করিনা কপূরকে প্রেম প্রস্তাব দিয়েছিলেন সইফ আলি খান ২০০৮ সালে। ‘টশন’ ছবির শুটিংয়ের সময়। এ দিকে করিনা তখন নিজেই সইফের প্রেমে হাবুডুবু। আগেও তাঁদের দেখা হয়েছে। কিন্তু ‘টশন’ ছবির শুটিংয়ে সব চেনা ছক গোলমাল হয়ে গিয়েছিল। করিনা জানিয়েছেন, সে সময় সইফ তাঁর চোখে নতুন রূপে যেন ধরা দিয়েছিলেন। কিন্তু তবুও তাঁর মনে হয়েছিল বিয়ের সিদ্ধান্তে পৌঁছোতে হলে আরও কিছু সময় প্রয়োজন। চার বছর প্রেমপর্বের পরে সইফ-করিনা বিয়ে করেন ২০১২ সালে। অমৃতা সিংহের সঙ্গে সইফের তেরো বছরের দাম্পত্য ভেঙে যায় ২০০৪ সালে। তার আট বছর পরে করিনার সঙ্গে নতুন সংসার শুরু শর্মিলা-তনয়ের। সইফের প্রথম বিয়েতে দিদি করিশ্মার হাত ধরে গিয়েছিলেন করিনা। নবদম্পতিকে শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন ফুল দিয়ে। পাল্টা উত্তর দিয়েছিলেন সইফ।
আরও পড়ুন:
করিনার সঙ্গে সইফের বয়সের ব্যবধান অনেকটাই। প্রায় ১০ বছরের। এ দিকে অমৃতাকে যখন সইফ বিয়ে করেন সেই সময় অনেকটাই ছোট সইফ। শোনা যায়, বয়সে বড় হওয়া অমৃতাকে নিয়ে নাকি চাপা অশান্তি ছিল পাটৌদী পরিবারে। যদিও অমৃতার সঙ্গে বিয়ে ভাঙার পর বেশ কিছু প্রণয়-সম্পর্ক তৈরি হয় সইফের জীবনে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত করিনাতে থিতু হন তিনি। ১৯৯১ সালে যখন প্রথম বার সইফ বিয়ে করেন, করিনা শুভেচ্ছাবার্তা দিলে তিনি বলেন, ‘‘থ্যাঙ্ক ইউ বেটা।’’ যদিও সে সব এখন অতীত। করিনা ও সইফ এখন দুই পুত্রসন্তানের বাবা-মা। এ দিকের সইফের প্রথম পক্ষের দুই সন্তান সারা ও ইব্রাহিমের সঙ্গেও সম্পর্ক ভাল করিনার। একে অপরের বিপদে-আপদে পরিবার হয়েই থাকেন তাঁরা।