(বাঁ দিকে) জো জোনাস, সোফি টার্নার (ডান দিকে)। ছবি: সংগৃহীত।
হলিউডে এখন বিচ্ছেদের মরসুম। সংসার ভাঙছে একের পর এক জনপ্রিয় জুটির। তাদের মধ্যে অন্যতম পপ তারকা জো জোনাস ও ‘গেম অফ থ্রোন্স’ খ্যাত অভিনেত্রী সোফি টার্নার। সম্প্রতি ভাঙন ধরেছে জো ও সোফির সাত বছরের সম্পর্কে। মাস খানেক ধরে তাঁদের বিবাহবিচ্ছেদের খবরে সরগরম হলিউড। খবর, সম্পর্কে তিক্ততার কারণেই নাকি বিবাহবিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁরা। তবে বিবাহবিচ্ছেদের এই প্রক্রিয়ার মধ্যেই সন্তানদের নিয়ে রীতিমতো টানাটানি চলছে জো ও সোফির মধ্যে। দুই সন্তানকে আমেরিকায় আটকে রাখার অভিযোগে জোয়ের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ করেছিলেন সোফি। এমনকি, জোয়ের নিজের লেখা চিঠিও আদালতে পেশ করেছেন অভিনেত্রী, যা থেকে জানা যায়, এক সময় নাকি ইংল্যান্ডেই সংসার পাততে চেয়েছিলেন পপ তারকা। অন্য দিকে, পিছিয়ে নেই জোয়ের আইনি সহকারীরাও। সোফির টিমের সঙ্গে আদালতে পাল্লা দিয়ে লড়ছেন তাঁরাও। সব মিলিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে রাগারাগি চরমে পৌঁছেছে। মাথা ঠান্ডা করতে এ বার নাকি ধ্যানে বসলেন দুই প্রাক্তন।
২০১৯ সালে বিয়ের পরে ২০২০ সালে প্রথম কন্যাসন্তানের জন্ম দেন সোফি। তার পরে ২০২২ সালে প্রাক্তন দম্পতির কোলে আসে দ্বিতীয় কন্যাসন্তান। বিচ্ছেদের পর দুই সন্তান কার কাছে থাকবে, তাই নিয়েই জোর ঝামেলা জো ও সোফির মধ্যে। জো আমেরিকার নাগরিক হলেও সোফি আদতে ইংল্যান্ডের বাসিন্দা। জোয়ের সঙ্গে বিয়ের পর সোফি আমেরিকায় এলেও বার বার দেশের টানে ইংল্যান্ডে ফিরেছেন অভিনেত্রী। তাঁর দুই মেয়ে ইংল্যান্ডে বড় হোক, এমনটাই চান সোফি। এ দিকে জো নাছোড়বান্দা। তাঁর দাবি, তাঁদের দুই সন্তানের জন্ম আমেরিকায়। আমেরিকান নাগরিক হিসাবে তারা সেখানেই বড় হবে, এই যুক্তিতে চাপ দিচ্ছেন জো। জোয়ের বিরুদ্ধে সোফির অভিযোগ, দুই মেয়ের পাসপোর্ট নাকি লুকিয়ে রেখেছেন জো, যাতে সন্তানদের ইংল্যান্ডে নিয়ে না যেতে পারেন অভিনেত্রী। দুই তারকার বিবাহবিচ্ছেদের প্রক্রিয়ায় টানাটানিতে পড়েছেন তাঁদের দুই সন্তান। সন্তানদের উপর যাতে তাঁদের মা-বাবার এই তিক্ত বিচ্ছেদ প্রক্রিয়ার প্রভাব না পড়ে, সে কথা মাথায় রেখে জো ও সোফিকে ‘প্যারেন্টিং ক্লাস’-এ যাওয়ার নিদান দিয়েছিলেন আদালতের বিচারক। সন্তানেরা আপাতত নিউ ইয়র্কে থাকলেও তাঁদের ইংল্যান্ডে বড় করতে বদ্ধপরিকর সোফি। তাই আইনি লড়াইয়ে কোনও ফাঁক রাখছেন না ‘গেম অফ থ্রোন্স’ খ্যাত তারকা। আদালতে জোয়ের বিরুদ্ধে পোক্ত প্রমাণ জমা দিয়েছেন অভিনেত্রী। সেই চিঠি অনুযায়ী, বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেওয়ার মাত্র কয়েক সপ্তাহ আগেই নাকি অক্সফোর্ডে বাড়ি কেনার কথা ভাবছিলেন জো ও সোফি। জোয়ের সেই চিঠিতে লেখা, ‘‘আমি আর আমার স্ত্রী যে হেতু ইংল্যান্ডে অনেকটা সময় কাটাই, এখানে আমাদের একটা বাড়ি থাকা উচিত। আমার বড় মেয়ে তো তার দাবিও জানিয়ে রেখেছে... বাড়িতে এই চাই, ওই চাই।’’ সোফির দাবি, ইংল্যান্ডে তাঁদের সন্তানদের বড় করার সিদ্ধান্তে সহমত হয়েছিলেন জো। এমনকি, ওই চিঠি অনুযায়ী, জো নিজেও ইংল্যান্ডেই নিজের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনাও করে ফেলেছিলেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy