সমস্যা কিন্তু বাবা-মায়ের সঙ্গেও হয়ে থাকে।”
এর পরেই সন্তানের প্রসঙ্গে কিরণ বলেন, “আমাদের সম্পর্কে বাঁচিয়ে রাখার মতো অনেক কিছু ছিল। আমরা আমাদের সন্তানকে ছুড়ে ফেলে দিতে চাইনি। আমরা এমন ভাবে এগিয়েছি যাতে, একটা দড়ি টুকরো না হয়ে যায়। বরং একটা দড়ি থেকে গিঁট ছাড়ানোর চেষ্টা করেছি। আমরা সময় নিয়ে সেই গিঁট ছাড়িয়েছি।” আমির ও কিরণ বরাবর সতর্ক থেকেছেন, যাতে আজ়াদের কোনও কিছুতে খারাপ না লাগে।
বিচ্ছেদের পরে বন্ধুত্ব নিয়ে তিনি বলেছেন, “আমরা বিবাহিত হয়ে থাকতে চাই না ঠিকই। কিন্তু তার মানে এই নয় যে, আমরা পরস্পরকে ভালবাসি না। সঙ্গীর বহু জিনিসই অপছন্দ হতে পারে, তার জন্য ঝগড়াও হতে পারে। কিন্তু এমন কারণও থাকে যার জন্য সঙ্গীকে আপনি ভালবাসবেন।” ২০০৫ সালে বিয়ে করেছিলেন আমির ও কিরণ। ২০২১ সালে বিচ্ছেদের পথে হাঁটেন তাঁরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy