জুহি চাওলা। ছবি: সংগৃহীত।
তারকা বলে ব্যক্তিগত জীবনের শোক-দুঃখে কাতর হবেন না, এমন তো নয়। প্রিয়জনের জীবনসঙ্কটে প্রকাশ্যে ভেঙে পড়তে দেখা গিয়েছিল অভিনেত্রী জুহি চাওলাকেও। জীবন তাঁর প্রতি এত নির্মম হবে ভাবতে পারেননি অভিনেত্রী। ২০১০ সালে জুহির ভাই ববি চাওলা হৃদ্রোগে আক্রান্ত হওয়ায় হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। মৃত্যুর আগে চার বছর কোমায় ছিলেন তিনি।
২০১০ সালেই এক সাক্ষাৎকারে ভাইয়ের শারীরিক পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন করায় কেঁদে ফেলেছিলেন জুহি। ববি তখন কোমায় ছিলেন। ভাইয়ের জন্য প্রতি দিন প্রার্থনা করতেন অভিনেত্রী। ববিই যে ছিলেন তাঁর সবচেয়ে কাছের মানুষ। জুহি পরে বলেছিলেন, “যখন ঘটনাটা ঘটেছিল, তখন আমার মনের অবস্থা যা হয়েছিল, বোঝাতে পারব না। আমার পৃথিবীটা যেন ছিন্নভিন্ন হয়ে গিয়েছিল। কী করব, বুঝতে পারছিলাম না।”
জীবনের এই কঠিন সময় জুহি পাশে পেয়েছিলেন তাঁর শাশুড়িকে। জুহি জানান, তাঁর শাশুড়ি ছিলেন মায়ের মতো। ওই কঠিন সময়ে জুহিকে সাহস জুগিয়েছিলেন তিনি। রাতে যখন ঘুমাতে পারতেন না জুহি, শাশুড়ি থাকতেন কাছে। কিন্তু ঘুরে দাঁড়ানোর উপায়ও খুঁজছিলেন জুহি। তাঁর কথায়, “আস্তে আস্তে বুঝলাম, সাধ্য মতো যা পারি, সেটা করতে হবে। তবে প্রথমে এই অবস্থাটা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে, বেঁচে থাকতে হবে।”
জুহি জানান, তিনি মন শক্ত করেছিলেন। আড়াই বছরের মাথায় ববি তখনও কোমায়। জুহি গিয়েছিলেন ভাইয়ের হাতে রাখি বাঁধতে। বুকটা দুমড়েমুচড়ে যাচ্ছিল তাঁর। শাহরুখ খানের সংস্থা রেড চিলিজ এন্টারটেনমেন্ট-এর প্রাক্তন সিইও ছিলেন ববি। মাত্র ৫৫ বছর বয়সে ২০১৪ সালের ৯ মার্চ প্রয়াত হন তিনি। ভাইয়ের মৃত্যুর পর এক সাক্ষাৎকারে জুহি বলেন, “মাকে হারিয়ে আমি খুব ভেঙে পড়েছিলাম। তার পর ভাই যখন অসুস্থ হল, আমি আধ্যাত্মিক চিন্তাভাবনা করতাম। অনেক বিষয়ে প্রশ্ন জাগত মনে। মাঝেমধ্যে ভয় পেয়ে যেতাম, মনে হত কেউ কোথাও নেই।”
জুহিকে শেষ দেখা গিয়েছে ‘শর্মাজি নমকীন’ ছবিতে। ঋষি কপূর ছিলেন মুখ্য চরিত্রে। ছবিটি মুক্তি পায় ২০২২ সালে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy