কঙ্গনা জানালেন, যদি বিজেপি টিকিট দেয়, তা হলে মাণ্ডি কেন্দ্রে প্রার্থী হতে আপত্তি নেই তাঁর। — ফাইল ছবি।
প্রত্যাশিতই ছিল। অনেক টালবাহানার পর অবশেষে মুখ খুললেন কঙ্গনা রানাউত। জানিয়ে দিলেন, আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে যদি বিজেপি টিকিট দেয়, তা হলে হিমাচল প্রদেশের মাণ্ডি কেন্দ্রে প্রার্থী হতে আপত্তি নেই তাঁর।
সমাজমাধ্যমে বার বার বিজেপি এবং হিন্দুত্ব নিয়ে সরব হয়েছেন কঙ্গনা। বিজেপি-বিরোধীদের আক্রমণ করেছেন। তা নিয়ে বিতর্কেও জড়িয়েছেন ‘কুইন’। তাই কঙ্গনার ভক্ত থেকে সমালোচক সকলেই এক প্রকার নিশ্চিত ছিলেন, আজ না হোক কাল বিজেপিতে যোগ দেবেন তিনি। তবে কবে, তা নিয়েই ছিল প্রশ্ন। শনিবার সে প্রশ্নেরই জবাবে কঙ্গনা বলেন, ‘‘পরিস্থিতি যা-ই হোক, সরকার যদি চায়, তা হলে আমি সব ধরনের অংশগ্রহণের জন্য প্রস্তুত। হিমাচল প্রদেশের মানুষ বা দল যদি চান আমি ভোটে লড়ি, সেটা আমার কাছে বড় সম্মানের। সে ক্ষেত্রে আমার কোনও সমস্যা হবে না। আমার সৌভাগ্য হবে।’’
১২ নভেম্বর বিজেপিশাসিত হিমাচল প্রদেশে ভোট। গণনা ৮ ডিসেম্বর। বিজেপি যদিও প্রার্থী হওয়ার বিষয়ে এখনও সবুজ সঙ্কেত দেয়নি। তবে তার আগেই প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছেন কঙ্গনা। পরিশ্রমী মানুষজনকে এগিয়ে আসার ডাকও দিয়েছেন। কঙ্গনার কথায়, ‘‘যাঁরা পরিশ্রমী, আমি চাই তাঁরা এগিয়ে আসুন। অনেকেই রয়েছেন, যাঁরা খুব কঠিন, আমি চাইব, তাঁরাও এগিয়ে আসুন।’’
প্রসঙ্গত, রাজনীতিতে প্রবেশ করছেন কি না, চলতি মাসের শুরুতেই জিজ্ঞেস করা হয়েছিল কঙ্গনাকে। তিনি জানিয়েছিলেন, এ ধরনের কোনও পরিকল্পনা নেই তাঁর। আপাতত অভিনয়েই মন দিতে চান। কঙ্গনা যেখানে এই মন্তব্য করেন, সেখানে ছিলেন বিজেপি সভাপতি জেপি নড্ডা। তিনি জানিয়েছিলেন, দলে যোগ দিতে চাইলে কঙ্গনাকে স্বাগত। যদিও ভোটে প্রার্থী হবেন কিনা, তা নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন শীর্ষ নেতৃত্ব।
বার বার সংস্থার নিয়ম ভাঙার জন্য গত বছরের মে থেকে কঙ্গনার অ্যাকাউন্ট সাসপেন্ড করে রেখেছে টুইটার। শুক্রবার টুইটারের দায়িত্ব নিয়েছেন টেসলা কর্তা ইলন মাস্ক। ভবিষ্যতে কি তাঁকে আবারও দেখা যাবে সমাজমাধ্যমে? কঙ্গনা বলেন, ‘‘এক বছরের জন্য টুইটারে ছিলাম। টুইটার আমায় এক বছরও সহ্য করতে পারেনি। গত মে মাসে ইনস্টাগ্রামে আমার এক বছর হয়েছে। এর মধ্যে তিন বার হুঁশিয়ারি এসেছে। বলে দিয়েছি, ইনস্টাগ্রামে আর থাকব না। আমার টিম আর এই কাজে নেই। এখন সব ঠিকঠাক। কারও এই নিয়ে কোনও সমস্যা নেই।’’
এর পরেই টুইটারে ফেরার প্রসঙ্গে কঙ্গনা বলেন, ‘‘আমি ফিরে এলে লোকজনের জীবন অনেক বেশি চাঞ্চল্যকর হয়ে উঠবে। আর আমার জীবনে সমস্যা বাড়বে। কারণ বিভিন্ন রাজ্যে আমার নামে অভিযোগ জমা পড়তে থাকবে। আমি এখন খুশি যে, টুইটারে নেই। তবে ফিরলে অনেকের জীবন মশলাদার হয়ে যাবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy