Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪
Kangana Ranaut

কঙ্গনার অফিস ভাঙায় স্থগিতাদেশ বম্বে হাইকোর্টের

২৪ ঘণ্টার মধ্যে নোটিসের জবাব না পেয়ে বুধবার দুপুরে কঙ্গনার দফতর ভাঙতে শুরু করে বৃহন্মুম্বই পুরসভা (বিএমসি)।

এ দিন সকালে বুলডোজার নিয়ে গিয়ে কঙ্গনার অফিস ভেঙে ফেলার কাজ শুরু করে বৃহন্মুম্বই পুরসভা।

এ দিন সকালে বুলডোজার নিয়ে গিয়ে কঙ্গনার অফিস ভেঙে ফেলার কাজ শুরু করে বৃহন্মুম্বই পুরসভা।

সংবাদ সংস্থা
মুম্বই শেষ আপডেট: ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২০ ১২:৪৯
Share: Save:

অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাউতের অফিস ভাঙার উপর স্থগিতাদেশ দিল বম্বে হাইকোর্ট। অর্থাৎ বুধবার দুপুর থেকে পালি হিলে কঙ্গনার মণিকর্ণিকা ফিল্মজের দফতর ভাঙার যে কাজ শুরু করেছিল বৃহন্মুম্বই পুরসভা, আপাতত সেই কাজ বন্ধ রাখতে হবে তাদের। সেই সঙ্গে মুম্বই পুরসভার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে এ দিন আদালতে যে আবেদন জমা দিয়েছিলেন অভিনেত্রী, বৃহন্মুম্বই পুরসভা কর্তৃপক্ষকে তারও জবাব দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

মহারাষ্ট্র সরকারের সঙ্গে দ্বন্দ্ব জিইয়ে রেখেই আজই মুম্বইয়ে ফিরছেন কঙ্গনা। তার মধ্যেই এ দিন দুপুরে তাঁর সাধের অফিস ভাঙতে শুরু করে দেয় বৃহন্মুম্বই পুরসভা (বিএমসি)। তা নিয়ে বম্বে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন অভিনেত্রী। তাতে সাড়া দিয়ে এ দিন নির্মাণ ধ্বংসের উপর স্থগিতাদেশ দেয় আদালত।

বেআইনি নির্মাণের অভিযোগ তুলে গতকাল পালি হিলে কঙ্গনার মণিকর্ণিকা ফিল্মসের একটি দফতরের বাইরে নোটিস ঝুলিয়ে দেয় বিএমসি। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সেই নোটিসের জবাব দিতে বলা হয়েছিল অভিনেত্রীকে। বুধবার সকাল পর্যন্ত তা এসে না পৌঁছতেই এ দিন দুপুরে বুলডোজার নিয়ে অফিস ভাঙার কাজ শুরু করে দেয় বিএমসি। ওই অফিসের বাইরে মোতায়েন করা হয় পুলিশ বাহিনীও।

হিমাচলপ্রদেশের বাড়ি থেকে মুম্বই রওনা হওয়ার আগে এ দিন তা নিয়ে টুইটারে সরব হন কঙ্গনা। মুম্বই পুলিশকে মুঘল সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা বাবরের সঙ্গে তুলনা করেন তিনি। কঙ্গনা লেখেন, ‘‘মণিকর্ণিকা ফিল্মজের অধীনে প্রথমে অযোধ্যা নামের একটি ছবির ঘোষণা হয়। আমার জন্য সেটি শুধুমাত্র ইট-পাথরের কোনও ইমারত নয়, বরং রামমন্দিরের সমান। আজ সেখানে বাবর এসেছে। ফের ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি হচ্ছে। ফের ভাঙা হবে রামমন্দির। কিন্তু একটা কথা মনে রেখো বাবর, মন্দির ফের গড়ে উঠবেই। জয় শ্রী রাম, জয় শ্রী রাম।’’

কঙ্গনার টুইট।

আরও পড়ুন: সরানো হল বাইকুল্লা জেলে, আজ ফের জামিনের আবেদন করবেন রিয়া​

মণিকর্ণিকা ফিল্মজের দফতরের বাইরে মোতায়েন পুলিশের একটি ছবি পোস্ট করে কঙ্গনা আরও লেখেন, ‘‘বাবর এবং তার বাহিনী গণতন্ত্রকে মেরে ফেলছে।’’ মুম্বইকে পাকিস্তানের সঙ্গেও তুলনা করেন কঙ্গনা।

কঙ্গনার টুইট।

এ দিন বিএমসি সূত্রে বলা হয়, শুধু কঙ্গনার অফিস ধূলিসাৎ করেই থামবে না তারা। এর পর অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে ফৌজদারি অভিযোগও আনা হবে। তবে কি আরও কঠিন সময় অপেক্ষা করছে অভিনেত্রীর জন্য? তবে এই মুহূর্তে সে সবের তোয়াক্কা করছেন না কঙ্গনা। বরং বৃহন্মুম্বই পুরসভার বিরুদ্ধে লাগাতার টুইটারে তোপ দেগে চলেছেন তিনি। তাঁর কথায়, ‘‘কোনও বেআইনি নির্মাণ করিনি। তা ছাড়া কোভিড পরিস্থিতির জন্য ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত নির্মাণ ভাঙার কাজ নিষিদ্ধ রেখেছে সরকার।’’ বলিউডের উদ্দেশে তিনি লেখেন, ‘‘ফ্যাসিবাদের রূপ এটাই।’’

অভিনেতা সুশান্ত সিংহ রাজপুতের মৃত্যুর তদন্তে মুম্বই পুলিশের ভূমিকা নিয়ে শুরু থেকেই সরব কঙ্গনা। শিবসেনা-এনসিপি এবং কংগ্রেসের জোট সরকারের আমলে মুম্বই পাক অধিকৃত কাশ্মীরে পরিণত হয়েছে এবং সেখানে ফিরতে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলেও সম্প্রতি মন্তব্য করেন কঙ্গনা।

আরও পড়ুন: রিয়া চক্রবর্তীর গ্রেফতারির পরে কী বলছে ইন্ডাস্ট্রি?​

সেই নিয়ে মহারাষ্ট্র সরকারের সঙ্গে তাঁর টানাপড়েন শুরু হয়। কঙ্গনা যাতে নিরাপদে মুম্বইয়ে ফিরতে পারেন, তার জন্য তাঁকে ওয়াই প্লাস নিরাপত্তাও দেয় কেন্দ্রীয় সরকার। সেই অবস্থাতেই বেআইনি নির্মাণের অভিযোগ তুলে সম্প্রতি পালি হিলে কঙ্গনার দফতরের বাইরে নোটিস ঝুলিয়ে যায় বৃহন্মুম্বই পুরসভা। কঙ্গনার অভিযোগ, তাঁকে হেনস্থা করতে ইচ্ছাকৃত ভাবে এই পদক্ষেপ করছে মহারাষ্ট্র সরকার।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE