সলমন খানের খামারবাড়ি নিয়ে তাঁর অনুরাগীদের কৌতূহলের শেষ নেই। প্রায়ই সেই খামারবাড়িতে গিয়ে ওঠেন অভিনেত্রীরা। জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজ়, ইউলিয়া ভন্তুর-সহ আরও অনেকেই পেয়েছেন সলমনের আতিথ্য। অতিমারির সময়ে দীর্ঘ দিন সেখানে ছিলেনও জ্যাকলিন। কেমন সেই খামারবাড়ির পরিবেশ, তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে প্রায়ই। এ বার সেই খামারবাড়ির অন্দরমহলের কথা জানালেন কন্নড় অভিনেতা কিচ্চা সুদীপের কন্যা সানভি।
সলমন ও কিচ্চা সুদীপ ২০১৯ সালে ‘দাবাং ৩’ ছবিতে অভিনয় করেছিলেন একসঙ্গে। কিচ্চার কন্যা নাকি সলমন বড় অনুরাগী। সেই সময়ে সানভির বয়স মাত্র ১৪। সলমনের পানভেলের খামারবাড়িতে টানা তিন দিন থাকার অভিজ্ঞতা ছিল তাঁর। সানভি জানিয়েছেন, প্রতিটা মুহূর্ত সলমন তাঁর সঙ্গে ছিলেন।
‘দাবাং’ ছবির শুটিং চলাকালীন এক দিন সলমন খানের বাড়িতে নৈশভোজ খেতে গিয়েছিলেন কিচ্চা সুদীপ ও তাঁর কন্যা সানভি। সেখানে গিয়েই মুগ্ধ হয়ে গিয়েছিলেন ১৪ বছরের কিশোরী। সংবাদমাধ্যমের সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, “আমাকেও খুব ভাল লেগেছিল ওঁর (সলমন খান)। আমাকে গান গাইতে বলেছিলেন। আমি ওঁর জন্য গান গেয়েছিলাম। রাত ৩টের সময়ে তিনি একজন সঙ্গীত পরিচালককে ফোন করে বলেছিলেন, ‘আমি একটা মেয়েকে পাঠাচ্ছি। আমি চাই তুমি ওর একটা গান রেকর্ড করো। ওর গান রেকর্ড করে রেখে দাও। যদি ভবিষ্যতে আমাদের কাজে লাগে’।”
আরও পড়ুন:
সানভি আরও বলেন, “তার পরে তিনি ফের আমাকে একদিন খামারবাড়িতে ডাকেন। আমার বাবা-মা সঙ্গে রয়েছেন কি না, তা নিয়ে তাঁর কোনও মাথাব্যথা ছিল না। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ওঁর সঙ্গেই আমি থাকতাম। আমাকে কোথাও যেতে দিতেন না। আমাকে ওঁর সঙ্গে শরীরচর্চা কেন্দ্রে নিয়ে যেতেন। আবার কখনও একসঙ্গে সাঁতার কাটতে যেতাম।”
সানভি জানিয়েছেন, তিনি গাড়ি ও মোটরবাইক খুব পছন্দ করতেন। তাই সলমন তাঁর গাড়ি ও মোটরবাইকে চড়াতেন তাঁকে। সানভি সেই স্মৃতিচারণ করে বলেছেন, “ওই তিনটে দিন দারুণ কেটেছিল। আমার জীবনের অন্যতম সেরা সময়। আমাকে বিগড়ে দিয়েছিলেন তিনি (সলমন)।”