তৈমুরকে কোলে নিয়ে করিনা। ছবি: সংগৃহীত।
কেরিয়ারের মধ্যগগনে থাকাকালীন বিয়ে করেন সইফ আলি খানকে। কাজের পিছনে ছোটা নয়, বরং নিজের ইচ্ছেমতো তাঁর জীবনকে সাজিয়েছেন করিনা কপূর। বিয়ের চার বছরের মাথায় ২০১৬-য় তাঁদের প্রথম সন্তান তৈমুর আলি খানের জন্ম। আগে বলিউডে চল ছিল অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার পরই কাজ কমিয়ে দেওয়ার। সেই প্রথা ভেঙেছেন করিনা। তৈমুর গর্ভে থাকাকালীন চুটিয়ে কাজ করেছেন তিনি। এখন বলিপাড়ার নায়িকাদের পথপ্রদর্শক তিনি। তবে ছেলে তৈমুরের জন্মের পর থেকে বার বার সমালোচনায় বিদ্ধ হয়েছেন সইফ-করিনা। কারণের ছেলের নাম। অভিনেত্রীর পুত্রসন্তানের নামকরণে চটে যান গোঁড়া হিন্দুত্ববাদীরা। তাঁদের মতে, তৈমুর লঙ্গের মতো অত্যাচারী নৃপতির নামে নাম রাখা উচিত হয়নি করিনা ও সইফের। সমালোচনার হাত থেকে রেহাই পায়নি ছোট্ট তৈমুরও। প্রথম মা হওয়ার অনুভূতির পাশপাশি ছেলেকে নিয়ে এমন সমালোচনা সামলেছেন কী ভাবে, এত বছর পর জানালেন করিনা?
ছোটবেলা থেকেই প্রচারের আলোয় রয়েছে তৈমুর। তারকা সন্তানদের মধ্যে করিনার বড় ছেলে তৈমুরের ছবি সব থেকে বেশি প্রকাশ্যে এসেছে। আলোকচিত্রীরা তৈমুরের জন্মের পর থেকে ক্যামেরা তাক করে রেখেছিলেন ওই খুদের দিকে। প্রতিনিয়ত সন্তানের নাম নিয়ে সমালোচনা কতটা অসহনীয় ছিল করিনার কাছে? সম্প্রতি সেটাই জানালেন অভিনেত্রী।
মুম্বইয়ের এক অনুষ্ঠানে এসে খোলামেলা আড্ডার মেজাজে দেখা গেল করিনা কপূরকে। তাঁর কথায়, ‘‘আমার মনে হয় কোনও মা বা তাঁর সন্তানকে এমন পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে।’’ এত বছর কেটে গেলেও এখনও ধন্দে অভিনেত্রী, কেন তাঁদের সঙ্গে এমনটা হয়েছিল। করিনা বলেন, আমি এখনও জানি না, এর পিছনে কারণ কী ছিল। কাউকে অসন্তুষ্ট করার জন্য কোনও কিছু করা হয়নি। আমি বিশ্বাস করি, আমাদের দেশে বাক্স্বাধীনতার অধিকার রয়েছে। শুধু তাই নয়, যার যা খুশি সেটা সে সেটা করতে পারে। আমি ও সইফ সেটাই বিশ্বাস করে এসেছি।’’
পাশপাশি, করিনা স্পষ্ট জানান তাঁর ছেলের নামের সঙ্গে অত্যচারী শাসক তৈমুর লঙ্গের কোনও সম্পর্ক নেই। এই নাম নেওয়া হয়েছে সইফ আলির ছোটবেলার এক বন্ধুর নামের অনুসরণে। করিনা বলেন, ‘‘আমরা যখন ছেলের নামকরণ নিয়ে ভাবছি, সেই সময় সইফ জানায় তার ছোটবেলার এক বন্ধুর নাম তৈমুর। সইফ সব সময় বলত, এই নামটা ওর খুব পছন্দ। যদি আমাদের ছেলে হয়, তা হলে বন্ধুর নামে ছেলের নাম তৈমুর রাখবে।’’ যদিও ছেলে তৈমুরের নাম নিয়ে যখন বিতর্ক চলছিল সারা দেশে, সেই সময় সইফ জানান তাঁর ছেলের নামের মানে ‘ইস্পাত’ বা ‘লোহা’। এর সঙ্গে শাসক তৈমুরের কোনও সম্পর্ক নেই।
তবে ছেলের নাম নিয়ে যখন প্রায় ঝড় উঠেছে বিভিন্ন জায়গায়, তা করিনার কাছে অপ্রত্যাশিত ছিল বলেই জানান অভিনেত্রী। করিনার কথায়, ‘‘সেই মুহূর্তেই আমি সিদ্ধান্ত নিই, আমার সন্তানের যে রকম ইচ্ছে নাম আমি দেব। তত ক্ষণ পর্যন্ত আমার কিছু যায় আসে না, যত ক্ষণ আমার সন্তান ভাল আছে। আমরা ভাল আছি। দুনিয়ার মানুষ যা ইচ্ছে বলুক, যে ভাবে ইচ্ছে ট্রোল করুক, আমি কান দেব না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy